এসার অ্যাসপায়ার সিরিজের এই ল্যাপটপটি পুরোপুরি প্লাস্টিক বডির হলেও এর বিল্ড কোয়ালিটি অনেক ভাল। তবে ডিস্প্লেতে কিছু সমস্যা দেখা গেছে কিন্তু বাজেটের দিকে তাকালে আসলেই বোঝা যায় ল্যাপটপটির জবাব নেই।
এই ল্যাপটপটিতে আছে ১০ম প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই৫ প্রোসেসর। এই প্রোসেসরের বেজ ফ্রিকুয়েন্সি হলো ১.২ গিগা হার্য। ক্লক স্পীড একটু কম মনে হলেও বাজেটের কথা চিন্তা করলে এসার তাদের সর্বোচ্চ দিয়েছে। তবে জিপিইউ হিসেবে থাকছে এনভিডিয়া জিফোর্স এমএক্স২৩০। র্যাম হিসেবে দেওয়া আছে ৪গিগাবাইটের ডিডিআর৪ র্যাম ও স্টোরেজ অপশানে আছে একটি ৫১২ গিগাবাইটের এনভিএমই এসএসডি। এতে কোন হার্ড ডিস্ক লাগানো নেই তবে ব্যবহারকারী চাইলে একটা সাটা এসএসডি বা হার্ড ডিস্ক লাগাতে পারবে।
এই ল্যাপটপে আছে ১৬.৪ ইঞ্চির ডিস্প্লে আর ভিউইং অ্যাঙ্গেল বেশ ভাল। কিন্তু এই ল্যাপটপের স্ক্রীনের ব্রাইটনেস কম হওয়ায় বেশি আলোতে গেলে কিছু সমস্যা হতে পারে।
এই ল্যাপটপের কি-বোর্ডের দিকে তাকালেই বোঝা যায় যে কি-ক্যাপগুলো সাধারণ কি-বোর্ড থেকে ছোট তাই রাইটিং এক্সপেরিয়েন্স তেমন একটা ভাল নাও হতে পারে কারোর কাছে। তবে যদি খুব বেশি সমস্যা হয় তবে একটা অতিরিক্ত কি-বোর্ড লাগানো যাবে।
তাচপ্যাডের কথা বলতে গেলে কিছু কথা না বললেই না। এর টাচপ্যাডের আকৃতি সাধারণ ল্যাপটপ বা গেমিং ল্যাপটপ থেকে বেশ বড় এবং একটি সাধারণ ল্যাপটপ হিসেবে বেশ আরামদায়ক। এর টাচ রেস্পন্স টাইম সহ অ্যাকুরেসি বেশ ভাল কেননা এতে উইন্ডোজ ১০ সহ টাচপ্যাডের জন্য দরকারী ড্রাইভার ইন্সটল করা থাকে।
এবার তাহলে পোর্টের কথায় আসি। ল্যাপটপের বাম সাইডে আছে ১টি পাওয়ার কানেক্টিং পোর্ট, ১টি ইথারনেট পোর্ট, ১টি এইচডিএমআই পোর্ট ও ২টি ইউএসবি টাইপ এ পোর্ট। ডানে তাকালে প্রথমেই দেখা যায় একটা নোবেল সিকিউরিটি পোর্ট, ২টা নোটিফিকেশান পোর্ট, ১টা ইউএসবি টাইপ এ পোর্ট এবং একতা কম্বো অডিও পোর্ট। কম্বো পোর্ট হওয়ায় এতে মাইক্রোফোন ও স্পিকার উভয়ই লাগানো যাবে।
এই ল্যাপটপটির পোর্টেবলিটিতে দারুন সুবিধা আছে। পাওয়ার ক্যাবল ও অ্যাডাপ্টার সহ এই ল্যাপটপটির ওজন প্রায় ১.৮ কেজি। এই ল্যাপটপ একবার ফুল চার্জে টানা ৬ ঘন্টা ব্যাকআপ দিতে সক্ষম।
রেগুলার টাস্কিং এর জন্য এই বাজেট ল্যাপটপ পেতে পারবেন কম-বেশি ২৪ হাজার টাকায়।