করোনার কারণে ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আয় কমেছে মোবাইল অপারেটর ও ডিজিটাল সার্ভিসেস কম্পানি রবির। প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির আয় সাড়ে ৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৬৩ কোটি টাকায়। তবে মহামারির আঘাত থেকে রক্ষায় পরিচালন ব্যয় কমিয়ে আনার ফলে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৫৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা কর-পরবর্তী মুনাফা অর্জন করেছে রবি।
রাজস্ব আয় কমার পাশাপাশি করোনার কারণে সক্রিয় গ্রাহকসংখ্যায়ও বড় আঘাত এসেছে। আগের প্রান্তিকের চেয়ে এ প্রান্তিকে সক্রিয় গ্রাহকসংখ্যা ৩.৫ শতাংশ কমে ৪ কোটি ৮০ লাখে ঠেকেছে। তবে গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের চেয়ে এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রাহকসংখ্যা বেড়েছে শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। অন্যদিকে গত বছরের একই প্রান্তিকের চেয়ে এ বছরের প্রান্তিকে ৫.২ শতাংশ রাজস্ব আয় কমেছে।
ভয়েস সেবা থেকে রাজস্ব আয় কমেছে আগের প্রান্তিকের চেয়ে ১৪.২ শতাংশ এবং গত বছরের একই প্রান্তিকের চেয়ে ১৮.৬ শতাংশ। গত প্রান্তিকের চেয়ে ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহার ১৮.৯ শতাংশ বাড়লেও করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে এর দরপতন হয়েছে। ফলে ডাটা বিক্রি থেকে আয়ও প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১.৫ শতাংশ কমেছে। গত বছরের একই প্রান্তিকের চেয়ে ডাটা রাজস্ব আয় বেড়েছে ২৩.৭ শতাংশ।
রবির সক্রিয় গ্রাহকসংখ্যা এ প্রান্তিকে ১৭ লাখ কমিয়ে চার কোটি ৮০ লাখ হয়েছে। এটি দেশের মোট গ্রাহকের ২৯.৭ শতাংশ। চার কোটি ৮০ লাখ গ্রাহকের মধ্যে তিন কোটি ২২ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী, যা রবির মোট গ্রাহকসংখ্যার ৬৭ শতাংশ।
২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ৮০৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা জমা দিয়েছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবির মূলধনী বিনিয়োগ ৩১১ কোটি টাকা।
কোম্পানির আর্থিক কার্যক্রম ও সক্ষমতা সম্পর্কে রবির এমডি এবং সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের জীবনকালের যেকোনো প্রান্তিকের চেয়ে ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক আলাদা। মহামারির কারণে আমাদের ব্যবসা কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সে সম্পর্কে আমাদের সুস্পষ্ট কোনো ধারণা ছিল না। কঠিন এ সময়েও এসএমপি নীতিমালা নিয়ে বিটিআরসি কার্যকর কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যা আমাদের জন্য আশাব্যঞ্জক, যত শিগগির সম্ভব এসএমপি নীতিমালার পূর্ণ বাস্তবায়ন আমরা দেখতে চাই।’
মহামারি মোকাবেলায় রবির সামাজিক বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কঠিন ব্যাবসায়িক পরিস্থিতির মধ্যেও অংশীজনদের পাশে আমরা সবটুকু নিয়ে দাঁড়িয়েছি। আমাদের কর্মীরা ঘরে থেকে কাজ করেছেন।’