মানুষ সবসময় প্রো’দের সাথে গা ভাসায়। বর্তমানে এই প্রো’তে এবার ট্রেন্ডিংয়ে আছে, ‘ইয়ারপোডস’ এর ব্যাবহার। তবে সেটা হতে হবে অবশ্যই ভালো মানের। ‘অ্যাপল ইয়ারপোডস প্রো’র কথাতো সবাই শুনেছেন। ভাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই, এটির ব্যাপারে কিছু বলবো না। কারন, এটির দাম দিয়ে দুই তিনটা স্মার্টফোন অনায়াসেই কেনা সম্ভব। যাই হোক, আজ যে ‘ইয়ারপোড’টি নিয়ে কথা বলবো সেটি হচ্ছে এই ‘অ্যাপল ইয়ারপোডস প্রো’ এর ফার্স্ট ১ঃ১ কপি ভার্সন। অর্থাৎ, সবকিছুই প্রায় সেইম কিন্তু দাম থাকবে বাজেটের মধ্যে। এই ইয়ারপোডটি ‘আইওএস’ অথবা ‘এন্ড্রোয়েডে’ সুন্দরভাবেই চালানো যাবে। আজ কথা বলতে যাচ্ছি এই ‘ইয়ারপোডস প্রো’ এর এই ফার্স্ট কপি ভার্সনে কি কি রয়েছে, সেই ব্যাপারে।
তো চলুন নিচে গিয়ে জেনে আসা যাক এই ইয়ারপোডটির ব্যাপারে বিস্তারিতঃ⤵
ইয়ারপোডস জোড়ার আনবক্সিং ছিলো খুব সাধারন। বক্সে অ্যাপলে’র লোগোও রয়েছে, যদিও এটা আসল না সবারই জানা। বক্স খোলার পরেই পাওয়া যাবে কিছু ইউজার ম্যানুয়্যাল। এরপরেই রয়েছে কাঙ্খিত ইয়ারপোডস জোড়া, যেগুলো লুকানো রয়েছে এর চার্জিং বক্সের মধ্যে। আরও থাকছে ‘টাইপ সি চার্জিং ক্যাবল’ এবং দুই জোড়া ইয়ারটিপস।
আসা যাক ইয়ারপোডস এর মধ্যে। সাউন্ড সেগমেন্টে এই ইয়ারপোডস জোড়া ছিলো মাইন্ড ব্লোয়িং। বিভিন্ন মিউজিকে এর বেজ বা ভোকাল, সবকিছুই রয়েছে পারফেক্ট ভাবে। একটানা কানে বেশিক্ষন রাখলে কোনো সমস্যা হবেনা। ইয়ারপোডস জোড়ায় ‘ফাইন্ড মাই ডিভাইস’ ফিচারটিও রয়েছে। এর মাধ্যমে ‘অ্যাপলে’র যেকোনো ব্লুটুথ ডিভাইস, এর কাছাকাছি আসলেই অটো কানেক্ট হয়ে যাবে। এটি এই কপি ভার্সনের একটি অসাধারন দিক। ইয়ারপোড জোড়া যদি কোনো এন্ড্রোয়েড ডিভাইসে কানেক্ট করাতে চান, তাহলে সেই এন্ড্রোয়েডের ব্লুটুথ কানেকশন অন করে ইয়ারপোডটির পিছনের বাটনটিতে চাপ ধরে রাখুন। তাহলেই কানেক্ট হয়ে যাবে। ইয়ারপোড জোড়ায় ‘টাচ এবং ইন ইয়ার’ সেন্সর ব্যাবহার করা হয়েছে। এটি অসাধারণ একটি ব্যাপার ছিলো। ইয়ারপোড জোড়ার টাচের মাধ্যমে মিউজিক প্লে/পজ অথবা কল রিসিভ করতে পারবেন। এর মাইক্রোফোনের সাউন্ড কোয়ালিটি ছিলো অনেক ক্লিয়ার। ইয়ারপোড জোড়া কানে ভালোমতো ফিট হয়ে যাওয়ায়, বাইরের কোনো সাউন্ড কানে আসে না। অর্থাৎ নয়েজ ক্যান্সেলেশন ছিলো বেটার।
আগেই বলেছিলাম এটি ‘অ্যাপলে’র ‘ইয়ারপোডস প্রো’ এর কপি। তাই এটি ডিজাইনের দিক দিয়েও সেম। কাউকে না বললে, সে বুঝতেই পারবে না ইহা একখানা কপি মাল। এই ইয়ারপোড জোড়ার চার্জিং বক্স ছিলো প্লাস্টিকের তৈরী। ইয়ারপোডগুলোর সাথে এই বক্সের ম্যাগনেটিক পাওয়ার ছিলো বেশ শক্তিশালী। বক্সে থাকা ইয়ারপোড জোড়া যতই ঝাকাঝাকি করা হোক না কেনো, সেগুলো নিচে পরে যাবেনা। এই প্লাস্টিক বক্সটির নিচে রয়েছে চার্জিং পোর্ট। ইয়ারপোডটির এই বক্সে ব্যাবহার করা হয়েছে ৩৩০ এমএইচের ব্যাটারী। ফুল চার্জ হতে এটি সময় নেয় ১.৫ ঘন্টা। হেভি ইউজে চার্জিং ব্যাকআপ থাকবে ৬ঘন্টার মতো। নরম্যালি ৭/৮ ঘন্টা ব্যাকআপ পাওয়া সম্ভব৷
সব মিলিয়ে ‘অ্যাপল ইয়ারপোড প্রো’ এর এই কপি ভার্সনটি দাম হিসেবে ভালোই ছিলো। বর্তমানে এটির দাম মাত্র ২,২০০ টাকা। এই দামে এই ইয়ারপোড জোড়া কিনলে আশা করা যায় ভালো কিছুই পাওয়া সম্ভব।