চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় তথ্যপ্রযুক্তি কাজে লাগতে পারে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানুষের খাপ খাইয়ে নেওয়া ও ব্যবসা চালু রাখার জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন অনলাইন উদ্যোগ। সরকার ও বেসরকারি পর্যায়ে গৃহীত নানা তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিকি উদ্যোগ এ কাজে সহায়তা করতে পারে।
আজ শুক্রবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের উদ্যোগে আয়োজিত এক ডিজিটাল ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে এ বিষয়গুলো উঠে আসে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে আয়োজিত এ ডিজিটাল সংবাদ সম্মেলনে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মকর্তা, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সাংবাদিকেরা অংশ নেন। জুম অ্যাপ ব্যবহার করে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনটি তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের পেজেও সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ সূত্র জানায়, ডিজিটাল ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ আয়োজন একটি মাইলফলক। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি কমাতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার কীভাবে সফলভাবে ব্যবহার করা যায় এটি তার উদাহরণ। বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন উদ্যোক্তারা এ সম্মেলনে অনলাইনে তাদের বিভিন্ন সেবা ও তাদের প্ল্যাটফর্মের তথ্য তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যদি কোনো কারনে করোনাভাইরাসের অবস্থা চলমান থাকে তবে কীভাবে শিক্ষা চলমান থাকবে বা প্রয়োজনীয় সেবা চালু থাকবে তা বুঝতে হবে। তাতে দীর্ঘমেয়াদি প্রযুক্তি কি সহায়তা করবে সে বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। অনলাইন শিক্ষার পাশাপাশি অনলাইন চিকিৎসা, অনলাইন বিনোদনের মতো বিষয়গুলো পরিকল্পনা করতে হবে। ইতিমধ্যে অনলাইনে এক হাজারের বেশি চিকিৎসক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে সেবা দিচ্ছেন। তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমেই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কীভাবে খাপ খাইয়ে নিতে পারব।’
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। এখন সময় এর সঙ্গে পিপল ও মিডিয়াকে যুক্ত করা। এ ক্ষেত্রে মিডিয়ার ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ।’