বর্তমানে দামী ফোনের পাশাপাশি, দামী একটি ইয়ারফোন সবাইই চায়। কারন, গান শুনতে চাওয়া লোকের অভাব নেই। তবে সেটা মোবাইল ফোনে শুনার থেকে, কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে ফিলিংস নিয়ে শুনাটাকেই অনেকে কমফোর্টেবল ফিল করে। আর যদি সেটা হয় কোনো তারবিহীন ইয়ারফোন, তাহলে তো আপনিই আজকের নায়ক। মূলত তারবিহীন ইয়ারফোন গুলোকে বলা হয় ‘ইয়ার ডটস অথবা ইয়ার বাডস’। এই গ্যাজেটটি প্রথমে বের করে ‘অ্যাপল’ ব্র্যান্ড। দামী এই ব্র্যান্ড তাদের দামী এই জিনিসের নামও দিয়েছিলো সবার থেকে আলাদা। তারা একে ‘ইয়ার পোডস’ বলে সম্বোধন করতো। তো সেখানে যাচ্ছিনা।
আসলে, কথা হচ্ছে এই তারবিহীন ইয়ারফোনের দাম বাজেটের মধ্যে থাকে না। এই কথা চিন্তা করেই ‘শাওমি’ বাজারে নিয়ে এসেছিলো একটি বাজেট ইয়ারডটস। যেটার নাম ছিলো ‘রেডমি ইয়ার ডটস’। কালো রঙএর এই ইয়ারডটটি ছিলো দেখার মতো। তো আজ এই ইয়ারডটের ব্যাপারেই বলবো কিছু কথা।
তো চলুন নিচে গিয়ে দেখে আসি এই ইয়ারডটের ব্যাপারে বিস্তারিতঃ
‘শাওমি’ তাদের এই জিনিসটাকে প্যাকেটিং করেছিলো সাধারন একটি প্যাকেটে। যেটা খোলার পরে পাওয়া যাবে শুধু চার্জিং কেস। যেটার মধ্যে রয়েছে সেই ইয়ারডটস গুলো। আর থাকছে ইউজার ম্যানুয়াল এবং দু জোড়া এক্সট্রা ইয়ার টিপস।
চার্জিং কেসের উপরে মাঝামাঝি জায়গায় দেখবেন ‘শাওমি’র লোগো এবং পিছনে থাকছে ইউ.এস.বি চার্জিং পোর্ট। কেসটি নরম্যালি বন্ধ করা এবং খোলা যাবে। তবে, ম্যাগনেটিক সিস্টেম থাকলে আরেকটু ভালো হতো। কেসটিতে থাকা ইয়ারডটস জোড়া ছিলো দেখার মতো। ডিজাইনিং এর দিক দিয়ে ছিলো সত্যিই অসাধারন এবং একটি ক্লাসিক ভাইব দিচ্ছিলো। । কেসের মধ্যে ম্যাগনেটিক সিস্টেমে লাগানো ছিলো এই ইয়ারডটস জোড়া। ইয়ারডটস গুলো কানে লাগালে বুঝতেই পারবেন না যে কানে কিছু লাগিয়েছেন কিনা। সুন্দরভাবে কানের সাথে সেপ্টে থাকে। এটি কানে লাগিয়ে আপনি সহজেই জিম বা ওয়ার্কআউট করতে পারবেন। ইয়ারডটস জোড়ার উপরে রয়েছে এলইডি লাইটিং সিস্টেম। যেটা কোনো কিছুর সাথে কানেক্টেড করলে নীল রঙ এর লাইট এবং কেসে চার্জিং অবস্থায় থাকলে লাল রঙ এর লাইট জ্বলতে দেখা যাবে। ইয়ারডটস গুলোতে কন্ট্রোলার হিসেবে এর মাঝামাঝি জায়গায় দেয়া হয়েছে বাটন। যেটি দিয়ে গান প্লে বা পস করে রাখা যায়।
এতে আরও রয়েছে ৭.২ মি.মি.’র ড্রাইভার, ৫.০ ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং ডিএসপি টেকনোলজি। যেগুলো এই বাজেট সেগমেন্টে অনেক কিছুই।
হাই ভলিউমে এই ইয়ারডটসটি আপনাকে ৩ ঘন্টার মতো ব্যাকআপ দিবে। কেসে রেখে দিলে আলাদা আলাদা ভাবে তিন বার চার্জিং করতে পারবেন। কেসটি চার্জ হতে সময় নেয় ত্রিশ মিনিট। সাউন্ড সেগমেন্টেও ছিলো অসাধারন এই ইয়ারডটস। তবে যারা বেজ লাভার তাদের জন্য এটি কোনোভাবেই রিকমেন্ডেশন নয়। কারন, এই ইয়ারডটসের সাউন্ড ছিলো সিম্পল এবং ডিসেন্ট কোয়ালিটির। সাউন্ডও ছিলো অনেক ক্লিয়ার।
তো সব মিলিয়ে ভালোই ছিল ‘শাওমি’ এই ইয়ারডটস। বর্তমানে এর দাম হচ্ছে ১,৪৭৫ টাকা। এই বাজেটে একটি ইয়ারডটস, আবার এর মধ্যে এতো কিছু পাওয়া অসাধারন একটি ব্যাপার।