আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)। ইরান সম্প্রতি সেনাবাহিনীর জন্য সংযুক্ত করেছে অত্যাধুনিক AI চালিত অস্ত্র ও সিস্টেম, যা যুদ্ধ কৌশল এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে।
কী রয়েছে নতুন এই অস্ত্র ব্যবস্থায়?
ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, AI সমৃদ্ধ এই অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
স্বয়ংক্রিয় ড্রোন সিস্টেম
-
স্মার্ট রকেট লঞ্চার
-
এআই বেইসড ব্যালিস্টিক মিসাইল গাইডেন্স
-
সেন্সরযুক্ত বর্ডার পেট্রোল রোবট
-
ইনটেলিজেন্ট থ্রেট ডিটেকশন সফটওয়্যার
এই প্রযুক্তিগুলো শত্রুর গতিবিধি শনাক্ত, পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং আত্মরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া প্রদানে সক্ষম।
কেন AI চালিত অস্ত্রের দিকে ঝুঁকল ইরান?
বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার চেষ্টা করছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে:
-
নির্ভরতা কমানো সম্ভব মানব সম্পদের ওপর
-
সীমান্ত পর্যবেক্ষণে বৃদ্ধি পাবে কার্যকারিতা
-
আক্রমণাত্মক এবং প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতা বহুগুণ বাড়বে
-
যুদ্ধক্ষেত্রে রিয়েল-টাইম বিশ্লেষণ হবে সহজতর
আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়ছে
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, AI চালিত অস্ত্র ব্যবস্থার অপব্যবহার এবং “অকালে সিদ্ধান্ত” হতে পারে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের কারণ।