ফোন কেনার ক্ষেত্রে অনেকেই চিন্তা করে থাকি ফোনটি যেনো হয় একটি অলরাউন্ডার প্যাকেজ। পরে আবার দামের দিকে চাইলে সেটা ঘুরে যায়। আমাদের দেশে বিক্রি হয়ে থাকে বাইরের অনেক ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন। যেগুলোর কয়েকটি থাকে বাজেটের মধ্যে, কয়েকটি থাকে তার চেয়ে উপরে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যেই ফোনগুলো বিক্রি হয় সেগুলো বেশিরভাগই হয়ে থাকে মিড বাজেটের। এই মিড বাজেটের কথা মাথায় রেখেই বর্তমানে অনেক মোবাইল ফোন ব্র্যান্ড তৈরী করছে এমন কিছু ফোনের মডেল, যেগুলোর দাম থাকবে আপনার হাতের কাছে। ‘ভিভো’ মোবাইল ব্র্যান্ডের সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত৷ বর্তমানে এই মোবাইল ব্র্যান্ডটিও বের করে চলেছে মিড বাজেটে থাকা কিছু ফোনের মডেল। সেরকমই একটি ফোন রিসেন্টলি বের করেছে ‘ভিভো’। যেটার মডেলের নাম হচ্ছে ‘ওয়াই ১২এস’। আজ এই ফোনটি নিয়েই কথা হবে। তো কথা না বাড়িয়ে চলুন নিচে গিয়ে জেনে আসা যাক এই ফোনটির ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্যঃ⤵
বডিঃ
‘ভিভো’ তাদের এই ফোনটির বডি ডিমেনশন দিয়েছে ১৬৪.৪×৭৬.৩×৮.৪ মি.মি. (৬.৪৭×৩.০০×০.৩৩ইন) । এই ফোনটির সম্পূর্ন ওজন ১৯১ গ্রাম (৬.৭৪ওজেড)। ফোনটির সামনে দেয়া হয়েছে গ্লাস এবং পিছনে দেয়া হয়েছে প্লাস্টিক। ফোনের ফ্রেমটিও প্লাস্টিকের। আরও থাকছে ডুয়্যাল সিম স্লট। যেই স্লটে দুইটি ন্যানো সিম ব্যাবহার করা যাবে।
ডিসপ্লেঃ
এই ফোনটির ডিসপ্লের সাইজ হচ্ছে ৬.৫১ ইঞ্চি। যেটা ‘আইপিএস এলসিডি’ যুক্ত। স্ক্রিন থেকে এর বডির রেশিও ৮১.৬%। এই ডিসপ্লেটির রেজুলেশন হচ্ছে ৭২০×১৬০০ পিক্সেলের (২৭০ পিপিআই ডেনসিটি)।
প্লাটফর্মঃ
ফোনটির প্লাটফর্মের অএস’এ থাকছে ‘এন্ড্রোয়েড ১০’। যেটা ‘ফানটাচ ১১ ভার্সন’৷ প্রসেসরে থাকছে ‘মিডিয়াটেক এমটি৬৭৬৫ হেলিও পি৩৫’, ১২ ন্যানোমিটারের একটি প্রসেসর। সিপিইউ তে দেয়া হয়েছে ‘অক্ট্যা কোর (৪×২.৩৫ জিএইচজেড কোরটেক্স-এ৫৩ & ৪×১.৮ গিগাহার্জ কোরটেক্স-এ৫৩)’। এই ফোনের জিপিইউ হচ্ছে ‘পাওয়ার ভিআর জিই৮৩২০’।
ক্যামেরাঃ
ব্যাকঃ ‘ভিভো’ তাদের এই বাজেট ফোনের পিছনে দিয়েছে দুইটি ক্যামেরা। সেগুলো হচ্ছে ১৩ মেগাপিক্সেলের ‘এফ/২.২ পিডিএফ ওয়াইড’ সেন্সর এবং ২ মেগাপিক্সেলের ‘এফ/২.৪ ডেপথ’ সেন্সর। এই ক্যামেরায় এলইডি ফ্ল্যাশের সাথে, আরও থাকছে প্যানোরামা মোড। এই ক্যামেরা দিয়ে ‘১০৮০’পি@৩০এফপিএসে’র ভিডিও সুন্দরমতো রেকর্ড করা সম্ভব।
মেমোরীঃ
‘ভিভো’ তাদের এই ফোনটি বাজারে ছেড়েছিলো তিনটি ভ্যারিয়্যান্টে। সেগুলো হচ্ছে ৩/৩২, ৪/৬৪ এবং ৪/১২৮ জিবি। ফোনের আরও থাকছে মেমোরি কার্ড স্লট। যেটাতে ২৫৬ জিবি’র উপরের মেমোরি কার্ডও ব্যাবহার করা যাবে।
নেটওয়ার্কঃ
বরাবরের মতো ‘ভিভো’ তাদের এই ফোনটিতে দিয়েছে ৪জি নেটওয়ার্ক স্পিড। যেটার টেকনোলজিতে থাকছে ‘জিএসএম/এইচএসপিএ/এলটিই’।
সাউন্ডঃ
এই ফোনটির সাউন্ড সেগমেন্টে ছিলো দূর্দান্ত। এটার স্পিকারে লাউড দিয়ে যেকোনো ধরনের গানই সুন্দরভাবে শোনা যাচ্ছিল। থাকছে ৩.৫ মি.মি.’র ইয়ারফোন জ্যাক।
ব্যাটারীঃ
ফোনটিতে ১০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সম্পন্ন ৫০০০ এমএইচের ব্যাটারী থাকছে। যেটা নন রিমুভেবল।
ফিচারঃ
এই ফোনের সেন্সরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট রয়েছে, যেটা দেয়া হয়েছে পাওয়ার বাটনে। ফোনটির সেন্সরে আরও থাকছে ‘অ্যাকসেলেরোমিটার, প্রক্সিমিটি এবং কম্পাস’।
যেসব পরিবর্তন রয়েছে এই ফোনেঃ
ফোনটির ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর বাদে অন্য কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।
দামঃ
ফোনটি বাংলাদেশের মূল্যে দাম হচ্ছে ১২,৯৯০ টাকা।