যাঁদের চীন সম্পর্কে ধারণা আছে তারা বলবেন, এখনই সেখানে নিজেকে আড়াল করে চলাফেরা করা মুশকিল। চীনে সবকিছুই নজরদারির ভেতরে রাখতে কোথাও না কোথাও ক্যামেরা বসানো আছে। এবারে চীনের আন্তর্জাতিক ইন্ডাস্ট্রি ফেয়ারে নতুন এক ধরনের ক্যামেরা প্রদর্শন করা হয়েছে যা লাখো মানুষের মধ্যে থেকেও নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হবে।
এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের নতুন এ ক্যামেরা সিস্টেমকে বলা হচ্ছে ‘সুপার ক্যামেরা’। এ ক্যামেরার ডিটেইল ধারণ করার দুর্দান্ত ক্ষমতা রয়েছে। এ ক্যামেরা তৈরি করেছেন ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়, চ্যাংচুন ইনস্টিটিউট অব অপটিকস, ফাইন মেকানিকস অ্যান্ড ফিজিকস অব চাইনিজ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের গবেষকেরা। সুপার ক্যামেরায় ৫০০ মেগাপিক্সেলে ছবি তোলা যাবে। অর্থাৎ, স্টেডিয়াম ভরা মানুষের মধ্যে একটি লাগানো হলেও প্রত্যেক ব্যক্তির মুখের স্পষ্ট ছবি ভালো রেজুলেশনে তুলতে পারবে।
সুপার ক্যামেরার সঙ্গে ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তি যুক্ত করা সম্ভব। এতে রিয়েল টাইমে ফেস রিকগনিশন সুবিধা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিজনের চেহারা শনাক্ত করে ফেলতে পারবে। অর্থাৎ, চীনের কোনো ব্যস্ত শহরে এ ক্যামেরা বসানো থাকলে হাজারো মানুষের মধ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে মুহূর্তের মধ্যেই খুঁজে বের করা যাবে। এ ছাড়া এতে ধারণ করা ভিডিও পর্যালোচনা করে চেহারা শনাক্ত ও আচরণ বোঝা যাবে।
চায়না নিউজ সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, দেশের সামরিক, জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তার বিভিন্ন খাতের জন্য ক্যামেরাটির সম্ভাবনা ব্যাপক। তবে ক্যামেরা ঘিরে প্রাইভেসি লঙ্ঘনের উদ্বেগও রয়েছে। তবে চীনে ইতিমধ্যে এ বিষয়টি চীনের নাগরিকেরা মেনে নিয়েছেন।
তবে, ব্যাপক তথ্য সংগ্রহ করার ফলে এর প্রয়োগ সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ উঠতে পারে। ভিডিওসহ ৫০০ মেগাপিক্সেলের ছবি প্রসেস করার বিশাল কাজের অংশ। এতে ডেটা সেন্টারগুলো হতে হবে দারুণ শক্তিশালী।