নকিয়া ৩.৪ঃ নোকিয়ার সেরা এন্ড্রোয়েড ?
নকিয়া’ তাদের সেই চিরচেনা রুপ নিয়ে আবারও বাজারে নিয়ে এসেছে বিভিন্ন নতুন মডেলের স্মার্টফোন। একসময় তারা বাটন ফোন দিয়ে কতটা রাজত্ব করেছিলো সেটা সবারই জানা। সেই পথচলা থেকে তারা আস্তে আস্তে চলে আসে স্মার্টফোনের ধাপগুলোতে এবং সেগুলোকেও সফলতার সাথে বাজারে কাস্টমারদের কাছে হাসিমুখে বিক্রি করে। এরকমই তাদের একটি স্মার্টফোনের মডেলের নাম ‘৩.৪’। যদিও ফোন কিছুদিন আগেই রিলিজ হয়েছে, কিন্তু এখনও এটি আমাদের দেশে আসেনি। আশা করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবে। আজ কথা বলতে যাচ্ছি এই ফোনটির রিভিউ নিয়ে। যেখানে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করবো এই ফোনে কি কি রয়েছে এবং সেগুলো আসলে কেমন।
তো চলুন নিচে গিয়ে জেনে আসা যাক এই ফোনটির ব্যাপারে বিস্তারিতঃ⤵
বডিঃ
‘নকিয়া’ তাদের এই ফোনে বডি ডিমেনশন দিয়েছে ১৬১×৭৬×৮.৭ মি.মি. (৬.৩৪×২.৯৯×০.৩৪ইঞ্চি)।ফোনটির মোট ওজন হচ্ছে ১৮০ গ্রাম (৬.৩৫ অজেড)। আরও রয়েছে ডুয়্যাল সিমের সুবিধা, যেখানে ন্যানো সিম ব্যাবহার করা যাবে।
ডিসপ্লেঃ
এই ফোনটির ডিসপ্লে হচ্ছে ৬.৩৯ ইঞ্চি। স্ক্রিন থেকে এর বডির রেশিও ৮১.৯%। যেটির রেজুলেশন ৭২০×১৫৬০ পিক্সেলের। এই ডিসপ্লেটি ২৬৮ পিপিআই ডেনসিটি সমৃদ্ধ।
প্লাটফর্মঃ
‘নকিয়া’ তাদের এই ফোনের প্লাটফর্ম অএস’এ দিয়েছে ‘এন্ড্রোয়েড ১০’। প্রসেসরে রয়েছে ‘কোয়ালকম এসএম৪২৫০ স্ন্যাপড্রাগন ৪৬০’, যেটি ১১ ন্যানোমিটারের। ফোনটির সিপিইউ তে রয়েছে ‘অক্ট্যা কোর (৪×১.৮ গিগাহার্জ কোরটেক্স-এ৫৩ & ৪×১.৮ গিগাহার্জ কোরটেক্স-এ৫৩)। জিপিইউ’তে রয়েছে ‘এদ্রেনো ৬১০’।
ক্যামেরাঃ
ব্যাকঃ
‘নকিয়া’ তাদের এই ফোনের পিছনে দিয়েছে তিনটি ক্যামেরা। সেগুলো হচ্ছে ১৩ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড সেন্সর, ৫ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রাওয়াইড সেন্সর এবং ২ মেগাপিক্সেলের ডেপথ সেন্সর। ফিচারে থাকছে ‘এলইডি ফ্ল্যাশ, এইচডিআর এবং প্যানোরামা মোড’। এই ক্যামেরা দিয়ে রেকর্ড করা যাবে ১০৮০’পি রেজুলেশনের ভিডিও।
ফ্রন্টঃ
ফোনটির সামনে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড সেন্সর, যেটি ইন ডিসপ্লে ক্যামেরা। এই ক্যামেরাটি দিয়েও ১০৮০’পি রেজুলেশনের ভিডিও রেকর্ড করা যাবে।
মেমোরীঃ
‘নকিয়া’ তাদের এই স্মার্টফোনটি বাজারে ছেড়েছিলো তিনটি ভ্যারিয়্যান্টে। সেগুলো হচ্ছে ৩/৩২, ৩/৬৪ এবং ৪/৬৪ জিবি। ফোনে আলাদাভাবে মেমোরি কার্ড স্লটও দেয়া হয়েছে। যেখানে ব্যাবহার করা যাবে ২৫৬ জিবি পর্যন্ত মেমোরি কার্ড।
নেটওয়ার্কঃ
এই ফোনে দেয়া হয়েছে ৪জি নেটওয়ার্ক স্পিড। এই ফোনের নেটওয়ার্ক টেকনোলজিতে রয়েছে ‘জিএসএম / এইচএসপিএ / এলটিই ‘। ২জি ব্যান্ডসে রয়েছে ‘জিএসএম ৮৫০ / ৯০০ / ১৮০০ / ১৯০০ – সিম১ & সিম২’। ৩জি ব্যান্ডসে রয়েছে ‘এইচএসডিপিএ ৮৫০ / ৯০০ / ১৭০০ (এডব্লিউএস) / ১৯০০ / ২১০০ । অবশেষে ৪জি ব্যান্ডসে রয়েছে ১,২,৩,৪,৫,৭,৮,১২,১৭,১৩, ২৮,৬৬। স্পিডে রয়েছে ‘এইচএসপিএ ৪২.২/৫.৭৬ এমবিপিএস, এলটিই-এ’।
সাউন্ডঃ
‘নকিয়া’র এই স্মার্টফোনের সাউন্ড সেগমেন্ট ছিলো বেশ ভালো মানের। যেকোনো ধরনের সাউন্ডট্র্যাক ভালোভাবেই শুনতে পাওয়া যাচ্ছিলো এর স্পিকারে। আরও থাকছে ৩.৫ মি.মি.’র ইয়ারফোন জ্যাক।
ব্যাটারীঃ
এই ফোনটিতে দেয়া হয়েছে ৪০০০ এমএইচের ব্যাটারী। ফোনের বক্সেই পেয়ে যাবেন ১০ ওয়াটের একটি ফাস্ট চার্জার।
ফিচারঃ
ফোনটির ফিচারে সিকিউরিটি সেন্সরে দেয়া হয়েছে ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’। যেটি বরাবরের মতো পিছেই দেয়া হয়েছে। সেন্সরে আরও থাকছে ‘অ্যাকসেলেরোমিটার, জিওয়াইআরও এবং প্রক্সিমিটি’।
যেসব পরিবর্তন রয়েছে এই ফোনেঃ
‘নকিয়া’ তাদের এই ফোনে কোন পরিবর্তন আনেনি। আশা করা যায় এই মোবাইল ফোন ব্র্যান্ড সামনে যে ফোনগুলো রিলিজ করবে, সেগুলো আপগ্রেড করে বাজারে নিয়ে আসবে।
দামঃ
ফোনটি বাংলাদেশে এখনও রিলিজ হয়নি। তবে, এর ধারনাকৃত দাম ধরা হয়েছে ১৭,০০০টাকা। তবে, এর দাম কিছুটা কম হলে ভালো হতো। যদিও পরে আস্তে আস্তে কমে যাবে।