সম্প্রতিক সময়ে কেবল মাত্র বাংলাদেশের সর্ব প্রথম বারের মতো লঞ্চ করা হয়েছে রিয়েলমি সি সেভেন্টিন!
এবং এটি নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের উত্তেজনার অন্ত নেই। শুধু যে মাত্র বাংলাদেশের লঞ্চ করা হয়েছে তা নয় তার সাথে এই ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৯০ হার্জের ফ্রেস রেট প্যানেল। এবং এটির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৯৯৯ টাকা
এই আর্টিকেলে রিয়েলমি সি সেভেন্টিন নিয়ে রিভিউ করা হবে। বিগত কিছুদিন ধরে আমি এই মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করেছি। এবং আমার অভিজ্ঞতাটি মূলত আপনাদের সাথে আজকে শেয়ার করতে চলেছি৷
শুরুতে একটি ছোট্ট স্পেসিফিকেশন!
*এই ফোনটির ডিসপ্লে ৬ ইঞ্চি
*ফোনটির ব্যাটারি ৫০০০এম এ এইচ
*৬ জিবি র্যাম
*১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ
*থার্টি মেগাপিক্সেলের কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ
* এবং সামনে আছে এইট মেগাপিক্সেল এর সিঙ্গেল সেটাপ
প্রথমেই ডিজাইন:
তো এই ফোনটির পেছনে রয়েছে প্লাস্টিক বডি এবং এই ফোনটিতে যে ডিজাইন টি ব্যবহার করা হয়েছে সেই ডিজাইন ২০২০ সালে অনেক ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে। বলতে গেলে এটাকে বলা যায় কমন ডিজাইন ২০২০।
তবে ডিজাইন টা বেশ সুন্দর। কিন্তু খুবই কমন এবং ৫০০০০ এম এ এইচ ব্যাটারি ব্যবহার করার ফলে ফোনটি একটু মোটা হয়েছে । তবে তারপরও হাতে নিয়ে আমার কম্ফোর্টেবল ফিল হয়েছে৷
বাটন -পোর্টস :
এই ফোনটিতে যেসকল বাটন এবং পোর্ট ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো এস ইউজুয়াল সকল ফোনের ব্যবহার করা হয়। ফোনের ভেতরে একটি মাত্র স্লট রয়েছে । যেটিতে ডুয়েল সিম কার্ড রাখা যাবে৷ এবং তার সাথে রাখা যাবে এসডি মেমোরি কার্ড । নিচের দিকে রয়েছে একটি টাইপ সি পোর্ট এবং তার সাথে ৩.৫ এমএম অডিও জ্যাক।
এবার আসা যাক ডিসপ্লেটি যেটি সবচেয়ে বড় আকর্ষণ:
আর্টিকেল এর শুরুতেই বলে রাখা হয়েছে ডিসপ্লে তে ব্যবহার করা হয়েছে ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেট প্যানেল। তো এই দামে বলতে গেলে এটা একদম অসম্ভব একটা ব্যাপার । কিন্তু তারপরও রিয়েলমি সি সেভেন্টিন এটিকে সম্ভব করে দেখিয়েছে৷ তবে দামের ভিতরে অনেক কিছু ফিচার কাট করা হয়েছে।
ডিসপ্লেতে স্ক্রল করতে খুব একটা সমস্যা হয়নি। তার পাশাপাশি এইচডি ভিডিও দেখার সময় দারুন একটা এক্সপেরিয়েন্স ছিল । ডিসপ্লেটি এইচডি প্লাস রেজুলেশন৷ তবে গেম খেলার সময় একশন গুলো ঠিকঠাক মতো আসছিল না।
সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ব্রাউজ করার সময় খুবই কম্ফোর্টেবল ফিল হচ্ছিল৷
দিন কে দিন ফোনগুলোর চাহিদা কেবলমাত্র গেমিং এর জন্য বেড়ে যাচ্ছে৷ সুতরাং এখন পালা গেমিং এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে আলোচনা করার!
এই ফোনটির গেমিং এক্সপেরিয়েন্স এর কথা যদি আমি বলি তাহলে আমার কাছে এভারেজ লেভেলের লেগেছে । ফোনটিতে আমি পাবজি মোবাইল ইন্সটল করেছিলাম। যদিও ৬ জিবি রেম সে কারণে খুব স্মুথলি খেলা যাচ্ছিল। তবে রেজুলেশনের একটু ঘাটতি রয়েছে । যেহেতু ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেট প্যানেল ব্যবহার করা হয়েছে সেজন্যই ফোনের অনেক জায়গায় ফিচারস কাট করা হয়েছে। এবং তার মধ্যে রেজুলেশন একটা!
পাবজি মোবাইল গেম টি ডিফল্ট গ্রাফিক্স সেটিংস এ খেলার সময় মাঝেমাঝে অ্যাকশন গুলো ভালোভাবে আসছিল না।
এবার আসা যাক ক্যামেরা!
সাধারণত এই দামের ফোন করতে আমরা ২৪ মেগাপিক্সেল এর ক্যামেরা দেখে থাকি আমরা। তবে এখানে ব্যবহার করা হয়েছে থার্টি মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা । পেছনের দিকে রয়েছে ৪ টি ক্যামেরা । থার্টি মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা খারাপ না, যদি তাতে ছবি ভালো আসে। ছবির কথা বলতে গেলে এভারেজ লেভেলের ছিল । কোন সাদা জিনিসের ছবি তুলতে পারছিল না৷ তবে সম্পূর্ণ ডে লাইটে ছবিগুলো খুবই ভালো আসছিল। তবে আলো একটু ঝাপসা হলে ছবি গুলো একদমই বাজে আসছিল৷
যাইহোক পরিশেষে এটুকুই বলবো মোবাইলটি একদমই বাজেট রেটের ভেতর খুব সুন্দর কিছু ফিচার রয়েছে । তবে আরো অনেক কমন ফিচারস রয়েছে যেগুলো কাট করা হয়েছে।
তবে তার পরেও পরিশেষে যদি আমি ব্যক্তিগত রেটিং দিই, তাহলে আমার রেটিং হবে ৫ এর ভেতর ৩(৩/৫)
বিঃদ্রঃ তথ্যসূত্র ও ব্যাক্তিগত মতামতের সমন্ময়ে আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে।
তথ্যসূত্র : সোহাগ ৩৬০