ইভ্যালির মানিকগঞ্জে কোন শাখা নেই এবং এধরনের কোন শাখা কার্যক্রম না থাকার দাবী করেছে প্রতিষ্ঠানটি। মানিকগঞ্জের সিংগাইরের ইভ্যালির একটি শাখা থেকে প্রায় ৩৯ লাখ নগদ টাকাসহ স্থানীয় ম্যানেজারসহ দুজনকে আটক প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
ইভ্যালির পক্ষ থেকে পাঠানো বিবৃতি হুবহু নিচে তুলে দেওয়া হল-
ইভ্যালির ‘মানিকগঞ্জ শাখা’ বলতে আমাদের ইভ্যালির কোন শাখা নেই, এধরনের কোন শাখার কার্যক্রম নেই। বাংলাদেশে ইভ্যালির একটি কার্যালয় আর সেটি হচ্ছে রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডির ১৪ নম্বর সড়কে অবস্থিত অফিস।
একই সাথে উল্লেখ থাকছে যে, ইভ্যালির ‘শাখা ম্যানেজার’ পদবীয় ব্যক্তিসহ আরও যে দুই জন ব্যক্তিকে আটকের তথ্য সংবাদে দেওয়া হয়েছে তারা কেউই ইভ্যালির সাথে কোনভাবে সম্পৃক্ত না। তারা ইভ্যালির কোন পর্যায়ের কর্মকর্তা নন। আটককৃতদের কাছ থেকে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত কোন বৈধ নিয়োগপত্র পাওয়া যাবে না বলে আমাদের বিশ্বাস। আপাতদৃষ্টিতে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, তারা ইভ্যালির প্রাতিষ্ঠানিক সুনাম ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চেয়েছে মাত্র।
আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, পুরো বিষয়টির সাথে ইভ্যালির কোন ধরনের যোগসূত্র বা সম্পৃক্ততা নেই। ইভ্যালির মতো একটি দেশিয় স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করাও এধরনের অপরাধের পেছনে উদ্দেশ্য হিসেবে থাকতে পারে। আমরা এই ধরনের কাজের তীব্র নিন্দা জানাই এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি সাধুবাদ জানাই যে তারা এমন একটি অপরাধী চক্রকে আইনের আওতায় এনেছেন।
পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করে আমাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকেও একটি বিবৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান আছে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাই যেন সচেতন থাকেন এবং বিভ্রান্ত না হন আমরা সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি”।
উল্লেখ্য, টাকা নিয়ে গ্রাহককে পণ্য না দেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে মানিকগঞ্জের সিংগাইরের ইভ্যালির একটি শাখা থেকে প্রায় ৩৯ লাখ নগদ টাকাসহ স্থানীয় ম্যানেজারসহ দুজনকে আটক করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লা।
এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লা সোমবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে পারিল বাজারে অবস্থিত ইভ্যালির অফিস থেকে নগদ ৩৮ লাখ ৮৯ হাজার ৩শত টাকাসহ অফিস ম্যানেজার বিপ্লবকে (২৫) আটক করে। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সহকারী ব্যবস্থাপক বদিউল ইসলাম ও জামাল নামে আরও একজনকে আটক করা হয়েছে।