বাংলাদেশে আইটেল কোম্পানি তাদের মোবাইলগুলো দিয়ে একের পর এক ধামাকা দিয়ে আসছে। তারা খুব বেশিই জনপ্রিয়তা লাভ করে ফেলেছে। “ভিশন” সিরিজের মোবাইলগুলো দিয়ে খুব ভালো ব্যবসা করার পর তারা এবার “এ” সিরিজের কিছু নতুন ফোন বের করেছে। তারমধ্যে নতুন একটি মোবাইল হলো iTel A48। যেটা কিছুদিন হলো লঞ্চ করা হয়েছে। অর্থাৎ গত অক্টোম্বর মাসেই বাংলাদেশে অফিশিয়ালি লঞ্চ হয়েছে।। আজকে আমরা এই মোবাইলটা নিয়েই আলোচনা করবো।
প্রথমেই মোবাইলের কিছু ফিচার গুলো জেনে নেয়া যাক,
• মোবাইলটিতে রয়েছে ৬.১ ইঞ্চি নচ ডিসপ্লে।
• ৮ এবং ৫ মেগাপিক্সেলের ডুয়েল ক্যামেরা।
• ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে এন্ডোয়েড ১০।
• ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফেসলক তো থাকছেই।
• 3000mah এর নন রিমুভেবল ব্যাটারি।
আর ফোনটির দাম মাত্র ৬৯৯০ টাকা। এখন আসি বিস্তারিত আলোচনা নিয়ে।
ডিজাইন
ফোনটির ডাইমেনশন ১৫৫.৪ × ৭৩.৫ × ৮.৫ মিলিমিটার। ফোনটির ওজন ১৬৯ গ্রাম। কালার রয়েছে দুইটি। একটা হলো গ্রাডিয়েশন ব্লু এবং ব্লাক। পিছনে রয়েছে ফিংগার প্রিন্ট সেন্সর।
ডিসপ্লে
মোবাইলটি ব্যবহার করা হয়েছে ৬.১ ইঞ্চি ডিসপ্লে নস ডিসপ্লে। যেটা বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয় একটি ডিসপ্লে। ডিসপ্লেটির রেগুলেশন ৭২০×১৬০০ পিক্সেল।
ব্যাটারি
এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে 3000mah এর নন রিমোভেবল লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। আর আপনারা আগে থেকেই জানেন যে আইটেল খুবই ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপ দেয়। আইটের ব্যাটারির দিক দিয়ে সেরা। তাই 3000mah এও ভালো ব্যাকআপ পাবেন।
ক্যামেরা
ক্যামেরা নিয়ে বলতে গেলে এর অনেক সুন্দর ৫/৮ মেগাপিক্সেলের দারুণ কম্বিনেশন। সামনে রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেল এবং পিছনে ৮+০.৩ মেগাপিক্সেল। সাথে থাকছে ভিডিও রের্কডিং এ 1080p এর সুবিধা।
স্টোরেজ
স্টোরেজ ফোনটিতে রয়েছে ২ জিবি র্যাম এবং ৩২ জিবি রম। ২/৩২ আপনাকে খুবই সুন্দর একটা পারফরম্যান্স দিবে। তাছাড়াও আপনারা অতিরিক্ত স্টোরেজ এর জন্য ১২৮ জিবি পর্যন্ত মেমোরি কার্ডও ব্যবহার করতে পারবেন।
নেটওয়ার্ক
নেটওয়ার্ক হিসেবে থাকছে ২জি/৩জি/৪জি (HSPA+LTE) এর সুবিধা। ৪জি তে ভোল্ট ইনহেনস মোডও পাওয়া যাচ্ছে। সর্বোচ্চ স্পিড পাবেন ৫.৭৬ এম্বি/সেকেন্ড।
প্রসেসর
ফোনটিতে প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে (CPU Octa-core, 1.6 GHz) এবং (GPU PowerVR GE8322)। চিপসেট সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি।
সেন্সরসমূহ
ফোনের সেন্সর সমূহ, ফোনটিতে রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, ফেসলক সিস্টেম। এর ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি তুলনামূলক অনেক ভালো প্রাইস অনুযায়ী। তবে এখানে মাল্টিটাচ ব্যবহার করা হয়নি।
গেমিং এক্সপেরিয়েন্স
গেমিং এক্সপেরিয়েন্স বলতে এখানে ভালো প্রসেসর বা চিপসেট না থাকায় ভারী অনলাইন গেম (যেমনঃ পাবজি, ফ্রি-ফায়ার) খেলতে পারবেন না। অনেক ল্যাগ এবং ফ্রেমড্রপ করবে। তবে আপনারা অফলাইনের প্রায় সকল গেমই অনায়াসে খেলতে পারবেন। অনলাইন গেম হিসেবে হালকা গ্রাফিক্স এর গেম (যেমনঃ Clash of Clan) সহজেই খেলতে পারবেন। কোনো প্রকার সমস্যা হবে না।
মতামত,
ফোনটিতে আমার কিছু ফিচার ভালো লেগেছে, আবার কিছু খারাপ। তো প্রথমই আসি পছন্দের দিক নিয়ে। ফোনটিতে রয়েছে Android 10, ৬.১ ইঞ্চির ১০৮০p এর ডিসপ্লে, ফিংগারপ্রিন্ট এবং ফেসলক সেন্সর। এবার আসি আমার অপছন্দের দিক নিয়ে। ফোনটিতে রয়েছে ৩০০০ mah এর ব্যাটারি (৪০০০ হলে বেটার হতো। ভিশন ১ এও ৪০০০ ছিল)। ফোনটিতে মাল্টিটাচ সেন্সর টা ব্যবহার করা উচিত ছিল। তো এই ৩ টা সমস্যা ছাড়া ফোনটা আমার মোটামুটি ভালোই লেগেছে। ফোনের লুক থেকে শুরু করে পারফর্মেন্স পর্যন্ত খারাপ ছিল না।