বেশ কিছুদিন ধরে ওয়ালটন স্মার্ট ফোন বাজারে আনছে নতুন নতুন স্মার্টফোন। যেগুলো ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে শুরু করেছে৷ এবং ওয়ালটনের যতগুলো স্মার্টফোন সফলভাবে তাদের বাজার ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম ওয়ালটন প্রিমো জি এইচ ৯৷
তাহলে শুরুতেই একবার সংক্ষিপ্ত ভাবে জেনে নেওয়া যাক এর স্পেসিফিকেশন :
ফোনটিতে থাকছে:
*৬.১ ইঞ্চি এইস ডি +ইউ নচ ডিসপ্লে
*অ্যান্ড্রয়েড টেন ভার্সন
*২ জিবি রেম
*১৬ জিবি রোম
*ডুয়েল রিয়ার ক্যামেরা যার প্রাথমিক ক্যামেরা ১৩ মেগাপিক্সেলের
*৫ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা
*প্রসেসর হিসেবে থাকছে এম টি কে হেলীও এ ২০
*৩০০০ এমএএইচ ব্যাটারি
*ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর
এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক একটি সংক্ষিপ্ত রিভিউ!
শুরুতেই কথা বলা যায় ফোন ডিজাইন এবং বিল্ড কোয়ালিটি নিয়ে:
ফোনের পিছনের দিকে দেয়া হয়েছে পলিকার্বনেট প্লাস্টিক ৷ যখন হাতে নিয়ে ব্যবহার করবেন তখন মনে হবে বেশ হালকা মনে হবে। অবশ্য এই ফোনটি মাত্র ১৬৬ গ্রাম৷ তবে দেখে কিন্তু মোটেও হালকা মনে হবে না৷ একমাত্র ব্যবহারকারী বুঝতে পারবে!
এবং আমার মনে হয়েছে এই বাজেটের অন্যান্য যেসকল ফোনগুলো রয়েছে তার তুলনায় এই ফোনের বিল কোয়ালিটি যথেষ্ট সুন্দর৷
সেই সাথে এই ফোনটির রয়েছে মোট চারটি কালার৷
ফোনটির পেছনের দিকে রয়েছে ডুয়েল ক্যামেরা সেটআপ ৷ এবং তার ঠিক নিচেই রয়েছে একটি ফ্ল্যাশ লাইট ৷ ফ্ল্যাশ লাইট এর ঠিক পাশে রয়েছে একটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর৷ এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার টা কিন্তু এই বাজেটের ফোন করো তো সচরাচর পাওয়া যায় না৷ সেজন্য ওয়ালটনকে একটি ধন্যবাদ!
তাহলে এবার কথা বলা যায় এই ফোনটির ডিসপ্লে নিয়ে!
ফটোতে ব্যবহার করা হয়েছে এ সিক্স পয়েন্ট ওয়ান ইঞ্চির এইচডি+ ইউ নচ ডিসপ্লে৷
কনটেন্ট ভিউয়িং এক্সপেরিয়েন্স যথেষ্ট ভাল ছিল। কোন ধরনের কালার নেগেটিভিটি ছিল না বললেই চলে ৷ আর থাকলেও এই বাজেটের ক্ষেত্রে কিন্তু পুষিয়ে নেওয়া যায়৷
যদিও ফোনের ডিসপ্লে এইচডি প্লাস তবে তার পরও এই ফোনটিতে শার্টনেস এর কোন ধরনের ঘাটতি নেই৷ যদিও ফুল সান লাইটে ব্রাইটনেস কিছুটা কম মনে হচ্ছে৷
ফোনের ডানপাশে দেয়া হয়েছে ভলিউম আপ-ডাউন বাটন এবং পাওয়ার বাটন৷
উপরের দিকে রয়েছে ৩.৫ এম এম অডিও জ্যাক৷ এবং নিচের দিকে রয়েছে মাইক্রোফোন ইউএসবি পোর্ট এবং স্পিকার৷
যদিও এই ফোনে ব্যাটারি প্রবেশ করানোর জন্য ব্যাক পার্ট খুলতে হবে৷ অর্থাৎ ব্যাক পার্ট টি রিমুভ করা যায়৷ এবং ব্যাক পার্টটি রিমুভ করলে আপনারা পেয়ে যাচ্ছেন দুটি সিম কার্ড এবং একটি মাইক্রো এসডি কার্ড প্রবেশ করানোর যায়গা৷
এবং এই ফোনের ভেতরের মঞ্চে পারফর্মেন্স দেখাবে, অ্যান্ড্রয়েড টেন ভার্সন,২ জিবি রেম,১৬ জিবি রোম,প্রসেসর হিসেবে থাকছে এমটিকে হেলিও এ ২০।
এখন তাহলে কথা বলা যাক ফোনটির ক্যামেরা পারফরম্যান্স নিয়ে! ফোনটির পেছনে দেয়া হয়েছে ডুয়েল ক্যামেরা সেটআপ। প্রাইমারি ক্যামেরা ১৩ মেগাপিক্সেলের।
ফ্রন্টে এ দেওয়া হচ্ছে ৫ মেগাপিক্সেল এর সেলফি ক্যামেরা৷
সত্তিকারের কথা বলতে এই বাজেটের ফোন গুলোতে ক্যামেরা পারফরম্যান্স মোটামুটি ৷ তবে ওয়ালটনের এই ফোনটিতে ক্যামেরা পারফরম্যান্সে এভারেজের তুলনায় একটু ভালো ৷ আসলে এই বাজেটের ফোন গুলোতে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করাটাও বোকামি ৷ ডেলাইট এ অর্থাৎ আউটডোরেডোরে যথেষ্ট ভাল ছবি পাবেন। ছবির কালার দেখে মনে হয় প্রায় ন্যাচারাল এর কাছাকাছি ছিল।
সুতরাং এই বাজেটের ফোনে আপনি যতোটুকু কোয়ালিটি প্রত্যাশা করছেন ঠিক ততটুকুই কোয়ালিটি প্রোভাইড করবে।
বাংলাদেশি মডেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৭৯৯ টাকা।