অ্যামাজনের প্রতিনিধি দেশের অন্যতম ইকমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি কার্যালয় পরিদর্শন এবং বৈঠক করেছে। গত মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দীর্ঘ সময় ধানমণ্ডিস্থ ইভ্যালির কার্যালয়ে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
নির্ভরযোগ্য একটি সুত্রে জানা যায়, অ্যামাজন সদর দপ্তরের কর্পোরেট বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার রুডমিলা ধানমণ্ডিস্থ ইভ্যালির কার্যালয় পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি প্রতিষ্ঠানটির এমডি ও সিইও মোহাম্মদ রাসেলসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় তিনি ইভ্যালির গ্রাহক, পলিসি, মার্কেট শেয়ার, বিনিয়োগসহ ব্যবসায়িক ডকুমেন্টসসহ বিভিন্ন তথ্য চেয়েছে বলেও জানা গেছে।
তবে এ বিষয়ে ইভ্যালি বা অ্যামাজনের পক্ষ থেকে কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি। এ প্রসঙ্গে
ইভ্যালির এমডি ও সিইও মোহাম্মদ রাসেলের সঙ্গে কথা বললে তিনি এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ইভ্যালি সুত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধিত গ্রাহক ৩৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মাসে লেনদেন হচ্ছে ৩০০ কোটি টাকার পণ্য। ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি। গড়ে প্রতি মাসে পণ্য বিক্রির অর্ডার পাচ্ছে তারা ১০ লাখ করে। তাদের সঙ্গে এরই মধ্যে যুক্ত হয়ে পড়েছে ২৫ হাজার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান এবং তারা ৪ হাজার ধরনের পণ্য বিক্রি করে কমিশন পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, অ্যামাজন বর্তমানে বাংলাদেশের মার্কেট স্টাডি করে দেখছে, বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করছে। এখন পর্যন্ত ইউরোপ আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, নিজেদের ওয়্যারহাউজগুলোতে বাংলাদেশের পণ্য নিতে আগ্রহী এবং বিশেষ সুবিধা চায় অ্যামাজন। তবে সরাসরি বিনিয়োগ বা অ্যাকুজিশন প্রক্রিয়াটিতে বেশ দাপ্তরিক বিষয় রয়েছে এবং এটি বেশ সময় সাপেক্ষও।