মঙ্গল কিংবা চাঁদে বসবাসের ইচ্ছা মানুষের অনেক দিনের। এখনও যারা এ ইচ্ছা পোষণ করেন মনে, তাদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
মঙ্গল গ্রহে বাসস্থান করা গেলেও খাদ্য সংকটের কথা তো সকলেরই জানা। বিজ্ঞানীরা এই খাদ্য সংকট দূর করার লক্ষ্যে মঙ্গলের মাটির নমুনা পরীক্ষা করেন। এ পরীক্ষার জন্য ১০ রকমের ফসল বাছাই করা হয়েছিলো।
এ বিষয়ে গবেষক উইগার ওয়ামেলিংক বলেন, মঙ্গলের মাটির নমুনায় টমেটো, মটরশুঁটি, শাক, মূলা, পালংশাক, পিঁয়াজ জাতীয় গাছ নিয়ে মোট ১০ রকমের ফসল ফলিয়ে দেখা হয়েছে, যার মধ্যে ৯টি ফসল সফলভাবে ফলেছে। মঙ্গলের মাটির নমুনায় জন্মানো টমেটোর ক্রমশ লাল হয়ে যাওয়া দেখে তারা উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছিলো। তবে পালং শাক খুব ভালোভাবে জন্মায়নি।
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, বিজ্ঞানী গিলবার্ট ভি লেভিন ৪০ বছর আগেই মঙ্গলে প্রাণের সন্ধান পেয়েছিলেন। ১৯৭৬ সালে নাসা একটি বাইকিং ল্যান্ডার পাঠিয়েছিলো মঙ্গলে, যার প্রিন্সিপ্যাল ইনভেস্টিগেটর ছিলেন গিলবার্ট ভি লেভিন। সম্প্রতি আমেরিকার একটি জার্নালে ওই অভিযান সংক্রান্ত একটি আর্টিকেলে তিনি লাল গ্রহে প্রাণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল- এ তথ্য লিখেন।
মূলত মঙ্গলের মাটি পরীক্ষা করার জন্যই ঐ ল্যান্ডার পাঠানো হয়েছিলো। এ পরীক্ষার নাম ছিলো ‘লেবেলড রিলিজ’। এ পরীক্ষায় মঙ্গলের মাটিতে কিছু পৌষ্টিক উপাদান পাওয়া গিয়েছিল।
বিজ্ঞানীদের মতে, মঙ্গলে প্রাণ থাকলে তারা খাবার খেয়ে বায়বীয় পদার্থ বর্জন করতো, যা তাদের পরিপাকক্রিয়ার প্রমাণ দিত এবং ওই ল্যান্ডারের রেডিওঅ্যাকটিভ মনিটরে সেই প্রমাণ পাওয়া পাওয়া গিয়েছিলো বলে জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানী লেনিন। ওই মাটি নিয়ে নাসা দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করলে তখনও প্রাণের প্রমাণ উঠে এসেছিলো।