রোবট হলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা, যা মানুষ যেভাবে কাজ করে ঠিক সেভাবেই কাজ করতে সক্ষম। বর্তমানে বিভিন্ন কাজে মানুষের বিকল্প হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে এই রোবট। এক একটি রোবট একাধিক মানুষের কাজ করতে সক্ষম। বিনা পরিশ্রমে দীর্ঘ সময় ধরে রোবট অনেক মানুষের কাজ করতে সক্ষম বলে অধুনা বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে রোবট। বর্তমানে অনেক কাজে মানুষের বদলে রোবট ব্যবহূত হচ্ছে। ভবিষ্যতে হয়তো অনেক কাজেই মানুষের জায়গা দখল করে নেবে রোবট। কিন্তু বিজ্ঞানীরা আশ্বস্ত করেছেন যে, এমন কিছু কাজ রয়েছে যা কখনোই হয়তো রোবট করতে পারবে না।
কম্পিউটার, রোবট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আগামী দিনে বেশকিছু চাকরি নিয়ে নেবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ২০১৭ সালে একটি গবেষণা থেকে মনে করা হচ্ছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বজুড়ে প্রায় ৮০ কোটি চাকরি চলে যাবে রোবটের হাতে। ইতিমধ্যেই ক্যাশিয়ার, টেলি মার্কেটিং, আম্পায়ারিংয়ের মতো কাজের বড় একটা অংশ কম্পিউটার দ্বারাই নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে। প্রযুক্তির অগ্রগতি মানেই কাজের ক্ষেত্রে মানুষের প্রয়োজন কমতে থাকা। আর যতই স্বয়ংক্রিয়তার দিকে আমরা এগিয়ে যাব, কর্মীদের প্রয়োজনীয়তাও ততই কমতে থাকবে। কিন্তু এমন কিছু কাজ আছে যা রোবটরা করতে পারবে না।
বিজ্ঞানীদের মতে, ব্যক্তিত্বের প্রয়োজন রয়েছে যেখানে, এমন সব চাকরি রোবট কেড়ে নিতে পারবে না। যেখানে সমবেদনা, বিচার বিবেচনা, স্বাভাবিক প্রবৃত্তি, দক্ষ সম্পর্ক গড়ে তোলার মতো কাজ রয়েছে সেগুলো রোবটের হাতে যাবে না। ফলে বিভিন্ন তত্ত্বাবধায়ক, নার্স, ডাক্তার, সাংবাদিক, এমনকি বিক্রেতার কাজ যারা করেন তাদের চাকরি হারানোর ভয় নেই। কোনো চুক্তি সম্পন্ন করার কাজ, জটিল সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার যেখানে, সেখানে অদূর ভবিষ্যতে রোবটের সফল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মানবিক পরিকল্পনা, কৌশলগত দক্ষতা যেখানে প্রয়োজন, যেমন রাজনীতি, পরামর্শদাতার কাজ বা ব্যবসা বাণিজ্যে যারা যুক্ত তারা পেশার দিক থেকে নিরাপদ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।