গত ৮ অক্টোবর সর্ব প্রথম বারের মত স্যামসাং বাজারে লঞ্চ করল গ্যালাক্সি এফ্ ৪১। অফিশিয়ালি জানানো হয়েছে এবারে স্যামসাং তাদের নতুন মডেলের ফোনটির ক্যামেরার দিকে বেশি নজর দিয়েছে৷ ফোনটিতে রয়েছে ১৬.৪১ সেন্টিমিটার অর্থাৎ ৬.৪ ইঞ্চির এমোলেড ডিসপ্লে । ৬৪ মেগাপিক্সেল এর ট্রিপল ক্যামেরা । ৬ হাজার এমএএইচ ব্যাটারি৷
সম্প্রতি সময়ে ফোনটি বাজারে আসার পরে টেকপ্রেমীদের মধ্যে এক ধরনের উৎসাহ জন্ম নিয়েছে । কিন্তু আদৌ এই বাজেটের মধ্যে ফোনটি সবার জন্য পারফেক্ট হবে কিনা অর্থাৎ ফোনটির সার্বিক পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা করা হবে৷
শুরুতে কথা বলা যাক ফোনের ডিজাইন নিয়ে:
শুরুতেই ফোনটিকে দেখে হুবহু স্যামসাং এম থার্টি ওয়ান এর মতো মনে হবে ৷ পেছনের দিকে গ্রেডিয়ান কালারের ইফেক্ট ব্যবহার করা হয়েছে৷ এছাড়াও প্লাস্টিক বডির এই ফোনটিতে স্যামসাং এম থার্টি ওয়ান এর মত করেই ট্রিপল ক্যামেরা বসানো হয়েছে৷ আর ক্যামেরার ঠিক পাশেই থাকছে ফিজিক্যাল ফিংগার প্রিন্টস৷ আর সামনের দিকে থাকছে না ফুল ডিসপ্লে৷ ঠিক উপরের দিকে রয়েছে ইউ শেপ ক্যামেরা কাট৷ খুব সুন্দর ভাবে ওয়েট ডিস্ট্রিবিউট করা হয়েছে জন্যে হাতে নিয়ে খুব কমফোরটেবল ফিল হয়েছে৷ তবে পরিশেষে এটাই সত্য যে ফোনের ডিজাইনটা অনেকের কাছে ভালো লাগতে পারে, অনেকের কাছে ভালো লাগতে পারে না৷ ডিজাইনটা মানুষের রুচিগত ব্যাপার!
এ ফোনটিতে একসাথে দুটি সিম কার্ড এবং একটি মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করার স্লট রয়েছে৷
এবার আসা যাক ডিসপ্লের ব্যাপারে!
এতে রয়েছে ৬.৪ ইঞ্চির একটি সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে৷ যাতে থাকছে ফুল এইচডি প্লাস রেজুলেশন অর্থাৎ ১০৮০\৩৪০ পিক্সেল৷
ফোনের সকল কনটেন্টটি খুব শার্প দেখাচ্ছিলো৷ বিশেষ করে ভিডিও কনটেন্ট৷ তাছাড়াও স্যামসাং এর ফোনে ব্যবহার করা সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে গুলো খুব কালারফুল হয়ে থাকে৷ সুতরাং ডিসপ্লের দিক থেকে যে কারো মন কাড়বে স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ ফোরটি ওয়ান৷
তবে সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে দিতে গিয়ে বাদ দেওয়া হয়েছে ৯০ হার্জ রিফ্রেশিং প্যানেল৷
এবার কথা বলা যাক ফোনটির ক্যামেরার ব্যাপারে!
ফোনটিতে থাকছে ট্রিপল ক্যামেরা সেটাপ৷ যার প্রাইমারি সেন্সরটি ৬৪ মেগাপিক্সেল৷ এটা দিয়ে সর্বোচ্চ 4k ভিডিও শুট করা যাবে৷ আর ফোনটির সেলফি ক্যামেরা হিসেবে থাকছে থার্টি টু মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। আর সেলফি ক্যামেরা দ্বারাও ফোরকে ভিডিও শুট করা সম্ভব । তবে ইউ এস সুবিধা থাকছে না। সেলফি ক্যামেরায় আপডেট ভার্সন হিসেবে সকল টেকপ্রেমীদের আশা ছিল এবারের ক্যামেরা সেটআপে নতুন কিছু আনবে স্যামসাং৷ তবে বরাবরের মতো একই ক্যামেরা সেটআপ ব্যবহার করা হয়েছে ফোনটিতে৷
এবার কথা বলা যাক ফোনের ব্যাটারির ব্যাপারে!
সিক্স থাউজেন্ড এম এ এইচ ব্যাটারি সাথে সামঞ্জস্য করে রাখা হয়েছে ২৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি । যেটি সকলকে প্রেমীদের কাছে কমবেশি বেমানান মনে হচ্ছে। এখানে মিনিমাম ৩০ ওয়াট এর ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজির ব্যবহার করা হবে এটাই সকলের আশা ছিল৷ বলতে গেলে যুগের সাথে সম্পূর্ণ বেমানান!
ফোনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর ব্যবহার করা হয়েছে সেটি ইন ডিসপ্লে নয় । অন্যান্য সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লের ফোন করতে in-display ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করা হয়ে৷ থাকে তবে এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে।
এবার কথা বলা যাক ফোন প্রাইস নিয়ে!
বাংলাদেশী মুদ্রার হিসেবে ফোনটির প্রাইস ২২ থেকে ২৩ হাজার টাকা হতে পারে । সম্প্রতি সময়ে এটি ভারতের বাজারে লঞ্চ করা হয়েছে৷ তবে বাংলাদেশের বাজারে আদৌ ফোনটি লঞ্চ করা হবে কিনা সে সম্পর্কে অনেকের মতবিরোধ রয়েছে। তবে আনঅফিশিয়ালী ফোনটি বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যেতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন৷