যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তি, বাড়ছে জীবনযাত্রার মান। প্রযুক্তির কল্যাণে হাতের মুঠোয় চলে এসেছে পুরো বিশ্ব। বর্তমান সময়ে জীবনযাত্রার অন্যতম একটি ব্যবহার্য বস্তু হচ্ছে স্মার্টফোন। প্রযুক্তির উন্নয়নের যুগে ডিএসএলআর কিংবা ডিজিটাল ক্যামেরা সবার পক্ষে কেনা বা বহন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে প্রাত্যহিক জীবনে ছবি তোলা মানুষের অন্যতম একটি চর্চা। আর এক্ষেত্রে হাতে থাকা মুঠোফোনই সর্বেসর্বা। সুযোগ-সুবিধা ও ব্যবহারবিধির দিক থেকে স্মার্টফোনের জন্য সেরা পাঁচটি ছবি তোলার অ্যাপ হলো—
গুগল ক্যামেরা:
গুগলের পিক্সেল ফোনগুলো তাদের ক্যামেরার জন্যই বেশি পরিচিত। তবে ক্যামেরার পারফরম্যান্স ফোনের হার্ডওয়্যার নয়, সফটওয়্যারের ওপর নির্ভর করে। আর এদিক থেকে গুগলের ক্যামেরা (জিক্যাম) বা পিক্সেল ক্যামেরা সবার পছন্দের শীর্ষে। এ অ্যাপ ফোনের হার্ডওয়্যারকে আরো কার্যক্ষম করার মাধ্যমে ভালো ছবি ধারণে সাহায্য করে। এতে নাইট মোড, পোর্ট্রেট, প্যানারোমা, ফটো স্পিয়ার সুবিধা রয়েছে।
আ বেটার ক্যামেরা:
নামের সঙ্গে এ অ্যাপের কার্যক্রমেও মিল রয়েছে। এ অ্যাপে বার্স্ট মুড থেকে শুরু করে, নাইট মুডসহ ছবি থেকে কোনো কিছু সরিয়ে ফেলাসহ বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও এতে এইচডিআর সুবিধাও প্রদান করা হয়েছে। ম্যানুয়াল কন্ট্রোলে যদি আপনি সাবলীল না হন, তাহলে এ অ্যাপ ব্যবহার করাই আপনার জন্য উত্তম।
ক্যামেরা এফভি-ফাইভ:
আপনি যদি ম্যানুয়াল কন্ট্রোলে ছবি তুলতে ভালোবাসেন, তাহলে এ অ্যাপ আপনার জন্য। এতে ফোকাস, এক্সপোজার, হোয়াইট ব্যালান্স এমনকি শাটার স্পিডও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সবকিছু ঠিক করার পর আপনি র, পিএনজি ও আরজিবি হিস্টোগ্রাম ফরম্যাটে ছবি তুলতে পারবেন। এ অ্যাপের মাধ্যমে ছবি তোলার পর সহজেই তা এডিট করা যায়।
ক্যামেরা এমএক্স:
ক্যামেরা এমএক্স তুলনামূলকভাবে পুরনো একটি অ্যাপ। তবে এর ডেভেলপাররা প্রতিনিয়ত এর আপডেট করে যাচ্ছেন। এটি ব্যবহারের দিক থেকে খুবই সহজ। এ অ্যাপে খুব বেশি ফিচার না থাকলেও এর মাধ্যমে গ্রাফিকস ইন্টারচেঞ্জ ফরম্যাটের (গিফ) ছবি তৈরি করা যায়। এছাড়াও এতে বিল্ট ইন ফটো এডিটর থাকায় আপনি এ অ্যাপেই আপনার ছবি সম্পাদনা করতে পারবেন।
ডিএসএলআর ক্যামেরা প্রো:
নামের সঙ্গে এ অ্যাপ থেকে ভালো কিছু ফিচার আপনি আশা করতেই পারেন। ম্যানুয়াল কন্ট্রোলের মাধ্যমে যদি আপনি ছবি তুলতে চান, তাহলে এ অ্যাপ আপনার পছন্দের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে। এর মাধ্যমে হোয়াইট ব্যালান্স, আইএসও, এক্সপোজার, আরজিবি হিস্টোগ্রামের কাজ করা যাবে। এ অ্যাপের মাধ্যমে আপনি ডিএসএলআর ক্যামেরার শাটার বাটনের মতো কাজ করতে পারবেন।