খুব চমকপ্রদ এক তথ্যই দিলেন বিজ্ঞানীরা। ১৯৬০ এর দশকে পৃথিবীতে আছড়ে পড়া একটি উল্কা পিন্ড থেকে কোটি কোটি বছর পুরোনো একটি মৃত নক্ষত্রের ক্ষুদ্রাংশ পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন এই মহাজাগতিক বস্তুটিই পৃথিবীতে থাকা সবচেয়ে পুরোনো কঠিন পদার্থ।
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ার মার্চিসন শহরটিতে হাজার খানেক মানুষের বসবাস। তবে ছোট এই শহরটি মহাকাশ বিজ্ঞানের জন্য এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ এক স্থান। আমাদের নক্ষত্র সূর্যের জন্ম হয় ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগে। তবে অস্ট্রেলিয়াতে পাওয়া উল্কাপিন্ডের মহাজাগতিক বস্তুকণার বয়স ৫ বিলিয়ন থেকে ৭ বিলিয়ন বলছেন বিজ্ঞানীরা।
এমন মহাজাগতিক সব বস্তু ও গ্যাস মহাকাশে লাখ লাখ বছর ধরে একত্র হয়ে ও উষ্ণতা পেয়ে গড়ে তোলে নক্ষত্র। কয়েক লাখ বছর ধরে নক্ষত্রগুলোর অভ্যন্তরভাগ জ্বলে এক পর্যায়ে সেগুলো মারা যায়। তখন সেসব মহাজাগতিক বস্তু আবারো ছিটকে যায় মহাকাশে, এরপর আবারো অনেক অনেক বছর ধরে একত্র হয়ে সেগুলো তৈরি করে নতুন নক্ষত্র, গ্রহ বা উল্কাপিন্ড।
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়াতে ১৯৬৯ সালে যে উল্কাপিন্ডটি পড়েছিল, সেটির অভ্যন্তরে থাকা প্রাচীন এই মহাজাগতিক বস্তু নিয়ে গবেষণা করেন শিকাগোর দ্য ফিল্ড মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রি’র গবেষকরা। প্রাচীন মহাজাগতিক বস্তু ঠিক কতো প্রাচীন, তা জানতে বিজ্ঞানীরা সাধারণত ওই বস্তুতে কসমিক রে নিয়ে গবেষণা করেন।
ওই মহাজাগতিক বস্তুর ৪০টি ক্ষুদ্রাংশ নিয়ে গবেষণায় দেখা গেছে, উল্কাপিন্ডে থাকা প্রাচীন কিছু উপাদানের বয়স ৫.৫ বিলিয়ন বছরেরও বেশি। মূল গবেষক প্রফেসর ফিলিপ হেক বলেছেন, ‘এটা আমার করা খুব উত্তেজনাপূর্ণ এক গবেষণা। ইতিহাসে এই মহাজাগতিক বস্তুটিই এ যাবত পাওয়া সবচেয়ে প্রাচীন। আমাদের গ্যালাক্সিতে কীভাবে নক্ষত্রগুলো তৈরি হলো, তা জানা যাবে এর মাধ্যমে। এগুলো নক্ষত্রেরই টুকরো অংশ।’
গবেষকরা বলেছেন ৭০০ কোটি বছর আগে অনেকগুলো নতুন নক্ষত্র তৈরি হয়েছিল, মার্চিসন উল্কাপিন্ডটি সে সময়কার। আমাদের সৌরজগৎ সৃষ্টির আগে অনেক বেশি নক্ষত্র সৃষ্টি হতো বলেই জানান প্রফেসর হেক। গবেষণার জন্য উল্কাপিন্ডটির ক্ষুদ্র কণাগুলো তিন দশক আগেই সংগ্রহ করা হয়েছিল। দীর্ঘ গবেষণা শেষে বিজ্ঞানীরা এর বয়স সম্পর্কে নতুন তথ্য