ইদানিং বাজেট ফোন একটু বেশী চাহিদাবহুল।সে কারনে বিভিন্ন স্মার্টফোন ব্র্যান্ড মিড বা লো মিড বাজেট ফোনের দিকে বেশী ঝোক দিয়েছে।
অনেকেই ‘মটোরোলা’ ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনের সাথে পরিচিত। অনেকে এই ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন ব্যাবহারও করেছি। তো এই স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটি ২০২০ সালের, সেপ্টেম্বর মাসে তাদেএ নতুন একটি ফোনের মডেল বের করে। যেটা আমাদের দেশে রিলিজ হয় কিছুদিন আগে। ফোনটি ভালোই সারা ফেলেছিলো মোবাইল বাজারে। সেই স্মার্টফোনের মডেলের নামটি হচ্ছে ‘মটো ই৭ প্লাস’। আজকে কথা হবে এই স্মার্টফোনটির রিভিউ নিয়ে। ফোনটিতে কি কি রয়েছে এবং সেগুলো কতটা ভালো হবে, সেসব কিছুই আজ আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করবো।
তাহলে, দেরি না করে চলুন নিচে গিয়ে জেনে আসি এই ফোনটির ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু তথ্যঃ⤵
বডিঃ
‘মটোরোলা’ তাদের এই স্মার্টফোনের বডি ডিমেনশন দিয়েছে ১৬৫.২×৭৫.৭×৯.২ মি.মি.। এই ফোনটির মোট ওজন হচ্ছে ২০০ গ্রাম। ফোনটিতে রয়েছে ডুয়্যাল সিম স্লট, যেগুলোতে ন্যানো সিম ব্যাবহার করা যাবে।
ডিসপ্লেঃ
এই ফোনটির ডিসপ্লে হচ্ছে ৬.৫ ইঞ্চি। ডিসপ্লেটি ‘আইপিএস এলসিডি’ যুক্ত। স্ক্রিন থেকে এর বডির রেশিও ৮১.৬%। এর রেজুলেশন হচ্ছে ৭২০×১৬০০ পিক্সেলের, যেটা ‘২৭০ পিপিআই ডেনসিটি’ সমৃদ্ধ।
প্লাটফর্মঃ
ফোনটির প্লাটফর্ম ওএস’এ থাকছে ‘এন্ড্রোয়েড ১০’। প্রসেসরে দেয়া হয়েছে ‘কোয়ালকম এসএম৪২৫০ স্ন্যাপড্রাগন ৪৬০’। যেটি ‘১১ ন্যানোমিটারে’র একটি ভালো মানের প্রসেসর৷ এই ফোনের ‘সিপিইউ’তে থাকছে ‘অক্ট্যা কোর’ এবং ‘জিপিইউ’তে থাকছে ‘এদ্রেনো ৬১০’।
ক্যামেরাঃ
ব্যাকঃ ‘মটোরোলা’ তাদের এই বাজেট ফোনটির পিছনে দিয়েছে দুইটি ক্যামেরা। সেগুলো হচ্ছে ৪৮ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড লেন্স এবং ২ মেগাঃ’র ডেপথ লেন্স। বাজেট সেগমেন্ট হিসেবে ফোনটির ক্যামেরা ছিলো অসাধারন। ক্যামেরার ফিচারে আরও থাকছে ‘এলইডি ফ্ল্যাশ, এইচডিআর এবং প্যানোরামা মোড’। এই ফোনের ক্যামেরা দিয়ে ১০৮০’পি রেজুলেশনের ভিডিও সুন্দরভাবেই রেকর্ড করা যাবে৷
ফ্রন্টঃ এই ফোনটির সামনে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের একটি ওয়াইড ওয়াটারড্রপ নচ সিস্টেমের ক্যামেরা। যেটা এইচডিআর মোডের। এই ক্যামেরাটা দিয়েও রেকর্ড করা যাবে ১০৮০’পি রেজুলেশনের ভিডিও।
মেমোরীঃ
‘মটোরোলা’ তাদের এই ফোনটি বাজারে রিলিজ করে, শুধুমাত্র একটি ভ্যারিয়্যান্টে। সেটা হচ্ছে ‘৪/৬৪ জিবি’ ভ্যারিয়্যান্ট। এছাড়াও, ফোনের দুটি সিম স্লটের একটি’তে মেমোরি কার্ড ব্যাবহার করা যাবে। সেক্ষেত্রে, ২৫৬ জিবি’র উপরের মেমোরি কার্ডও সেখানে ব্যাবহার করা যাবে।
নেটওয়ার্কঃ
‘মটোরোলা’ বরাবরের মতোই তাদের এই স্মার্টফোনেও রেখে দিয়েছে ‘৪জি’ নেটওয়ার্ক স্পিড। আশা করা যায় এই ব্র্যান্ডটি, সামনে কোনো বাজেট স্মার্টফোন বের করলে সেটাতে নেটওয়ার্ক আপগ্রেড হয়ে পারে। ৪জি ব্যান্ডের নেটওয়ার্ক টেকনোলজিতে রয়েছে ‘ জিএসএম / এইচএসপিএ / এলটিই ‘।
সাউন্ডঃ
এই ফোনটির সাউন্ড সেগমেন্ট ছিলো অসাধারন ক্লিয়ার। লাউড স্পিকারে যেকোনো ধরনের মিউজিক সুন্দরভাবেই উপভোগ করা যাচ্ছিলো এই ফোনটির স্পিকারে। থাকছে ৩.৫ মি.মি.’র ইয়ারফোন জ্যাক।
ব্যাটারীঃ
‘মটোরোলা’ তাদের এই ফোনটিতে দিয়েছে ৫০০০ এমএইচের ব্যাটারী। সেই সাথে বক্সে আরও দিয়ে দিয়েছে ১০ওয়াটের ফাস্ট চার্জার। এই বাজেটে অনেক স্মার্টফোনে, ব্যাটারী ক্যাপাসিটি কম থাকে। সেই হিসেবে এই ফোনটির ব্যাটারী ক্যাপাসিটি ছিলো বেশ ভালো।
ফিচারঃ
এই ফোনটিতে সিকিউরিটি সেন্সর হিসেবে দেয়া হয়েছে ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’। যেটি ফোনটির পিছনে সুন্দরভাবে ‘মটোরোলা’র ব্র্যান্ডিং করা অবস্থায় ছিলো। এর সেন্সরে আরও রয়েছে
‘অ্যাক্সেলেরোমিটার এবং প্রক্সিমিটি’।
যেসব পরিবর্তন রয়েছে এই ফোনেঃ
‘মটোরোলা’ তাদের এই ফোন বিশেষ কোনো পরিবর্তন আনেনি। বাজেট অনুযায়ী ব্যাটারী ক্যাপাসিটি এবং ক্যামেরার রেজুলেশনে কিছু পরিবর্তন নিয়ে, বাজারে চলে আসে এই স্মার্টফোনটি। যেটা অনেকের কাছেই ভালো লাগতে পারে।
দামঃ
‘মটোরোলা’র এই ফোনটির একটি ভ্যারিয়্যান্ট আমাদের দেশে বর্তমানে অ্যাভেইলেবল রয়েছে। সেটির দাম হচ্ছে ‘৪/৬৪ জিবি – ১৪,৯৯০ টাকা’।