আইফোন ১৩ ও ওয়াচ সিরিজ ৭সহ বেশ কয়েকটি পণ্য উন্মোচন করেছে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল। ফাইভজি কানেক্টিভিটি সম্প্রসারণসহ শক্তিশালী চিপ ও উন্নততর ক্যামেরা নিয়ে হাজির হয়েছে বহুল কাঙ্ক্ষিত আইফোন ১৩। বিস্তৃত স্ক্রিনসহ অ্যাপল একই সঙ্গে উন্মোচন করেছে তাদের ওয়াচ সিরিজ ৭।
ভার্চুয়াল ইভেন্টে চারটি মডেলের আইফোন ১৩ উন্মোচন করে অ্যাপল। নতুন প্রসেসরসহ ফোনগুলো হচ্ছে আইফোন ১৩, আইফোন ১৩ মিনি, আইফোন ১৩ প্রো ও আইফোন প্রো ম্যাক্স। এছাড়া নতুন একজোড়া আইপ্যাডসহ বহুল কাঙ্ক্ষিত আইপ্যাড মিনিও উন্মোচন করে ক্যালিফোর্নিয়ার কুপার্টিনোভিত্তিক কোম্পানিটি।
চারটি আইফোনেই দীর্ঘ সময় সাপোর্ট করার মতো বড় ব্যাটারি দেয়া হয়েছে। এর বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এ১৫ বায়োনিক চিপের কারণে আগের আইফোনের চেয়ে দেড় থেকে আড়াই ঘণ্টা বেশি সেবা পাওয়া যাবে। অ্যাপল জানিয়েছে, আইফোন ১৩ ও আইফোন ১৩ মিনির পেছনে থাকছে ১২ মেগাপিক্সেলের দুটি ক্যামেরা। ভিডিও কনটেন্ট তৈরিতেও নতুন আইফোন বেশ সুবিধা নিয়ে এসেছে। ক্যামেরায় দেয়া হয়েছে সিনেম্যাটিক মোড। আইফোন ১৩ প্রো ও আইফোন প্রো ম্যাক্স ফোন দুটিতে ৩এক্স জুম টেলিফটো লেন্স যুক্ত করা হয়েছে।
ডিসপ্লেতেও আগের চেয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাপল, যা প্রায় ২০ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল। নতুন মডেলে থাকছে ৫০০ জিবি স্টোরেজ। সর্বনিম্ন ৬৪ জিবির বদলে ১২৮ জিবি স্টোরেজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়ালেও দাম আগের আইফোনগুলোর মতোই রেখেছে অ্যাপল। আইফোন ১৩ মিনির দাম রাখা হচ্ছে ৬৯৯ ডলার। বাকি তিনটি মডেলের দাম পড়ছে যথাক্রমে ৭৯৯, ৯৯৯ ও ১ হাজার ৯৯ ডলার। আগামী শুক্রবার বা ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে কয়েকটি দেশে আইফোনের প্রি অর্ডার করা যাবে বলে জানিয়েছে অ্যাপল এবং ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে অ্যাপ স্টোর ও অন্য বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে বিক্রি শুরু হবে।
এদিকে অধিক টেকসই ও বৃহৎ স্ক্রিন নিয়ে হাজির হয়েছে অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ৭। কোম্পানির তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ওয়াচ সিরিজ ৭ একবার চার্জেই অন্তত ১৮ ঘণ্টার ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে পারবে। এছাড়া ইউএসবি-সি পাওয়ার্ড চার্জারে স্মার্টওয়াচটি দ্রুত চার্জ দেয়া সম্ভব। চার্জারটি ব্যবহারে যা মাত্র ৪৫ মিনিটেই শূন্য থেকে ৮০ শতাংশ চার্জ করা সম্ভব। শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৩৯৯ ডলারে পাওয়া যাবে স্মার্টওয়াচটি।
ফাইভজি কানেক্টিভিটিসহ আপডেট আইপ্যাড মিনি এনেছে অ্যাপল। ডিভাইসটির মূল্য ১০০ ডলার বেড়েছে, তবে সেখানে অ্যাপল পেন্সিল ও শক্তিশালী চিপ যুক্ত করা হচ্ছে। চিকিৎসক ও শিক্ষকদের মতো পেশাজীবী শ্রেণীর কাছে এ ডিভাইস জনপ্রিয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে বাজারে আসা আইপ্যাড মিনির দাম পড়বে ৪৯৯ ডলার।