কম্বোডিয়ার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি অব স্টেট কান চ্যানমেতা বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। সুস্পষ্ট লক্ষ্য, অংশীজন, সহযোগী ও প্রয়োগকারীদের নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ছাড়াও ডিজিটাল খাতে নানা সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে দেশে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী কম্বোডিয়া।
গতকাল সোমবার আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে কম্বোডীয় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্টার্টআপ সংস্কৃতির উন্নয়ন এবং সাইবার আকাশের সুরক্ষায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে কম্বোডিয়া। এ লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে সোমবার সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। এ লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ।
চুক্তি করতে কম্বোডিয়ার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি অব স্টেট কান চ্যানমেতা এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পোস্টস, টেলিকমস অ্যান্ড আইসিটি ভাইস প্রেসিডেন্ট হেন স্যামবওয়েন, ডিরেক্টর জেনারেল অব আইসিটি চুন ভাট, টল ন্যাক (ডিরেক্টর জেনারেল, টেলিকম), ভিথ ভিউথ (অফিসার, সেক্রেটারিয়েট অব বোর্ড অব ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অ্যান্ড রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফান্ড, পোস্টস্অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনস মিনিস্ট্রি) বাংলাদেশ সফর করছেন।
আইসিটি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্প এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির সঙ্গে দুটি চুক্তি হয়েছে। ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হক এবং কম্বোডিয়ার এনআইপিটিআইসিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হেন স্যামবওয়েন নিজ-নিজ পক্ষে স্বাক্ষর করেন। অপরটিতে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি, বাংলাদেশের মহাপরিচালক মো. রেজাউল করিম এবং কম্বোডিয়ার ডিরেক্টর জেনারেল অব আইসিটি চুনভাট নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, সমঝোতা স্মারকের আওতায় ই-গভর্নমেন্ট, ই-পাবলিক সার্ভিস ডেলিভারি, ই-লার্নিং, টেলিমেডিসিন, সাইবার সিকিউরিটি, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে গবেষণা ও উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে বেস্ট প্র্যাক্টিসগুলো বিনিময় করার মাধ্যমে দুই দেশের আইসিটি খাতের উন্নয়নে কাজ করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ায় সাইবার অপরাধ দমনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়া যৌথভাবে কাজ করবে। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী সাইবার ক্রাইম নিরসনে স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন পদ্ধতি, ব্রডার ফ্রেমওয়ার্ক চালুকরণ, জাতীয় তথ্য সুরক্ষা ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, মানবসম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিশেষজ্ঞদের আদান-প্রদান করবে দুই দেশ।