দেশে প্রথমবারের মতো পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল সেবার প্রদর্শনী করবে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান জেডটিই কর্পোরেশন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হতে যাওয়া ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় ‘৫জি’ নামে পরিচিত পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তির উদ্ভাবন, ব্যবহারিকসহ পণ্য এবং সেবার দেখা মিলবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে জেডটিই বাংলাদেশ।
ডাক, টেলিযোগাযোগ বিভাগের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ। উদ্বোধনী পর্বে সভাপতিত্ব করবেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
দেশের মানুষের কাছে ‘৫জি’ প্রযুক্তি তুলে ধরার পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রমের আওতায় গত এক দশকে সরকারের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরা হবে এই মেলায়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর বছরে আয়োজিত প্রদর্শনীর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘প্রযুক্তির বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় প্রযুক্তির মহাসড়ক’।
মেলায় জেডটিইর বুথে ৫জি প্রদর্শনীর পাশাপাশি দর্শনার্থীদের কাছে নেটওয়ার্ক অ্যাকসিলারেশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, চাহিদা ভিত্তিক পরিবহন নেটওয়ার্ক, স্বয়ংক্রিয় চিপসেটের পাশাপাশি ‘কমন কোর’ নামের সেবা তুলে ধরা হবে ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা দিতে।
জেডটিই বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ভিনসেন্ট লিউ বলেন, প্রযুক্তি ভিত্তিক সেবা গ্রহণের মাধ্যমে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অর্থনীতি, সামাজিক এবং সংস্কৃতি মূল্যবোধের ‘ইতিবাচক পরিবর্তন’ এসেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় প্রযুক্তি খাতে জেডটিইর বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি ৫জি এবং সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি সমূহের প্রয়োগ এবং সম্ভাবনা তুলে ধরা হবে বলে জানান ভিনসেন্ট।
বাংলাদেশে শতাশিক অংশীদার প্রতিষ্ঠানের সাথে পরিবহন, স্বাস্থ্য সেবা এবং আবাসন খাতে ‘আধুনিক এবং জ্বালানী সাশ্রয়ী’ উদ্ভাবনী প্রযুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে কাজ করছে জেডটিই। পাশাপাশি গণমাধ্যম এবং গেমিং সেক্টরে ‘কন্টেন্ট বিনিময়’ নিয়েও কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
জেডটিই বাংলাদেশের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা প্যাং ওয়েই জানান, কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে, ১৯৯৮ সাল থেকে উদ্ভাবনী সেবা সমাধান নিয়ে বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত পরিবর্তনে অবদান রাখছে চীনা প্রতিষ্ঠান জেডটিই। এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী কার্যক্রমের আওতায়, ৩৫টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সাথে ৫জি নিয়ে কাজ করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে আধিপত্য বজায় রাখতে বার্ষিক মুনাফার ১০ শতাংশ গবেষণা এবং উন্নয়নে বরাদ্দ রাখছে প্রতিষ্ঠানটি।