বাংলাদেশে এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ জুমের বিকল্প সেবা। পরিকল্পনা রয়েছে সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুক, স্ট্রিমিং সেবা ইউটিউব এবং মেসেজিং সেবা হোয়াটসঅ্যাপেরও বিকল্প তৈরি করার। সম্প্রতি এ ব্যাপারে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
এরই মধ্যে দেশে সফলভাবে ই-নথি বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং সব দাপ্তরিক কাজ কাগজবিহীনভাবে ‘ই-ফাইল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের’ আওতায় করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন যে লকডাউনে অফিস বন্ধ আছে, আমরা কিন্তু ভার্চুয়ালি অফিশিয়াল কাজগুলো করছি। এজন্য কারো উপর আমাদের নির্ভর করতে হচ্ছে না। আমাদের নিজেদের যে ফাইল সিস্টেম আছে, সেটি আমরা ব্যবহার করছি।
শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে ফেইসবুক ভিত্তিক নারী উদ্যোক্তাদের প্ল্যাটফর্ম উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) এর আয়োজন ‘অন্টরপ্রেনিওরশিপ মাস্টারক্লাস সিরিজ ২.০’। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে এ বিষয়ে জানিয়েছেন পলক।
নিজ বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জানান, এখন আন্তঃমন্ত্রণালয় ভিডিও কনফারেন্সিং এবং জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ মিটিংগুলো জুমের মতোই ‘বৈঠক’ নামের একটি দেশীয় প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে করা হচ্ছে।
পলক এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের সেই ‘বৈঠক’ -এ কিন্তু এখন প্রায় একশ’ জনের বেশি একটা মিটিংয়ে উপস্থিত হওয়ার সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। এবং আমরা চেষ্টা করছি এটা একই সময়ে কীভাবে তিনশ’ জনের অধিকে নিয়ে যাওয়া যায়, সে সক্ষমতা তৈরি করার জন্য।
ওই সক্ষমতা অর্জনের পর উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্সকে দেশীয় উদ্ভাবন ‘বৈঠক’ প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ার কথাও জানান তিনি।
পলক বলেন, “এখানে এক ঘণ্টা পর্যন্ত বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে এবং এক ঘণ্টার উপরে খুব সাশ্রয়ী মূল্যে আমরা সাবস্ক্রিপশনের সুযোগ করে দেব।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে উইমেন্স অ্যান্ড ই-কমার্সের যেমন একটি ফেইসবুক গ্রুপ রয়েছে, ওই রকমই একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তৈরি করা। আমাদেরই একটি মাধ্যম থাকবে ফেইসবুকের বিকল্প হিসেবে।”
তিনি বলেন, “কোনো কারণে যাতে আমাদের বিদেশ নির্ভর হতে না হয়। আমাদের যাতে আত্মনির্ভরশীলতা থাকে তার জন্য আমরা ‘যোগাযোগ’ নামে একটি সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।”
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, এখন ইউটিউব বা যে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলো আছে, সেখানে ব্যাপকভাবে অনেক বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন উদ্যোক্তারা। এর মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারের রাজস্ব আয় হচ্ছে না। সেজন্য বিকল্প একটা স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মও তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অল্পদিনের মধ্যেই ওই স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম তৈরির আশা ব্যক্ত করে পলক আরও বলেন, “আমাদের নিজস্ব একটি কমিউনিকেশন অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প হিসেবে আমরা ‘আলাপ’ নামে তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছি।