আইফোন ১৪ ও ১৪ প্রো’র ব্যাটারির চার্জ না থাকা নিয়ে এরইমধ্যে অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রাহকরা। সেই ‘ব্যাটারিগেট’ যেন ফিরে এল আবার, আইফোনের গতি কমে যাওয়া নিয়ে এর আগে ক্ষমা চেয়েছিল অ্যাপল।
জুলাইয়ে ‘অ্যাপল ট্র্যাক’-এর স্যাম কোল টুইট করেছিলেন, তার কেনা আইফোন ১৪ প্রো’র সর্বোচ্চ ব্যাটারি সক্ষমতা এরইমধ্যে কমে দাঁড়িয়েছে ৯০ শতাংশে। আর এর ব্যাটারি ক্ষমতা কমছে আগের যে কোনো আইফোনের চেয়ে দ্রুত। হারাচ্ছে। তার ওই পোস্টের থ্রেডে দেখা যায়, তার মতো আরও অনেক গ্রাহকই একই অভিজ্ঞতার মুখে পড়েছেন।
শনিবার দেওয়া ভিডিও পোস্টে কোল বলেন, তিনি কাউকে এই ফোন কেনার পরামর্শ দেবেন না, বিশেষ করে এর দাম হাজার ডলার হওয়ায়।
অ্যাপল বলছে, আইফোনকে পাঁচশবার পুরোপুরি চার্জ দেওয়ার পরও এর ব্যাটারি সক্ষমতার ৮০ শতাংশ পর্যন্ত থেকে যায়। অন্যদিকে, শীঘ্রই উন্মোচিত হতে পারে আইফোন ১৫ সিরিজ। সম্প্রতি খবর চাউর হয়েছে, এই শ্রেণির ডিভাইসের ব্যাটারির আকার আগের মডেলগুলোর চেয়ে বড় হতে পারে ১০-১৮ শতাংশ।
কেবল কোল নন। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ ও মার্কিন বাণিজ্য প্রকাশনা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের জ্যেষ্ঠ কলামিস্ট জোয়ানা স্টার্ন এক প্রতিবেদনে লেখেন, তার আইফোন ১৪ প্রো’তে ব্যাটারি ক্ষমতা নেমে এসেছে ৮৮ শতাংশে।
এ ছাড়া, দুটি আইফোন প্রো’র ব্যাটারি সক্ষমতা ৯৩ শতাংশে এবং আরও দুটি আইফোনের ব্যাটারি সক্ষমতা যথাক্রমে ৯১ শতাংশ ও ৯৭ শতাংশে নামার কথা উঠে এসেছে ভার্জের প্রতিবেদনে।
এর আগের বছরগুলোয় অন্তত দুই বছর আইফোন ব্যবহারের পর এই ধরনের অভিযোগ আসত।
প্রতিবেদনে ভার্জ লিখেছে আরও সমস্যার কথা। এক বছরের ওয়ারেন্টি শেষ হওয়ার পর আইফোনের ব্যাটারি বদলাতে আরও বেশি খরচ হয়। গত বছর আগের মডেলের আইফোন ব্যাটারির দাম ৬৯ ডলার থেকে ৩০ ডলার বেড়ে গিয়ে ঠেকেছে ৯৯ ডলারে। তবে, কেউ সরাসরি অ্যাপল স্টোরে গিয়ে বা কোনো তৃতীয় পক্ষের কাছে ফোন ঠিক করাতে না চাইলে তিনি আইফোনের ‘রিপেয়ার কিট’ও ব্যবহার করতে পারেন।
‘আইওএস ১১.৩’ আপডেটে ব্যবহারকারীদের জন্য আইফোনে ‘ব্যাটারি হেলথ মনিটর’ সুবিধা চালু করে অ্যাপল। এর মাধ্যমে ফোনের কার্যকারিতায় সমস্যা দেখা দিলে প্রতিরোধের সুবিধা পান ব্যবহারকারীরা। অ্যাপল বলেছে, এটি আইফোনে পুরোনো ব্যাটারির জন্য একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা। তবে, পরবর্তীতে এর জন্য ৫০ কোটি ডলারের জরিমানা গুনতে হয়েছিল কোম্পানিটিকে।