স্যামসাং গ্যালাক্সি এম থার্টি ওয়ান এস! স্মার্টফোনটি আজ থেকে দু মাস আগে সর্বপ্রথম ভারতে লঞ্চ করা হয়। যেহেতু এটি স্যামসাংয়ের স্মার্ট ফোন, সুতরাং এটি নিয়ে সারা বিশ্বেই মানুষের মধ্যে এক ধরনের কৌতূহল কাজ করছিল।
ফোনটি লঞ্চ করার প্রায় দুই মাস হয়ে গেছে৷ এখন দেখার পালা এই ফোনটি তাদের ব্যবহারকারীদের কতটুকু সন্তুষ্ট করতে পেরেছে৷
জেনে নেওয়া যাক ফোনটি সম্পর্কে একটি ছোট্ট রিভিউ এবং স্পেসিফিকেশন৷
শুরুতে কথা বলা যাক ফোনটিকে ডিজাইন এবং বিল্ড কোয়ালিটি নিয়ে!
স্যামসাং তাদের এই ফোনটিতে এক ধরনের ফান্ডামেন্টাল গর্জিয়াস লুক এনেছে। পেছনের দিকে দেওয়া হয়েছে এক ধরনের গ্লসি ফিনিশিং।
ডিসপ্লেতে থাকছে ফুল ভিউ ডিসপ্লে৷ তার সাথে দেয়া হয়েছে ৬.৫ এইচডি প্লাস রেজুলেশনের সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে৷
এত সুন্দর গ্লোরিয়াস ডিজাইন দেওয়ার পর আপনার স্যামসাংয়ের স্মার্ট ফোন গুলোর ডিজাইন সম্পর্কে অভিযোগ করার কোন মানেই থাকবে না৷
বরাবরের মত এটি একটি প্লাস্টিক বিল্ডের মোবাইল ফোন৷ ডিসপ্লেটির প্রটেকশনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে গরিলা গ্লাস ৩৷
ফোনটিতে দুইটি সিম কার্ড ব্যবহারের পাশাপাশি একটি মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহারের সুযোগ থাকছে।
পরে কথা বলা যাক ফোনটির ডিসপ্লে নিয়ে।
ফোনটিতে দেয়া হয়েছে ৬.৫ ইঞ্চ এর একটি সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে৷ রেজুলেশন এইচডি প্লাস। তার সাথে ফোনটিতে থাকছে ৪৪৬ পিপিআই ডেনসিটি এবং আগেও বলা হয়েছে ,ফোনটির প্রটেকশন হিসেবে থাকছে কর্নিং গরিলা গ্লাস থ্রি৷
বলা যেতে পারে ডিসপ্লের দিক দিয়ে এই ফোনটিতে বাজিমাত করেছে স্যামসাং। এ বাজেটের ফোন গুলোতে সচরাচর অ্যামোলেড ডিসপ্লে দেখা যায়৷ তবে এই ফোনে এমোলেড ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে, তাও আবার প্রটেকশন শিল্ড কর্নিং গরিলা গ্লাস এর সাথে।
এবার কথা বলা যাক ফোনটির পারফরম্যান্স নিয়ে।
ফোনটির অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড টেন৷ এবং চিপসেট হিসেবে ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে এক্সিনোস ৯৬১১৷ প্রসেসরটি মূলত একটি অক্টা কোর প্রসেসর।
এ ধরনের প্রসেসর সম্পর্কে আমরা আগেও ধারণা পেয়েছি। মূলত এটি একটি গেমিং প্রসেসর । পাবজি থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের গেম কে খুব সহজেই হ্যান্ডেল করা যায় এই প্রসেসর দ্বারা। ল্যাকিং এর দেখা তো একদমই পাবেন না। যেকোনো ধরনের গেম এখানে এইচডি গ্রাফিক্স এ প্লে করতে পারবেন।
তবে এই ধরনের চিপসেটের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে কিছু সময় গেম খেললে এটা মাত্রা অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়।
ফোনটির রেম হিসেবে থাকছে ৬ জিবি রেম ও রম হিসেবে থাকছে ১২৮ জিবি রোম।
এবার কথা বলা যাক ফোনের ক্যামেরা নিয়ে
এই ফোনের ক্যামেরা সেটাপ টি একটি কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ যার প্রাইমারি সেন্সরটি ৬৪ মেগাপিক্সেল৷
প্রাইমারি সেন্সরটি দিয়ে আপনারা সর্বোচ্চ ফোরকে ভিডিও শুট করতে পারবেন।
সেলফিতে ব্যবহার করা হয়েছে থার্টি টু মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা৷ এবং সেলফি ক্যামেরা দিয়ে সর্বোচ্চ ফোরকে ভিডিও শুট করতে পারবেন৷ প্রাইস অনুযায়ী এর ক্যামেরা সেটআপ টি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।
কথা বলা যাক ফোনটির ব্যাটারি এবং এর চার্জার নিয়ে!
থাকছে 6 হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার এর একটি ব্যাটারি৷ যার সাথে থাকছে ২৫ ওয়াট এর ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি সম্পন্ন একটি চার্জার৷
এ ধরনের বাজেটে ছয় হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার এর ব্যাটারি স্যামসাং এর আগেও ব্যবহার করেছে৷ তবে তার সাথে কখনোই ২৫ ওয়াট এর ফাস্ট চার্জিং চার্জার ব্যবহার করেনি৷
ফোনটির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বাংলাদেশি মূল্যে ২৫০০০ টাকা ।