একটা সময় ছিল,যখন ওয়ানপ্লাস তাদের ফ্ল্যাগসিপ কিলার বলত । তবে এখন তারা নিজেরাই ফ্ল্যাগসিপ হয়ে গেছে ।
চলুন দেখে নেই ওয়ানপ্লাস বাড্স যেড এর রিভিউ
আনবক্সিং : ওয়ানপ্লাস এর বক্স গুলো সাধারণত একটু প্রিমিয়াম কুয়ালিটির হয় এটাও তার বিপরীত নয় । বক্সটা সাদা এবং লাল এর একটা সুন্দর রঙের তৈরি লালের মধ্যে লেখা ওয়ানপ্লাস বাডস জেড । বক্সের উপরের অংশ খুললে একটা সাদা রঙের ক্যাপসুল দেখতে পাবেন যেখানে হালকা করে লেখা আছে ওয়ানপ্লাস ,তার নিচে রয়েছে আর একটি লাল রঙের বক্স । বক্সটি খুললে পেয়ে যাবেন একটা ইউজারম্যানুয়াল গাইড , লাল রঙের একটি ইউএসবি টাইপ সি ক্যাবল ,দুইটা টিপ্সএর কী যেগুলো আপনি কানের সায়িজে সেটআপ করে নিতে পারবেন ।
লুক : OnePlus Buds Z দেখতে একদম ক্যাপসুলের মত । ক্যাপসুলটা দেখতে সাদা রঙের ।আরয়েকটা গ্রে রঙ রয়েছে ।ক্যাপসুলটাতে বড় বড় করে লেখা ওয়ানপ্লাস যার প্রতিটা অক্ষর বড় হাতের ,তবে সাথে কোন লোগো নেই । ক্যাপসুলট তৈরি পলিকার্বনেটের অর্থাৎ প্লাস্টিক বিল্ডের তবে ধরলে একটা প্রিমিয়াম ফিল পাওয়া যায় । এটা কিন্তু গ্লোসি ফিনিশ তাই দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে। এর নিচের দিকে রয়েছে টাইপ-সি (type-C) পোর্ট তার পাশেই রয়েছে একটি বাটন । ক্যাপসুলটা খুললে দুইটা বাড্স পেয়ে যাবেন যেটাও প্লাস্টিকের তৈরি । তবে এর কুয়ালিটি অনেক ভাল । এর বক্স টা বন্ধ করলে একটা সুন্দর শব্দ হয়।
ফিচার : এতে রয়েছে ফাস্ট চার্জ সিস্টেম যার মাধ্যমে মাত্র ১০ মিনিট চার্জ করে ৩ ঘন্টা ব্যাবহার করতে পারবেন । এটা আপনারা যদি টুকটাক বৃষ্টির মধ্যেও ব্যাবহার করেন তবুও কিন্তু কোন সমস্যা হবে না বা নষ্ট হওয়ার সমভবনা নেই । আপনি যখন কান থেকে খুলবেন তখন অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে । এতে রয়েছে টাস কনট্রল সিস্টেম । এটা কে আপনি আপনার নিজের মত করে কাস্টমাইজ করে নিতে পারবেন । এর জন্য কিন্তু আবডেট আসবে যার ফলে কোনো সমস্যা হলে আপনারা ঠিক করে নিতে পারবেন ।
বক্সটা খলা অবস্তাই উল্টা করলে পরে যাওয়ার কোনো ভয় নেই । এটা আটকে থাকে । বক্স সহ এর ওজন রয়েছে মাত্র ৪৫ গ্রাম এবংএর প্রতিটি বাডস এর ওজন ৪.৩৫ গ্রাম ।তো বুঝতেই পারছেন একদম হালকা ।এটা সারাদিন কানের সাথে লাগিয়ে রাখলেও কোন সমস্যা হবে না । এটা খুব সহজেই আপনার কানের সাথে লেগে যাবে ,যদি কানে ফিট হতে কোন সমস্যা হয় তবে আপনি বক্সে দেওয়া ,দুইটা টিপ্সএর কী দিয়ে সেই সমস্যা ঠিক করে নিতে পারবেন ।
পারফর্মেন্স : এতে রয়েছে ১০ এম এম বেস বুস্ট ড্রাইভার যার ফলে একটা ভাল সাউন্ড কুয়ালিটি পাবেন । এখানে একদম ক্লিয়ার সাউন্ড পাবেন , কোনো নয়েস পাবেন না । অনেকের প্রশ্ন থাকে যে, এটা গেমিং টিডব্লিউএস কিনা ? তাদের জন্য বলি এটাতে হালকা ল্যাটেন্সি রয়েছে । তবে এটা কথা বলার জন্যে খুবি ভাল । এটা ঘরে ব্যাবহার করলে কোনো সমস্যা হবে না তবে আপনি যদি খুব নয়িসি এলাকাই যান তবে আপনার কোনো সমস্যা হবে না কিন্তু ওপাশ থেকে যে কথা শুনবে তার একটু সমস্যা হবে ।
ব্যাটারি: এতে ব্যাবহার করা হয়েছে ৪৫০০ mAh একটি ব্যাটারি । এটা ফুল চার্জ অবস্থায় আপনি ৫ ঘন্টা ব্যাবহার করতে পারবেন আর এর বক্সসহ টোটাল ২০ ঘন্টা মিওসিক প্লে-টাইম পাবেন ।
তো আপনার বাজাট যদি ৪ হাজার টাকার কাছাকাছি হয়ে থাকে তো আপনি এটা নিতে পারেন এটা কথা বলা ও গান শোনার জন্য পারফেক্ট তবে গেম খেলার জন্য ঠিক নয় ।