সম্প্রতিক সময়ে লঞ্চ করা হয়েছে রিয়েলমি সেভেন প্রো। এবং আমাদের বাংলাদেশ এটি অফিশিয়ালি লঞ্চ করা হয়েছে৷ সকল টেকপ্রেমীদের আশা ছিল রেলমি তাদের এফ সিরিজের ফোন বাংলাদেশের লঞ্চ করবে সাথে থাকবে এমোলেড ডিসপ্লে৷ এবং রিয়েল মি আমাদের আশা পুরনের জন্য সর্ব প্রথম বারের মতো তাদের প্রথম এফ সিরিজের ফোন রিয়েল মি সেভেন প্রো বাংলাদেশের লঞ্চ করল৷
বাংলাদেশ এটির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭৯৯৯টাকা ৷
বলা যায় এটি একটি মিড রেঞ্জের একটি ফোন৷ এই দামে ফোনটি আদৌ কতটুকু তাদের ব্যবহারকারীদের satisfied’ করতে পারবে সেই নিয়ে মূলত এই আর্টিকেল।
আনবক্সিং দিয়ে শুরু করা যাক!
ফোনটি আনবক্সিং এই থাকছে একটি কেস, রিয়েল মি সেভেন প্রো, একটি ম্যানুয়াল বই৷। এরপরে থাকছে একটি type-c ক্যাবল এবং তার সাথে থাকছে ৬৫ ওয়াটের একটি ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি সম্পন্ন চার্জার৷
শুরুতেই আসা যাক ডিজাইনের বেপারে । এই ফোনটিতে দেয়া হয়েছে একটি রিফ্রেশিং ডিজাইন। তবে এর ব্যাক সাইট এর ব্যবহার করা করা হয়েছে প্লাস্টিক বডি। এ প্লাস্টিক বডিটা আপনাদের জন্য ভাল দিক কি মন্দ, সেটা আপনাদের উপর ছেড়ে দেয়া হলো৷ যদিও এটা দেখতে গ্লাসের মত৷ কিন্তু আদৌ এটা গ্লাস না৷ এবং ক্যামেরা ডিজাইন কিন্তু এই ফোনের পূর্বসূরিদের ডিজাইনের মতই। প্রাইমারি ক্যামেরাটি ৬৪ মেগাপিক্সেল।
এবার আসা যাক ফোনের বাটন এর ব্যাপারে।
ফোনের ডান সাইডে বেশ নিচের দিকে অর্থাৎ অন্য ফোনের তুলনায় বেশ নিচের দিকে অর্থাৎ এই ফোনটির মাঝখানে রয়েছে একটি ভলিউম আপ ডাউন বাটন। এবং তার সাথে একটি পাওয়ার বাটন। এবং এই জিনিসটা আমার কাছে খুব কমফোরটেবল লেগেছে । কারণ অন্যান্য ফোনে পাওয়ার বাটন প্রেস করতে হলে অনেক দূর আমাদের হাত নিয়ে যেতে হয়৷ কিন্তু এই ফোনে তা করতে হবে না৷ হাতের নাগালেই পেয়েছেন আপনার প্রয়োজনীয় বাটন।
রিয়েলমি সেভেন প্রো তে থাকছে সুপার এমোলেড ডিসপ্লে৷ যার আকার ৬.৪ ইঞ্চি৷ এবং এর রেজুলেশন এইচডি প্লাস।
এবং এতে প্রটেকশন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে গোরিলা থ্রি গ্লাস। যদিও এই বাজেটের অন্য ফোনে আমরা গোরিলা ফাইভ গ্লাস দেখেছি৷ আশা করা যায় এই ফোনের উত্তরসূরি ফোনগুলোতে গরিলা ফাইভ ব্যবহার করা হবে৷ তবে যদি পারফরম্যান্সের কথা বলতে যাই, এক কথায় অসাধারন ছিল৷ সকল ধরনের কনটেন্ট খুবই শার্প। কালারিং প্রোডাকশন খুবই ভালো৷ এবং এবং রেসপন্সও অত্যন্ত ভালো ছিল৷
এবার আসা যাক ক্যামেরার ব্যাপারে!
পেছনের প্রাইমারি ক্যামেরা ১৩ মেগাপিক্সেলের। পেছনের ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ৷ এবং এই ক্যামেরাতে প্রচুর পরিমানের ছবি তুলে এটি আমাদের যথেষ্ট সন্তুষ্ট করতে পেরেছে। আশা করা যায় এর ক্যামেরা অন্যান্য ব্যবহারকারীদের সন্তুষ্ট করতে পারবে ।
তবে সামনের ক্যামেরা টিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের একটি সেলফি ক্যামেরা৷ তবে প্রাইমারি ক্যামেরার মত এই ক্যামেরাটি আমাকে তেমন সন্তুষ্ট করতে পারেননি। ডেলাইট যথেষ্ট ভালো ছবি আসছিল । তবে বেশি সানলাইট তেমন ভালো ছবি আসছিল না৷ অর্থাৎ ছবিগুলো রিয়ালিস্টিক মনে হচ্ছিল না৷ তবে এ ফটো প্রসেসিং সিস্টেম প্রাইমারি ক্যামেরার মতই ৷
এবার আসা যাক গেমিং পারফরম্যান্সের কথাতে৷
আর ফোন রিভিউ দেওয়ার সময় যেহেতু আমরা একটু বেশিই নোটিশ করে রিভিউ দেই সুতরাং গেমিং পারফরম্যান্সে আমার কিছু দিক এই বাজেটের ফোনের ক্ষেত্রে ঠিক মনে হয়নি৷। তবে সাধারণ মানুষ যখন এটি ব্যবহার করবে । তখন তারা যদি খুব একটা নোটিশ না করে তাহলে নিঃসন্দেহে এটি গেমারদের অনেকের সন্তুষ্ট করতে পারবে । গেমের একশন নিয়ে কথা বলার কোনো ফুরসৎ নেই৷ ডিফল্ট সেটিংস এ গেম খেললে ভালো পারফর্মেন্স পাবেন আশা করি৷