স্যামসাং স্মার্টফোনের কথা চিন্তা করলেই করলেই কি গ্যালাক্সি এস, নোট এবং ফোল্ডএবলের কথা মাথায় আসে? সে দিন সম্ভবত পাল্টে যাচ্ছে। এখন স্যামসাং লাইনআপের পেছনের সারির ফোনগুলোর সুযোগ হচ্ছে আলো ছড়ানোর।
মনে রাখা ভালো, করোনাভাইরাস মহামারীতে অনেক লোকেরই আয় রোজগার কমে গেছে। ফলে, দামি মোবাইলের বদলে খানিকটা স্বাশ্রয়ী ফোনেই যাচ্ছেন অনেকে। কেবল বাংলাদেশে নয়, গোটা পৃথিবীতেই।
স্যামসাং বুধবার জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যম-রেঞ্জের গ্যালাক্সি এ সিরিজের স্মার্টফোন লাইনআপ দ্বিগুণ করছে। আর এর ফলে ৩০০ ডলার মূল্যের নিচে চলে আসছে ৫জি ফোন। সিএনএন বলছে, একটা দুটো নয়, পাঁচটি নতুন মডেল আনছে স্যামসাং।
স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এবং নোট মডেলগুলোর কারণে এ সিরিজ কখনোই প্রথম সারিতে আসতে পারেনি। আইডিসি’র প্রতিবেদন বলছে, ২০২০ সালে মহামারীতে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে স্বাশ্রয়ী ফোনের বিক্রি কোম্পানির মোট স্মার্টফোন বিক্রির শতকরা ৭০ ভাগে চলে এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই হার ছিল ৬০ ভাগ।
স্যামসাং জনিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর স্বাশ্রয়ী মূল্যের ফোন লাইনআপের বিক্রি বেড়েছে ১৬৯ শতাংশ। সে কারণেই স্যাংমসাং এই খাতে এখন আরও উদ্যোগী হয়েছে। গত মাসেই স্যামসাং একটি আনপ্যাকড ইভেন্ট আয়োজন করেছে যেটি সাধারণত গ্যালাক্সি এবং নোট ডিভাইসের জন্যই এতোদিন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এখন, ওই একই মডেলের ফোনগুলো অন্য দেশেও আনছে স্যামসাং। এর মধ্যে তিনটি নতুন ৫জি ডিভাইস – গ্যালাক্সি এ৫২ ৫জি (৪৯৯ ডলার), এ৪২ ৫জি (৩৯৯ ডলার) এবং এ৩২ ৫জি (২৭৯ ডলার) – এবং দুটি ৪জি মডেল, এ১২ (১৭৯ ডলার) এবং এ০২ এস (১০৯ ডলার) রয়েছে।
ফোন কেনার বেলায় দাম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই, তবে এর বৈশিষ্ঠ্যগুলোও ফেলে দেওয়ার মতো নয়। ‘এজ টু এজ’ পর্দা, একগাদা ফিচারয়ালা ক্যামেরা, শক্তিশালী প্রসেসর, ডিজাইন এবং কিছু মডেলে ৫জি। আইডিসি’র বিশ্লেষক রামন ল্ল্যামাস বলেন – “ব্যাপক সংখ্যক গ্রাহবের জন্যই এটি হাই এন্ড ফোন বলে বিবেচিত হবে।”