প্যাটেন্ট সহযোগিতা চুক্তির (পিসিটি) অধীনে জমা দেওয়া প্যাটেন্ট আবেদনের ফলাফল প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড ইনটেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অর্গানাইজেশন (ডব্লিউআইপিও)। ২০১৯ সালে জমা দেওয়া আন্তর্জাতিক প্যাটেন্ট আবেদনের সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষ পাঁচ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অবস্থান করছে অপো। গত বছর এই সিস্টেমের অধীনে ১৯২৭টি প্যাটেন্ট আবেদন জমা দিয়েছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।
পিসিটি হলো প্যাটেন্ট সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি। ১৫০টির বেশি দেশ এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। ফলে এই চুক্তির অধীনে কোনো প্যাটেন্ট আবেদন জমা দেওয়ার মাধ্যমে অনেকগুলো দেশে উদ্ভাবনের সুরক্ষা প্রদান করা সম্ভব।
মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রযুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন উদ্ভাবনের দিকে শুরু থেকেই জোর দিয়ে আসছে অপো। এরই ফলশ্রুতিতে গত বছর ১৭তম অবস্থানে থাকলেও এবার শীর্ষ পাঁচ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জায়গা করে নেওয়া সম্ভব হয়েছে।
এ বছরের মার্চ পর্যন্ত অপো বিশ্বব্যাপী ৪৩ হাজারের বেশি প্যাটেন্ট আবেদন দাখিল করেছে। এরই মধ্যে অনুমোদিত হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার প্যাটেন্ট। এসব প্যাটেন্টের প্রায় ৮৮ শতাংশ বা ৩৮ হাজার প্যাটেন্টই হলো নতুন উদ্ভাবন সংক্রান্ত। ফাইভজি প্রযুক্তি নিয়ে অপোর প্যাটেন্ট আবেদনের সংখ্যা তিন হাজারের বেশি।
এছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক এক হাজার ৯০০ প্যাটেন্টের জন্য আবেদন করেছে অপো। প্রতিষ্ঠানটির ইমেজ প্যাটেন্ট আবেদন রয়েছে প্রায় ৬ হাজার ১০০টি যার মধ্যে এ পর্যন্ত অনুমোদন পেয়েছে প্রায় দুই হাজার প্যাটেন্ট। এছাড়া ফাস্ট চার্জিং নিয়ে অপোর অনুমোদিত প্যাটেন্ট আছে প্রায় এক হাজার ১০০টি।
এ বিষয়ে অপোর ইনটেলেকচুয়াল প্রোপার্টি বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর ইং ফেং বলেন, “চীনের গণ্ডি পেরিয়ে বৈশ্বিকভাবে প্যাটেন্ট আবেদন নিয়ে কাজ করার যে কৌশল অপো গ্রহণ করেছে, তা বেশ সফল হয়েছে। এরই ফলশ্রুতিতে ২০১৯ সালের পিসিটি আবেদনের ফলাফলে শীর্ষ পাঁচে উঠে আসা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে ফাইভজি, ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি, ইমেজিং, এআই, আইওটিসহ প্রযুক্তির আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আমাদের প্যাটেন্ট আবেদন রয়েছে। এর বাইরে চিপ, ডিসপ্লে এবং নেটওয়ার্ক অ্যান্টেনার ক্ষেত্রেও নতুন উদ্ভাবন নিয়ে আমরা কাজ করছি।”