বর্তমানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের ফোন কোম্পানিগুলোতে ছেয়ে গেছে বাংলাদেশের ফোন বাজার৷ এবং এই ফোন গুলো নিয়ে টেকপ্রেমী দের মতে আগে থেকেই এক ধরনের আগ্রহ এবং কৌতুহল কাজ করে৷
তবে যারা মধ্যবিত্ত অথবা নিম্নবিত্তদের যেকোনো ধরনের স্মার্টফোন কিনতে হলে প্রথমে তাদের হাতের অবস্থার দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়৷ এবং সেই চিন্তা ধারাকে মাথায় রেখে অনেক সময় লো বাজেটের ফোন বাজারে নিয়ে আসে বিভিন্ন ধরনের ফোন কম্পানি ।
তেমনই একটি ফোন ছিল নোকিয়া থ্রি৷ আজ থেকে প্রায় তিন বছর আগে ফোনটি বাজারে লঞ্চ করা হয়৷ এবং সেই সময়টাতে ফোন বাজারে এসে এক ধরনের হুলুস্থুল বাধিয়ে দেয়। কারণ সেই সময়ে নোকিয়া ৩ ছিল সেরা বাজেট ফোন
।কি ছিল সেই ফোনে সেটি জানবো এই অৰ্টিকেলে৷
তাহলে প্রথমে আনবক্সিং দিয়ে শুরু করা যাক!
আনবক্সিং করে আপনারা পাতলা প্যাঁকেটে মোড়ানো স্মার্টফোনটি পেয়ে যাবেন৷ এবং তার সাথে থাকবে একটি চার্জার, কেবল তার সাথে একটি হেডফোন এবং সিম পিন। যেটি দিয়ে আপনারা সিম স্লট টি খোলামেলা করতে পারবেন।
বিল্ড মেটেরিয়াল দিয়ে কথা বলা যাক এবার!
ফোনের উপরের দিকে রয়েছে হেডফোন জ্যাক। নিচের দিকে রয়েছে প্রাইমারি স্পিকার । এবং তার সাথে পোর্ট৷
ফোনের ডান পাশে রয়েছে ভোলিয়াম আপ ডাউন বাটন। এবং তার সাথে পাওয়ার বাটন । এবং বাম পাশে রয়েছে আলাদা আলাদাভাবে দুইটি স্লট। যার মধ্যে একটিতে আপনারা মাইক্রো এসডি কার্ড প্রবেশ করাতে পারবেন এবং তার সাথে ডুয়েল সিম কার্ড প্রবেশ করাতে পারবেন৷
ফোনটিতে নোকিয়া ব্যবহার করেছে অ্যানড্রয়েড 7.0 Nougat
এই ফোনটির আসল আকর্ষণ যেটি সেটি হচ্ছে এর মেটাল বডি৷ খুবই অল্প দামের মধ্যে নোকিয়া এত সুন্দর মেটাল বডির একটি ফোন বাজারে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে সেজন্য নোকিয়াকে সাধুবাদ৷
বলতে গেলে ফোনটি যদি রাফ ইউজ ও করেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র ক্ষতি হবে না।
নোকিয়া ৩ মূলত চারটি রঙের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে৷ এর মধ্যে রয়েছে কালো, নীল, সিলভার হোয়াইট এবং সাদা।
ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে পাঁচ ইঞ্চির আইপিএস ডিসপ্লে ,রেজুলেশন ১২৮০×৭২০৷
এবার আসা যাক ফোনটির হার্ডওয়ার এর ব্যাপারে!
ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেক ৬৩৮৪
তার সাথে রয়েছে ২ জিব্জ র্যাম এবং ১৬ জিবি রোম৷ ইচ্ছে করলে এই মেমোরি বাড়িয়ে ২৫৬ জিবি পর্যন্ত বাড়িয়ে নিতে পারেন।
বর্তমানে অবশ্য এই দামে ৩ জিবি র্যাম এবং ৩২ জিবি রোমের অনেক স্মার্টফোন বাজারে এসেছে। তবে সেই ক্ষেত্রে কিন্তু স্মার্টফোনগুলোতে কোন না কোন অংশ কাট করে রাখা হয়। কিন্তু নোকিয়া সেটা করেনি!
বলাই বাহুল্য বড় ধরনের কোন গেম খেলতে পারবেন না৷ সত্তিকারের কথা বলতে এই ফোনটি আসলে দৈনন্দিন জীবনে যারা খুব লাইট ভাবে ইউজ করবেন তাদের জন্য তৈরি করা৷
আর এই ফোনটিতে এক ধরনের প্রিমিয়াম লুক হয়েছে৷ খুবি পাতলা হওয়ার কারণে হাতে নিয়ে মনে হবে না আপনি একটি মোবাইল ডিভাইস ধরে রয়েছেন।
বলতে লজ্জা লাগলেও এটাই সত্যি যে এই ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ২৬৫০ এম এ এইচ এর একটি ব্যাটারি৷ যেটা দিয়ে আপনি অনায়াসে একদিন ব্যাকআপ পাবেন৷ যদিও খুবই রাফ ভাবে ব্যবহার করলে দুই থেকে তিন ঘন্টার বেশি পাবেন না৷
ফোনটিতে রয়েছে মাত্র ৮ মেগাপিক্সেল ব্যাক ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা।
ফটো এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে বলার কিছু নেই৷ কারণ এই বাজেটে বর্তমানে যে সকল ফোনগুলো বাজারে রয়েছে তাদের মধ্যে নোকিয়া থ্রী কে ছেড়ে দিলে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
দিনের বেলা বেশ ভালো ছবি উঠে৷ তবে দিনের আলো কমতে থাকলে ক্যামেরার পারফরম্যান্স কমে যায়৷
বাংলাদেশি মূল্যে এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৫৯০ টাকা