আইফোন ১১ লাইনআপে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচার যোগ করেছে অ্যাপল। এসব ফিচারের মধ্যে রয়েছে আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা, নাইট মোড ও দ্রুত চার্জিং সুবিধা। একই সঙ্গে আইফোনের সর্বশেষ সংস্করণে বেশকিছু আধুনিক ফিচারের অনুপস্থিতি রয়েছে। অথচ এসব ফিচার অন্য ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনে দেখা যায়।
আইফোন ১১তে আধুনিক যে ছয়টি ফিচার নেই, সেগুলো হল
ইউএসবি-সি
একটি ডিভাইসকে অন্য কোনো ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত করা এবং চার্জ দেয়ার ক্ষেত্রে ‘ইউএসবি-সি’ এক অবিসংবাদিত আধুনিক স্ট্যান্ডার্ডে পরিণত হয়েছে। প্রায় সব ব্র্যান্ডের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে এখন ইউএসবি-সি পোর্ট দেখা যায়। এমনকি অ্যাপলের আইপ্যাড প্রো এবং ম্যাকবুক প্রোতেও ইউএসবি-সি পোর্ট রয়েছে। তবে সম্প্রতি বাজারে আসা আইফোন ১১তে লাইটেনিং পোর্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এ ধরনের চার্জিং পোর্টকে এখন পুরনো বলে মনে করা হয়।
দ্রুতগতির মসৃণ স্ক্রিন
ব্যবহারকারীকে আরো দ্রুতগতির মসৃণ স্ক্রিনের অভিজ্ঞতা দিতে হাই-এন্ড সব ডিভাইসে এখন ৯০ হার্টজের স্ক্রিন ব্যবহূত হচ্ছে। এক্ষেত্রেও পিছিয়ে রয়েছে অ্যাপলের আইফোন ১১ লাইনআপ। ডিভাইসগুলোয় ৬০ হার্টজের স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়েছে। প্রিমিয়াম ডিসপ্লের অভিজ্ঞতা দিতে নতুন আইফোন কিছুটা পিছিয়ে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ব্যাকআপের সুবিধা দিতে আইফোন ১১তে ৬০ হার্টজের স্ক্রিন ব্যবহার করেছে অ্যাপল।
নচ ডিজাইনের অনুপস্থিতি
প্রত্যাশা ছিল আইফোন ১১তে নচ ডিজাইনের সঙ্গে পরিচয় করাবে অ্যাপল। বাস্তবে তা ঘটেনি। বিদ্যমান সব স্মার্টফোনে এখন নচ ডিজাইন এবং নচ ডিসপ্লে দেখা যাচ্ছে। অ্যাপলের ফেস আইডি ফেসিয়াল রিকগনিশনে একাধিক সেন্সর ব্যবহূত হয় এবং এ ক্যামেরা প্রযুক্তি সাধারণ সেলফি ক্যামেরা থেকে কয়েক গুণ অ্যাডভান্সড। ফেস আইডি সেন্সর স্থাপনের জন্য তুলনামূলক বেশি জায়গা প্রয়োজন। ধারণা করা হচ্ছে, একাধিক সেন্সর হাইড করার জটিলতা এড়াতে সর্বশেষ আইফোনে নচ ডিজাইন আনা হয়নি।
ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর
বাজারে মাঝারি থেকে চড়া দামের সব ডিভাইসে এখন ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর যুক্ত করার ট্রেন্ড চালু হয়েছে। আইফোন ১১তে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরের অনুপস্থিতি আইফোনপ্রেমীদের কিছুটা হতাশ করেছে। অথচ আইফোন ১১ লাইনআপে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ব্যবহারে কোনো বাধা ছিল না। এজন্য প্রয়োজনীয় কোনো সেন্সর বাদ দেয়ারও জটিলতা ছিল না। ডিভাইসের তথ্যের নিরাপত্তার জন্য এখন ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।
রিভার্জ ওয়্যারলেস চার্জিং
স্মার্টফোনে রিভার্জ ওয়্যারলেস চার্জিং একটি নতুন ফিচার। বিশ্ববাসী ২০১৮ সালে হুয়াওয়ে ফোনের মাধ্যমে এ ফিচারের সঙ্গে পরিচয় হয়। সম্প্রতি বাজারে আসা গ্যালাক্সি এস১০ এবং গ্যালাক্সি নোট ১০-এর মাধ্যমে ফিচারটির ব্যবহার শুরু করেছে স্যামসাং। ফিচারটি ডিজাইন করা হয়েছে ফোন থেকে অন্যান্য ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তি সংবলিত ডিভাইস চার্জের উপযোগী করে। অ্যাপল ডিভাইসপ্রেমীদের কাছে আইফোন ১১তে রিভার্জ ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তি প্রত্যাশিত ছিল।
ফাইভজি সমর্থন নেই
স্যামসাং ও হুয়াওয়ে এরই মধ্যে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ফাইভজি সমর্থিত স্মার্টফোনের সঙ্গে পরিচয় করিয়েছে। আইফোন ১১ লাইনআপের অন্তত একটি ডিভাইসে ফাইভজি সমর্থন আশা করা হয়েছিল। বাস্তবে তা ঘটেনি। অ্যাপল বরাবরই আইফোনে নতুন টেকনোলজি যুক্ত করতে কিছুটা সময় নেয়। এবারো একই পন্থা অবলম্বন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার