বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় এমনিতেই বাজারে চাহিদা কমেছে। এর ওপর চীনা প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলো ফাইভজি প্রযুক্তির স্মার্টফোন বাজারে আনার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। ফলে ফোরজি প্রযুক্তির আইফোন ১১-এর বিক্রিতে মন্দার আশঙ্কা করছেন চীনের অনলাইনভিত্তিক রিটেইলাররা। এ অবস্থায় অ্যাপলের ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনটির বিক্রি বাড়ানোর জন্য তাদের অনেকেই মূল্যছাড়ের সুবিধা দিচ্ছে। খবর রয়টার্স।
চীনে ইলেকট্রনিকস পণ্য বিক্রেতা হিসেবে সুনিং বেশ জনপ্রিয়। এর অনলাইনভিত্তিক স্টোরে ৬৪ গিগাবাইট সংস্করণের আইফোন ১১-এর দাম ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৯৯৯ ইউয়ান (৭০৭ ডলার), যা অ্যাপলের অফিশিয়াল চীনা ওয়েবসাইটে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৫০০ ইউয়ান কম।
৬৪ গিগাবাইট সংস্করণের আইফোন ১১ প্রো ম্যাক্সের দাম ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৪৯৯ ইউয়ান (১ হাজার ৬১ ডলার), যা অ্যাপলের চীনা ওয়েবসাইটে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১ হাজার ৬০০ ইউয়ান কম।
সুনিংয়ের মতো অন্যান্য ই-কমার্স রিটেইলারও আইফোন ১১-এর দাম কমিয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে জেডি ডটকম, গোম ও ড্যাংড্যাং। এছাড়া আলিবাবা গ্রুপ পরিচালিত জনপ্রিয় ওয়েবসাইট টিমলে নিবন্ধিত অ্যাপল রিসেলাররাও স্মার্টফোনটির দাম কমিয়েছে।
চীনে স্থানীয় স্মার্টফোন প্রস্তুতকারীরা ধীরে ধীরে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করছে। এ কারণে দেশটিতে আইফোনের চাহিদা পড়তির দিকে। এ কারণে গত বছরের শুরুর দিকে বেশ কয়েকটি চীনা ই-কমার্স কোম্পানি আইফোনের কয়েকটি মডেলের দাম কমাতে বাধ্য হয়।