বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নির্মিত হয়েছে একটি লাইট অ্যাটাক ড্রোন, যার নাম KX-2। নিজস্ব প্রযুক্তি, গবেষণা এবং স্থানীয় সামরিক ও বেসরকারি উদ্ভাবকদের অংশগ্রহণে তৈরি এই ড্রোনটি দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় যুগান্তকারী মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
কী এই KX-2 ড্রোন?
KX-2 হচ্ছে একটি ট্যাকটিক্যাল UAV (Unmanned Aerial Vehicle) যা নজরদারি ছাড়াও সীমিত অস্ত্র বহনে সক্ষম। এর মাধ্যমে টার্গেট একুইজিশন, দুর্বল পজিশনে আঘাত ও রিকনেসেন্স মিশন চালানো সম্ভব।
কারা তৈরি করেছে?
ড্রোনটি তৈরি করেছে দেশেরই একটি স্বনামধন্য ডিফেন্স ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম, যার সঙ্গে সামরিক বাহিনীর একটি গবেষণা শাখা ও স্টার্টআপ প্ল্যাটফর্ম যুক্ত। ডিভাইসটির সফটওয়্যার ও নিয়ন্ত্রণ ইউনিট পুরোপুরি দেশীয়ভাবে বিকশিত।
KX-2 ড্রোনের প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য
বৈশিষ্ট্য | বিবরণ |
---|---|
ফ্লাইট সময় | ৯০ মিনিট |
অস্ত্র বহন ক্ষমতা | ২টি গাইডেড মাইক্রো মুনিশন |
রেঞ্জ | ১০০ কিলোমিটার (লাইন-অব-সাইট) |
সেন্সর | EO/IR ক্যামেরা, লেজার রেঞ্জফাইন্ডার |
ভিডিও | এনক্রিপ্টেড লাইভ স্ট্রিমিং |
গঠন | কম্পোজিট ফাইবার বডি, রাডার-ইভেসিভ ডিজাইন |
নিয়ন্ত্রণ | স্যাটেলাইট, ৪জি, বা নির্দিষ্ট RF সিগন্যাল |
ব্যবহারের সম্ভাব্য খাত
সীমান্তে নজরদারি ও নিরাপত্তা বাহিনীকে সহযোগিতা
নদীভাঙন ও বন্যা পরিস্থিতির উপর রিয়েল-টাইম ডেটা সরবরাহ
শস্য চাষ পর্যবেক্ষণ ও কৃষি ডেটা সংগ্রহ
জঙ্গি তৎপরতা বা অবৈধ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ
বিশেষ দিক
সম্পূর্ণ দেশীয় সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ইন্টিগ্রেশন
বিদেশি ইউএভি-এর তুলনায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত খরচ সাশ্রয়ী
রপ্তানি সম্ভাবনাও বিবেচনায় রাখছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান
কৌশলগত গুরুত্ব
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশীয় প্রযুক্তিতে এমন একটি UAV তৈরি হওয়া “ডিফেন্স টেক ইনডিপেন্ডেন্স”-এর দিকেই অগ্রযাত্রা। চীন, তুরস্ক ও ইরানের মতো দেশ যেখানে নিজস্ব ড্রোন ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কৌশলগত সুবিধা নিচ্ছে, সেখানে KX-2 বাংলাদেশের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।