ফেসবুক গ্রুপ উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) তে মাছ বিক্রি করে মিলিয়নার হয়েছে ”ফিস ও মিট” এর প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল ফিরোজ।
উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) দেশি পণ্যের উদ্যোক্তাদের ই-কমার্স দক্ষতা উন্নয়ন, নেটওয়ার্কিং ডেভেলপ ও প্রমোশনে কাজ করে। উই ফোরামের মাধ্যমে করোনাকালীন সময়ে আয় করে স্বাচ্ছন্দে জীবন-যাপন করছে শতশত পরিবার। দেশি পণ্যের অধিকাংশ উদ্যোক্তার ভাগ্য বদলে দিছে ‘উই’।
দিন দিন বেড়ে চলছে ব্যস্ততা। করোনার এ সময়ে বাসাবাড়িতে কাজের মানুষ আসতে দেয় না অনেক পরিবার। এতে বাড়তি কাজের চাপ পড়েছে পরিবারের নারীদের উপর। মাছ মাংস কাটাকাটি বাড়তি ঝামেলা। ঢাকাবাসীর জীবনযাত্রার মান সহজ করতে এবং কাটাকাটি ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে “রেডি-টু-কুক” মাছ মাংস হোম ডেলিভারি দিচ্ছে ফিস ও মিট।
গত ১২ মার্চ উইয়ের সাথে যাত্রা শুরু করে ফিস ও মিট। করোনাকালীন সময়ে লকডাউনে সবাই যখন গৃহবাস শুরু করে, তখনি চাহিদা বাড়ে রেডি-টু-কুক মাছ মাংসের। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ডেলিভারি শুরু করে নাজমুল ফিরোজ। ১২ মার্চ থেকে ১৮ আগষ্ট পর্যন্ত উই গ্রুপের মাধ্যমে তার বিক্রি ১০,১৫,৯৮০ টাকা।
ফিশ ও মিট প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল ফিরোজ বলেন, বুঝতে পেরেছি মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত, শ্রমজীবি ও পেশাজীবি মানুষের “রেডি-টু-কুক” সেবা অনেক বেশী প্রয়োজন। যে পরিবারে গৃহিনী চাকরি বা অন্য কোন পেশায় জড়িত তাদের বেশী প্রয়োজন। পরিকল্পনা আছে আগামী বছর দেশী মুরগী, হাঁস ইত্যাদি নিজেরা পালন করে সরবরাহ করা। ধীরে ধীরে বেশীর ভাগ মাছ ও মাংসের চাহিদা নিজের উৎপাদিত খামার থেকে সরবরাহ করার স্বপ্ন দেখি। উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরামের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
“ফিশ ও মিট” ভৈরব নদী ও চট্টগ্রাম সমুদ্রের মাছ ঢাকায় এনে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে কাটাকাটি করে ফেসবুকের মাধ্যমে বিক্রি করে ঢাকা শহরে।
উইমেন এন্ড ই-কমার্স সূত্রে জানা যায়, করোনার এ সময়ে পরিবারের পুরুষদের আয়ের পথ যখন বন্ধ হয়ে যায়, উইতে বিক্রি করে পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে নারীরা। আরও জানা গেছে উই থেকে অর্জিত আয় দিয়ে অনেকে কোরবানি দিয়েছে। ১৮ আগষ্ট পর্যন্ত উইতে সর্বনিম্ন ১ লাখ টাকা বিক্রি করেছে ২৭৩ জন এবং সর্বনিম্ন ১০ লাখ টাকা বিক্রি করেছে ৭ জন দেশি পণ্যের উদ্যোক্তা।