বর্তমানে স্মার্টফোনে চার্জিং স্পিড অনেক বেশি। আগে চার্জ হতে যত সময় লাগত তার অর্ধেক সময় লাগে এখন। তবে ব্যতিক্রম রয়েছে। অত্যধিক ব্যবহার, ফোনে রাখা বিভিন্ন অ্যাপ এবং চার্জারের সমস্যার কারণে চার্জের গতি ক্রমে ধীর হতে পারে। কয়েকটি বিষয় মেনে চললে স্মার্টফোনের চার্জে পুনরায় গতি বাড়ানো সম্ভব।
সঠিকভাবে চার্জ করুন
অনেকে চার্জ সম্পন্ন হওয়ার আগেই ব্যবহার শুরু করে দেন। এমনটি করা ব্যাটারির জন্য ভালো নয়। স্মার্টফোনের ব্যাটারি ২০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে তবেই চার্জে বসান। পাশাপাশি ৯০ শতাংশ চার্জ হয়ে গেলে চার্জিং বন্ধ করে দিন।
গেমিং ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নয়
ফোন চার্জে দিয়ে কখনই গেম খেলবেন না। এতে প্রসেসর ও ব্যাটারির ওপর অত্যধিক চাপ তৈরি হয়। ফলে চার্জিংয়ের গতি কমে যায়। গেমিংয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা ইউটিউব ব্যবহার করা যাবে না। এতে চার্জের গতি কমে যায়।
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস ডিলিট
অনেকে ফোনে অতিরিক্ত অ্যাপ রাখেন। ব্যবহার না করলেও ফোনের চার্জ কমে যায় এসব অ্যাপের কারণে। এমনকি ব্যাটারিরও ক্ষতি করতে পারে। তাই যেগুলো দরকার সেগুলো রেখে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিলিট করে দিন।
সঠিক চার্জার ব্যবহার
সঠিক এবং ইউএসবি চার্জার ব্যবহার করুন। সবচেয়ে জরুরি কোন ওয়াটের চার্জার ব্যবহার করছেন তা জানা। আপনার ফোনের বক্সে বা স্পেসিফিকেশনে চার্জিং ওয়াট লেখা থাকে। তার কম ক্ষমতাসম্পন্ন চার্জার দিয়ে চার্জ করলে গতি কমে যাবে। ঠিক তেমনই নির্ধারিত ওয়াটের থেকে বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন চার্জার ব্যবহার করলে তা ফোনের ব্যাটারির জন্য ভালো নয়।
ব্যাটারি হেলথ চেক
বর্থমানে অধিকাংশ স্মার্টফোনেই ব্যাটারি হেলথ অপশন থাকে। ওই অপশন থেকে ব্যাটারির ব্যবহার এবং কোনো সমস্যা আছে কি না চেক করুন। এরপর সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন।
ওপরের বিষয়গুলো নিয়ে সচেতন থাকার পরও চার্জে ধীরগতি হলে সার্ভিস সেন্টারে যান। যদি ফোন ওয়ারেন্টির মধ্যে থাকে তাহলে সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে বিনামূল্যে সমাধান পেতে পারেন। ওয়ারেন্টির সময় পেরিয়ে গেলে অর্থ প্রদানের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে।