নকিয়া ৪.২ যার বর্তমান মূল্য ১৯ হাজার, সেটি ভারতে লঞ্চ হলো বেশ কয়েকদিন আগেই। লঞ্চ হওয়ার সাথে সাথেই এই ফোনটি নাম লিখিয়ে ফেলেছে ইউজার ফ্রেন্ডলি স্মার্টফোনগুলির তালিকায়। কিন্তু এটি কেনার আগে বেশ কিছু ব্যাপার ইউজারকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আজ এই পোস্টে আমরা ফোনটির রিভিউ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
প্রথমত একজন ব্যক্তি যখন ১৯ হাজার খরচ করে একটি স্মার্টফোন কিনতে যায় তখন সে তার ফোনে অনেক অত্যাধুনিক ফিচারেব আশা করে। বর্তমানে শাওমি, রিয়েলমি, হুয়াওয়ে ইত্যাদি কোম্পানির দৌলতে ২০ হাজারের মধ্যে যে সমস্ত ফোন দেশের মার্কেটে এসেছে সেগুলো তে যথেষ্ট মন কাড়া ফিচার থাকছে। কিন্তু নোকিয়া ৪.২ এই ক্ষেত্রে তার নাম উজ্জ্বল করতে পারেনি।
নোকিয়া ৪.২ এর ডিজাইনের কথায় যদি আসি তাহলে এটির ডিজাইন ভীষণ সুন্দর। পুরো সেটটাই গ্লাস বডি ফিচার দিয়ে কভার করা। এবং সামনের দিকে একটি “U” আকৃতির নচ আছে যেটিকে সেলফি নচ বলা হয়। এর রং টিও দারুন মনকাড়া পিঙ্ক-স্যান্ড এবং ফোনটি বহনযোগ্য । এবার বেশ কিছু অসামঞ্জস্য আছে সেগুলোর ব্যাপারে আসা যাক । এর ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি পেছনের অংশের সাথে প্রায় মিশে আছে যার ফলে ক্যামেরা সেন্সরের এর সাথে গুলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এছাড়াও ফিঙ্গারপ্রিন্ট দ্রুত কাজ করেনা ।
স্যামসাং ফোনে যেরকম বিক্সবি বাটন আছে সেরকম নোকিয়া ৪.২ তেও আছে গুগল অ্যাসিসটেন্ট বাটন। এবার ব্যবহারকারী যদি খুব বেশি গুগল অ্যাসিসটেন্ট ব্যবহার না করে তাহলে এই বাটনটি তার সেরকম কোনো কাজে লাগবে না । তাছাড়া এই বাটনটির পজিশন ও বেশ বাজে জায়গায়, প্রায়শই ভুল করে হাত পরে যেতে পারে ।
আগেই বলেছি ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটা ভীষণই স্লো। এর সাহায্যে ফোনটা আনলক হতে প্রায় দু সেকেন্ড এর মতো সময় লাগে। ক্যামেরা ও সেরকম ভালো মানের নয়। আসল থেকে ছবিগুলি একটু ডার্ক মনে হয়। পারফরম্যান্স এর দিক দিয়ে নোকিয়া ৪.২ তার বেসিক কাজগুলোর ক্ষেত্রে বেশ স্লো। মাল্টি ট্যাসকিং বিশেষ করে হোয়াটসঅ্যাপ আর নেটফ্লিক্সের মধ্যে বারবার বদল করতে হলে ফোনটি যথেষ্ট ল্যাগ করে। এছাড়া ইউটিউব বা নেটফ্লিক্স ভিডিও স্ট্রিমিং করার সময়ও তাই।
এগুলো বাদ দিয়ে যা বলা যেতে পারে তা হলো ফোনটা চার্জ হতে ঘন্টা দুয়েক সময় নেয়। এবং এর ব্যাটারি ব্যাকআপ বেশ ভালো । ৩ হাজার এমএইচএর ব্যাটারি বিভিন্ন মাল্টি টাস্কিং করার পর ও প্রায় একদিন চলে যায়। সফটওয়্যারের মান ও বেশ উন্নত কারণ এটি অ্যানড্রয়েড পাই তে চলে।
৫.৭১ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ১৩+২ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা, ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা, স্ন্যাপড্রাগন ৪৩৯প্রসেসর, ৩ জিবি র্যাম ও ৩২ জিবি স্টোরেজ।
সারাংশ
আপনি যদি নোকিয়া ব্র্যান্ডের ভক্ত হোন তবে এই ফোনটি কিনতেই পারেন। তবে অন্য ফিচারগুলো আমাদের ভালো লাগেনি। তাই ১৯ হাজার টাকা খরচ করে এটি কেনার থেকে শাওমি রেড়মি নোট ৭, রেজমি ওয়াই৩ ,হুয়াওয়ে ওয়াই৯ ২০১৯ কেনা বেশি ভালো হবে বলে মনে হয়।