ইনফিনিক্স জিরো এইট নিয়ে সকলের ভেতর এক ধরনের আগ্রহ শুরু থেকেই ছিল৷ বাংলাদেশে এই ফোনটা যদিও এখনো লঞ্চ করা হয়নি কিন্তু তারপরেও বাংলাদেশিদের মধ্যে এই ফোন নিয়ে চরম আগ্রহ কাজ করে।
আর সেই কারণেই মূলত এই ফোন নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আপনাদেরকে একটি ছোট্ট রিভিউ সম্পর্কে অবগত করা হবে৷
তাহলে প্রথমে আনবক্সিং দিয়ে শুরু করা যাক!
আনবক্সিং করলে প্রথমেই আপনারা পেয়ে যাবেন একটি ব্যাক পার্ট, তার সাথে রয়েছে একটা স্ক্রিন প্রটেক্টর, তার সাথে রয়েছে একটি স্টিকার, এরপর রয়েছে একটি ইউজার ম্যানুয়াল গাইড এবং তার সাথে অবশ্যই থাকছে স্মার্ট ফোন৷ এরপরে রয়েছে ৩৩ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি সমৃদ্ধ একটি ফাস্ট চার্জার, একটি ইয়ারফোন এবং তার সাথে রয়েছে একটি ইউএসবি ক্যাবল৷
এবার চলে যাওয়া যাক ফোনের বিল্ট ম্যাটেরিয়াল এবং ডিজাইনে!
ফোনটা হাতে নিয়ে বুঝতে পারবেন একটি জায়ান্ট আকারের ফোন হাতে ধরে রয়েছেন । তবে এর ওয়েট ডিসট্রিবিউশন ভালো থাকার কারণে হাতে নিয়ে কম্ফোর্টেবল ফিল হবে । এটির ওজন ২১০ গ্রাম । পেছনের দিকের সম্পূর্ণ অংশটি প্লাস্টিক দিয়ে বানানো হয়েছে । তবে দেখে মনে হবে গ্লাস দিয়ে তৈরি । পেছনের ক্যামেরা সেট আপ টি ডায়মন্ড শেপ এর । মূলত এই ফোনটি পাওয়া যাবে কালো, নীল এবং সবুজ রঙে।
ফোনটির ডান পাশে রয়েছে ভলিউম আপ ডাউন বাটন। এবং তার সাথে রয়েছে পাওয়ার বাটন।
বলে রাখা ভালো এই ফোনটির পাওয়ার বাটন ফিঙ্গারপ্রিন্ট হিসেবে কাজ করবে৷
উপরের দিকে কিছু নেই। তবে নিচের দিকে রয়েছে একটি ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট, প্রাইমারি স্পিকার এবং একটি হেডফোন জ্যাক৷
পাওয়ার বাটন অর্থাৎ ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার টি তেমন দ্রুত কাজ করছিল না।
এবার আসা যাক ডিসপ্লের ব্যাপারে!
এই ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৬.৫ ইঞ্চির একটি জায়ান্ট ডিসপ্লে । যার রেজুলেশন ফুল এইচডি প্লাস । এবং এটি আইপিএস এলসিডি প্যানেলের তৈরি । এ ডিসপ্লে তে ব্যবহার করা হয়েছে ৯০ হার্জ রিফ্রেশিং প্যানেল৷ ডিসপ্লের শার্পনেস অথবা কালার নিয়ে অভিযোগ করার মত কিছু নেই৷
ফোনটি নিয়ে বেশি বাইরে যাওয়া হয়নি, তবে যতবারই গিয়েছি ততোবারই আমার মনে হয়েছে সানলাইট ভিসিবিলিটি আরো বাড়ানো উচিত ছিল।
এই ফোনটিতে একসাথে ব্যবহার করা হয়েছে মোট ৬ টি ক্যামেরা । প্রাইমারি ক্যামেরাটি ৬৪ মেগাপিক্সেল। এর এবং তার সাথে রয়েছে ৮+২+২+৪৮+৪ মেগা পিক্সেলের আরো পাঁচটি ক্যামেরা । ক্যামেরা নিয়ে আলাদা ভাবে বলার কিছু নেই। অফিশিয়ালি জানানো হয়েছে এই ফোনটিতে ইনফিনিক্স ক্যামেরার পেছনে বেশি ঘাম ঝড়িয়েছে । সুতরাং ক্যামেরার পারফরম্যান্স অসাধারণ হবে এটাই স্বাভাবিক।
মোবাইলের র্যাম হিসেবে ব্যাবহার করা হয়েছে ৮ জিবির র্যাম, এবং রোম হিসেবে ব্যাবহার করা হয়েছে ১২৮ জিবির রোম।
এবার আসা যাক মোবাইলের ব্যাটারি সেকশনে!
এ মোবাইলের ব্যাটারি হিসেবে থাকছে ৪৫০০ এম এ এইচ লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি । ফোনটা ফুল চার্জ হতে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট সময়ের প্রয়োজন হয়। চার্জার হিসেবে থাকছে ৩৩ ওয়াট এর ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি সমৃদ্ধ একটি চার্জার।
ফোনটি বাংলাদেশ কবে লঞ্চ করা হবে, অথবা বাংলাদেশ আদৌ লঞ্চ করা হলে এর দাম কত হবে সেই সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য মেলেনি৷