আগামী বছর ৫২টি নতুন মডেলের স্মার্টফোন আনার পরিকল্পনা করছে স্যামসাং। এছাড়া ২০২২ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে গ্যালাক্সি জি ফোল্ড ৪ ও গ্যালাক্সি জি ফ্লিপ ৪ এবং গ্যালাক্সি এস২২ ফ্যান এডিশনের (এফই) নির্মাণকাজ শুরু হবে। স্যামসাংয়ের অভ্যন্তরীণ নথির বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক প্রযুক্তি সাইট দি ইলেক।
স্যামসাংয়ের পরিকল্পনায় দেখা গেছে, ২০২২ সালে ৬ কোটি ৭০ লাখ ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি জায়ান্টটির। আগামী বছর গ্যালাক্সি এস২২, গ্যালাক্সি এস২২ প্লাস, গ্যালাক্সি এস২২ আল্ট্রা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা যথাক্রমে ১ কোটি ৪০ লাখ, ৮০ লাখ ও ১ কোটি ১০ লাখ ইউনিট। ফোল্ডেবল ফোন গ্যালাক্সি জি ফোল্ড ৪ ও জি ফ্লিপ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা যথাক্রমে ২৯ লাখ ও ৬৯ লাখ ইউনিট। চলতি বছরে উন্মোচিত হওয়া জি ফোল্ড ৩ ও জি ফ্লিপ ৩ ফোল্ডেবল ফোনসহ ২০২২ সালে ফোল্ড সিরিজের ফোন বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ৪০ লাখ ইউনিট এবং ফ্লিপ সিরিজের ৯০ লাখ ইউনিট।
সংখ্যায় অল্প হলেও ফ্ল্যাগশিপ ফোন থেকে বড় অংকের আয় করে থাকে স্যামসাং। আগামী বছর বিশ্বের শীর্ষ এ স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানিটির মোট স্মার্টফোন বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ৩৩ কোটি ৪০ লাখ। এর মধ্যে অবশ্য ২৬ কোটি ৭০ লাখই মধ্যম ও সাশ্রয়ী ফোন।
সংখ্যার দিক থেকে স্যামসাং যে ফোনগুলো সর্বাধিক নির্মাণ করতে পারে, তার মধ্যে রয়েছে গ্যালাক্সি এ৫৩, এ১৩ ও এ৩৩। ২০২২ সালে মোট বিক্রির লক্ষ্যমাত্রার ২৩ শতাংশ পূরণ করবে এ মডেলগুলো। আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকেই নির্মাণ শুরু হবে গ্যালাক্সি এ৫৩ ও এ৩৩ ফোনের। তারা এ১৩ ও এ৩৩ ফোন নির্মাণ করবে যথাক্রমে ২ কোটি ৭০ লাখ ও ২ কোটি ৩০ লাখ ইউনিট। এ মডেলের ফোনগুলো ভারতের মতো উদীয়মান বাজারে বিক্রি করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কিছুটা উচ্চমূল্যের গ্যালাক্সি এ সিরিজের ফোন যেমন এ৭৩ ফাইভজির নির্মাণ শুরু হতে পারে আগামী বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে। স্যামসাং এ ফোনটি নির্মাণ করতে পারে ৩৪ লাখ ইউনিট। ২০২২-এর প্রথম প্রান্তিকে উন্মোচিত হতে যাওয়া গ্যালাক্সি এ৫৩ ফাইভজি ফোন নির্মাণ হতে পারে ২ কোটি ৮০ লাখ ইউনিট। সাশ্রয়ী ফোন যেমন গ্যালাক্সি এম৫৩ ফাইভজি, এম৩৩ ফাইভজি ও এম১৩ (এফ১৩) ফোনগুলোর নির্মাণকাজ শুরু হতে পারে দ্বিতীয় প্রান্তিকে।