সময়ের সাথে সাথে স্মার্টফোনে গেমিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সেই সাথে বাড়ছে গেমিং ফোন এর চাহিদাও। বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে স্মার্টফোনে ক্যাজুয়াল গেমের পাশাপাশি কনসোল কোয়ালিটির গেমেও খেলা সম্ভব।
গেমিং ফোন মূলত রিফ্রেশ রেট, স্কিন সাইজ, গেমিং মোড, কুলিং সিস্টেম এবং আরও অনেক কিছুর উপর ফোকাস করে তৈরি করা হয়ে থাকে।
আসুস আরওজি ফোন ৩
গেমিং ফোন এর কথা উঠলে সবার আগে নাম আসে আসুস আরওজি ফোন ৩ এর। একজন মোবাইল গেমারের যা দরকার তার সবাই ৫জি সমর্থিত এই ফোনে রয়েছে। আসুসের এই ফোনটিতে রয়েছে ৬.৫৯ ইঞ্চি ১৪৪ হার্টজ এইচডিআর ১০+ অমলেড স্ক্রিন, যার রেজুলেশন ১০৮০*২৩৪০ পিক্সেল। ফোনটির পেছনে রয়েছে আরজিবি প্যানেল।
অ্যান্ড্রয়েড ১০ অপারেটিং সিস্টেম চালিত ফোনটিতে থাকছে ২.৯৬ গিগাহার্টজ অক্টো-কোর স্ন্যাপড্রাগন ৮৬৫+ চিপসেট এবং এড্রিনো ৬৫০ জিপিইউ।
ফোনটিতে মিলবে ১২/১৬ জিবি র্যাম ও ১২৮/২৫৬/৫১২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। এতে লম্বা সময় গেমিং করার জন্য থাকছে ফাস্ট চার্জিং সমর্থিত ৬ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের একটি বিশাল বড় ব্যাটারি। গেমিং এর সময় যেন মোবাইল গরম না হয়ে যায় তার জন্য এতে রয়েছে কাস্টমাইজড ইন-কেস কুলিং সলিউশন।
শাওমি ব্ল্যাক শার্ক ৩ প্রো
গেমিং ফোন হিসেবে শাওমি ব্ল্যাক শার্ক ৩ প্রো এর বেশ সুনাম রয়েছে। শাওমির এই ৫জি সমর্থিত ফোনটি বাজেটের মধ্যে সেরা গেমিং ফোন। ফোনটিতে রয়েছে ৭.১ ইঞ্চি ৯০ হার্টজ অমলেড স্ক্রিন, এর রেজুলেশন ১৪৪০*৩১২০ পিক্সেল।
ফোনটি থাকছে ২.৮৪ গিগাহার্টজ অক্টো-কোর স্ন্যাপড্রাগন ৮৬৫ চিপসেট এবং এড্রিনো ৬৫০ জিপিইউ। ফোনটিতে আরো থাকছে ৮/১২ জিবি র্যাম ও ২৫৬/৫১২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ। এতে ব্যাকআপ সুবিধা দিতে থাকছে ফাস্ট চার্জিং সমর্থিত ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের একটি বড় ব্যাটারি। ৬৫ওয়াট ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তির সাহায্যে ফোনটি ৩৮ মিনিটে ১০০% পর্যন্ত চার্জ করা যাবে।
ইন-গেম অ্যাকশন সহজে কন্ট্রোল করার জন্য শাওমির এই ফোনটিতে রয়েছে পপ-আপ গেমিং ট্রিগার। এছাড়া উন্নত কুলিং সিস্টেম আর শাওমির নিজস্ব গেমিং মোড তো থাকছেই।
ওয়ানপ্লাস ৮ প্রো
ওয়ানপ্লাস ৮ প্রো হল ওয়ানপ্লাসের তৈরি ৫জি সমর্থিত একটি বেস্ট গেমিং স্মার্টফোন। ফোনটিতে থাকছে পাঞ্চ-হোল স্টাইলের ১২০ হার্টজ ৬.৭৮ ইঞ্চি ফ্লুইড অমলেড ডিসপ্লে, এর রেজুলেশন ১৪৪০*৩১৬৮ পিক্সেল।ওয়ানপ্লাস ৮ প্রোতে থাকছে ২.৮৪ গিগাহার্টজ অক্টো-কোর স্ন্যাপড্রাগন ৮৬৫ চিপসেট এবং এড্রিনো ৬৫০ জিপিইউ।আরো থাকছে ৮/১২ জিবি র্যাম ও ১২৮/২৫৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ।
দীর্ঘ সময় গেমিং করার জন্য এতে থাকছে ফাস্ট চার্জিং সমর্থিত ৪ হাজার ৫১০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। ৩০ওয়াট ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তির সাহায্যে ফোনটি ২৩ মিনিটে ৫০% পর্যন্ত চার্জ করা যাবে। সাথে থাকছে ওয়ারলেস চার্জিং ফিচার।
রেজার ফোন ২
রেজার ফোন ২ ২০১৮ সালে রিলিজ দেওয়া হলেও এর সাহায্যে এখনো গেমিং করা সম্ভব। রেজার ফোন ২ এ রয়েছে একটি ১২০ হার্টজ ৫.৭২ ইঞ্চি আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে, যার রেজুলেশন ১৪৪০*২৫৬০ পিক্সেল।
রেজার ফোন ২ থাকছে ২.৮ গিগাহার্টজ অক্টো-কোর স্ন্যাপড্রাগন ৮৪৫ চিপসেট এবং এড্রিনো ৬৩০ জিপিইউ।
ফোনটিতে মিলবে ৮ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ, যা মাইক্রো এসডি কার্ডের সাহায্যে ৫১২ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। থাকছে ১২+১২ মেগাপিক্সেল ডুয়েল রিয়ার ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা।
ব্যাকআপ সুবিধা দিতে এতে রয়েছে ৪ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তির পাশাপাশি রয়েছে ওয়ারলেস চার্জিং সুবিধা।