কিছুদিন আগে লঞ্চ করা হয়েছে ওয়ানপ্লাস ৮ টি। বেশ হাই বাজেটের এই ফোনটি সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে । ওয়ানপ্লাস এইট টি স্মার্টফোন লঞ্চ হয়েছিল ১৪ অক্টোবর। ওয়ানপ্লাসের এই প্রিমিয়াম স্মার্টফোনে রয়েছে নতুন ডিজাইন, ফ্ল্যাগশিপ প্রসেসর, কোয়াড রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ, ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট, ৬৫ ওয়াট ওয়ার্প চার্জ টেকনোলজিসহ একাধিক আকর্ষণীয় ফিচার্স যা প্রিমিয়াম স্মার্টফোনে দেখা যায়, নেই শুধু ওয়ারলেস চার্জিং অপশন।
প্রথমেই আনবক্সিং দিয়ে শুরু করা যাক!
আনবক্সিং করলেই পেয়ে যাবেন ওয়ানপ্লাস ৮ টি। তার সাথে বেশ কিছু স্টিকার রয়েছে৷ একটি ব্যাক পার্ট রয়েছে৷ এবং তার সাথে রয়েছে ৬৫ ওয়াটের একটি চার্জার । এবং জেনে অবাক হবেন এই চার্জারটির ওজন ১৬৫ গ্রাম । এবং তার সাথে রয়েছে একটি টাইপ সি ক্যাবল৷ মূলত বক্সটি লাল রঙ্গের৷ এবং তার উপরে লেখা ছিল এইট টি ।
এই ফোনটির ডিজাইন সম্পর্কে বেশি কিছু বলার নেই । কারণ ওয়ানপ্লাস তাদের পূর্বের ফোনগুলোতেও একই রকমের ডিজাইন ব্যবহার করেছে৷ এবং আমার কাছে মনে হয়েছে যে এই ডিজাইন টা অন্য ব্র্যান্ডের বেশকিছু ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে । তবে ওই ফোনগুলোর চাইতে এই ফোনের কালার টা একটু বেশি প্রিমিয়াম৷ এক কথায় হাতে নিয়ে বুঝতে পারবেন যে খুবই প্রিমিয়াম লেভেলের একটা ফোন আপনি হাতে ধরে রয়েছেন৷
এই ফোনের উভয় পাশকে প্রটেক্ট করছে গরিলা ফাইভ গ্লাস । এবং এই ফোনটির ওজন ১৯৪ গ্রাম।
যে ক্যামেরা সেটআপ এর রয়েছে সেটা সচরাচর অন্য ফোনের মতন । অর্থাৎ ২০২০ সালে আরো যে সকল ফোনগুলো এসেছিল সেই ফোনের মতোই ক্যামেরা সেটআপ৷ ক্যামেরা সেটআপ নিয়ে আলাদা ভাবে বলার কিছু নেই৷ ডান পাশে রয়েছে ভোলিয়াম আপ-ডাউন এবং পাওয়ার বাটন । নিচের দিকে রয়েছে একটি সিম স্লট, টাইপ সি পোর্ট, প্রাইমারি স্পিকার, মোবাইলের বিল্ড কোয়ালিটি বলতে গেলে যথেষ্ট সুন্দর ছিল।
তবে বিল্ড কোয়ালিটি সকলের ব্যক্তিগত পছন্দের ব্যাপার!
এবার আসা যাক ফোনের ডিসপ্লের ব্যাপারে।
ফোনের ডিসপ্লে হিসেবে থাকছে ৬.৫ ইঞ্চি এমোলেড ডিসপ্লে৷ যাতে ব্যবহার করা হয়েছে ১২০ হার্জ রিফ্রেশিং প্যানেল৷ খুবই ভাল মানের একটি ডিসপ্লে৷ ওয়ান প্লাস এর অন্য ফোনগুলোতে আমরা ৯০ হার্জ রিফ্রেশিং প্যানেল পেয়েছিলাম৷ তবে এই ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১২০ হার্জ রিফ্রেশিং প্যানেল৷
ফোনটির রেম ১২ জিবি এবং রোম ২৫৬ জিবি। জানিনা ফোনটিতে কেন কোনো রকমের মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করার সুযোগ নেই। অর্থাৎ এই ফোনটিতে আপনি কেবল মাত্র দুইটি সিম কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন৷
ক্যামেরা সেটআপ হিসেবে থাকছে কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ। যাতে ব্যবহার করা হয়েছে তিনটি ক্যামরা । প্রাইমারি ক্যামেরাটি ৪৮ মেগাপিক্সেল এর ।এবং তারপরে আরো দুইটি ক্যামেরা রয়েছে যার মধ্যে একটি ১৬ মেগাপিক্সেল । এবং অপরটি ৫ মেগাপিক্সেল।
প্রাইমারি ক্যামেরার কথা বলতে গেলে এক কথায় অসাধারন ছিল । ছবির শার্পনেস থেকে শুরু করে ফটো প্রসেসিং সিস্টেম সব কিছুই বলতে গেলে এক কথায় মনমুগ্ধকর ছিল৷
বাকি যে দুইটি ক্যামেরা ছিল বলতে গেলে মোটামুটি প্রাইমারি ক্যামেরার মতো পারফর্মেন্স ছিল৷ যদিও তাদের মেগাপিক্সেলের তুলনামূলক কম ।
এই মোবাইলটিতে ব্যাটারি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ মিলি এম্পিয়ার এর ব্যাটারি। অফিশিয়ালি জানানো হয়েছে এই ফোনটি ০% থেকে ১০০% পর্যন্ত চার্জ করতে সময় নেবে ৩৯ মিনিট যদিওবা আমার ক্ষেত্রে সেটা সময় লেগেছে ৫০ মিনিটের মত৷
ফোনটির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বাংলাদেশী মূল্যে : ৬১৯৯০ টাকা