অ্যাপল এয়ারপডের ইন-ইয়ার ডিজাইনসহ বাজারে নতুন ইয়ারবাডস নিয়ে এসেছে চীনের অন্যতম প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান শাওমি। ইন-এয়ার ডিজাইন ছাড়াও ইয়ারবাডসটি ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম বলে প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে। অন্যান্য ট্রু ওয়্যারলেস ইয়ারবাডসের মতো রেডমি বাডস ৩-এও টাচ কন্ট্রোল দেয়া হয়েছে।
রেডমি বাডস ৩-তে ১২ মিলিমিটারের বড় আকৃতির ড্রাইভার দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এতে কোয়ালকম কিউসি ৩০৪০ প্রসেসরও দেয়া হয়েছে। ইয়ারবাডস গুলোতে কোয়ালকমের অ্যাপ্টএক্স অডিও ডিকোডিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা ব্লুটুথের মাধ্যমে উন্নত শাব্দিক অভিজ্ঞতা পাবেন। শাওমির দাবি রেডমি কে৪০ প্রোসহ অন্যান্য ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসের সঙ্গে যুক্ত থাকা অবস্থায় ৯৫ মিলিসেকেন্ডের কম ল্যাটেন্সি সরবরাহ করে থাকে।
রেডমি বাডস ৩-তে টাচ কন্ট্রোলও দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ইয়ারবাডসের পেছনে ট্যাপ করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা গান বাজানো, ট্র্যাক পরিবর্তনসহ ফোনকল গ্রহণ করতে পারবেন। যেসব ফোনে এমআইইউআই ১২ ও তার পরবর্তী ভার্সন রয়েছে, সেসব ফোনে ওয়ান ট্যাপ কুইক পেয়ারিং অপশন রয়েছে।
দুটি ইয়ারবাডসে আলাদাভাবে দুটি করে মাইক্রোফোন রয়েছে। সব মাইক্রোফোনেই কোয়ালকমের সিভিসি প্রযুক্তি রয়েছে। এ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ব্যবহারকারী ভয়েস কলিংয়ের ক্ষেত্রে দূষণমুক্ত শাব্দিক অভিজ্ঞতা পাবেন। সিঙ্গেল চার্জে প্রতিটি ইয়ারবাডসই টানা ৫ ঘণ্টা প্লেব্যাক সাপোর্ট দেবে বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির। অন্যদিকে বান্ডেলড চার্জিং কেসের মাধ্যমে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যাবে বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি। রেডমি বাডস ৩-তে কুইক চার্জিং প্রযুক্তিও রয়েছে। টাইপ সি পোর্টের মাধ্যমে মাত্র ১০ মিনিটের চার্জে দেড় ঘণ্টা প্লেব্যাক পাওয়া যাবে।
বর্তমানে শুধু চীনের বাজারে এ ইয়ারবাডসটি পাওয়া যাবে। এর বাজারমূল্য ২ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে হতে পারে। বৈশ্বিক বাজারে কবে নাগাদ এ ইয়ারবাডস উন্মুক্ত করা হবে, সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানা যায়নি।