সিম্ফনি নিয়ে এল তাদের নতুন ফোন সিম্ফোনি এটম । না সত্যি এটম বোম না এই ফোনের নাম এটম । আপনারা যারা ৭ হাজার টাকার আশেপাশে ভাল ক্যামেরা ফোন কিনতে চাচ্ছেন তাদের জন্য সিম্ফোনি নিয়ে এল মাত্র ৭২৯০ টাকায় সিম্ফনি এটম । কারন এতে ব্যবহার করা হয়েছে গুগল এর ক্যামেরা । তো শুরু করা যাক এর ফুল রিভিও ।
প্রথমেই বক্স খুললে একটা সুন্দর ফোন দেখতে পাবেন । সাথে পাবেন একটি ৭.৫ ওয়াটের চা্র্জার , থাকছে একটি ব্যাককভার যার কোয়ালিটি আমার কাছে ভালো লেগেছে , একটি ইউএসবি ক্যাবল , একটি সিম কী এবং একটি হেডফোন ।
ফোনটার ব্যাক সাইড প্লাস্টিকের তৈরি এবং এর উপরে রাবারের কোটিং দেয়া আছে যার ফলে ধরতে সুবিধা হয় । এর ডান সাইডে রয়েছে পাওয়ার বাটন এবং ভলিউম রকার এর বাম সাইডে রয়েছে সিম ট্রে যেখানে একই সঙ্গে দুটি সিম এবং একটি মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা যায় নিচের দিকে রয়েছে মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট এবং একটি ডেডিকেটেড মাইক্রোফোন । সবথেকে ভালো ব্যাপার হচ্ছে এর উপরে রয়েছে ৩.৫ মিমি অডিও পোর্ট । এর ব্যাক সাইডে আছে একটা স্পিকার গ্রিল যেটা আমার ভাল লাগে নাই ।
এর ফ্রন্টে রয়েছে ৫ মেগা পিক্সেল সেলফি ক্যামেরা , রেয়ারে রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি সেন্সর । এতে ১০৮০ পি ৩০ এফপিএস এ ভিডিও রেকর্ড করা যায় । আগেই বলেছি এতে ব্যবহার করা হয়েছে গুগল ক্যাম যার ফলে এর ছবির কোয়ালিটি বেশ ভালো । প্রোপার লাইটে বেশ দারুন ছবি তুলেছে তবে কম আলোতে একটু স্ট্রাগল করে যেটা এই বাজেটে মেনে নেয়া যায় তবে এর নাইট মোডের ফলে এটি ৩ সেকেন্ড ধরে ছবি তলে এবং এর তখন বেশ ভালো মনে হয় । এর ছবির কালার একটু বুজটেড হয় যার ফলে ছবিগুলোকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগে , বলা যায় সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য রেডি ফটো । এতে প্রর্টেট মোড , নাইট মোড , গুগল ট্রান্সলেট মোড , বিউটি মোড সহ আরো অনেক মোড রয়েছে ।
এতে রয়েছে এইচডি + একটি ৬.২২ ইঞ্চি আইপিএস প্যানেল যার উপরের দিকে রয়েছে একটি ছোট্ট ওয়াটার ড্রপ নচ । এই ডিসপ্লের ভালো দিক হলো এতে ২৭০ নিডস এবং এতে ১৬.৭ মিলিয়ন রং আছে । যার ফলে ডিসপ্লে দেখতে অনেক ভাল লাগে এর ব্রাইটনেস বাজেট বিবেচনায় ঠিক রয়েছে তবে সূর্যের আলোতে ভিজিবিলিটির একটু সমস্যা হয় , ভিউইং অ্যাংগলে কোন সমস্যা নেই । ডিসপ্লের চিন বা ব্যাজেলস এই বাজেটের অন্যান্য ফোনের মতই তবে নিচের দিকের চিন্তা আরেকটু নেরো রাখা গেলে ভালো হতো । এতে কোন গরিলা গ্লাসের প্রটেকশন আছে তা কোম্পানি উল্লেখ করেনি , তাই সাজেশন থাকবে অবশ্যই স্ক্রীন প্রটেক্টর ব্যবহার করবেন ।
এতে রয়েছে ২জিবি র্যাম এবং ৩২ জিবি রম এখানে ভালো ব্যাপার হচ্ছে আপনি ১২৮ জিবি পর্যন্ত মেমোরি বাড়াতে পারবেন । প্রসেসর হিসেবে পাবেন মেডিয়েটেক হেলিও এ ২২ কোয়াড কোর প্রসেসর যার সর্বোচ্চ ক্লক স্পীদ ১.৮ গিগাহার্জ । ১৪ ন্যানো মিটার টেকনোলজিতে তৈরি । তো এটি একটি এন্ট্রি লেভেলের প্রসেসর এটা দিয়ে হাই লেভেলের কোন গেম খেলা যাবে না তবে অবশ্যই ডেইলি সব সব কাজ গুলো ঠিকঠাক হ্যান্ডেল করতে পারবে । এতে ব্যবহার করা হয়েছে এন্ড্রোয়েড ১০ গো ভার্শন ।
এতে ব্যবহার করা হয়েছে ৪ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার এর একটি ব্যাটারি যেটা বক্সে দেয়া ৭.৫ ওয়াটের চার্জার দিয়ে চার্জ করতে চার ঘন্টার বেশি সময় লাগে। আপনি যদি মিডিয়াম ইউজার হন তাহলে অনায়াসেই দেড় দিনের মতো ব্যবহার করতে পারবেন তবে আপনি যদি হেভি ইউজার হন তবে এক দিনের মতো ব্যাটারি ব্যাকআপ দেবে । এতে রয়েছে ২৮ ঘন্টা টকটাইম , অর্থাৎ আপনি একবার ফুল চার্জ দিয়ে এতে ২৮ ঘন্টা কথা বলতে পারবেন । যদিও আমরা একনাগাড়ে এরকম সময় কথা বলি না , তবে এর থেকে আপনি এর ব্যাটারি ব্যাকআপ সম্পর্কে বুঝতে পারবেন ।
এতে সিকিউরিটির জন্য পাবেন একটি ফ্রিংঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর যেটা ঠিকঠাক কাজ করে তবে কিছুটা স্লো যদিও এই বাজেট অনুযায়ী এটা ঠিক আছে , এতে রয়েছে ফেস আনলক সিস্টেম । তবে আমার মনে হয়েছে এর ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ফেস আনলক থেকে ঠিকঠাক কাজ করে।