সাশ্রয়ী দামে দারুণ সব ফিচারের স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ছে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ। ফলে গ্রাহকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সব ডিভাইস। এবার দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি বাজারে ছাড়লো নতুন একটি ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন। যার মডেল ‘প্রিমো এসএইট’। ফোনটির ডিজাইন, ক্যামেরা, বিল্ট কোয়ালিটি, ব্যাটারিসহ অন্যান্য কনফিগারেশন ইতোমধ্যেই প্রযুক্তিপ্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছে।
ওয়ালটন মোবাইলের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) এস এম রেজওয়ান আলম জানান, সম্পূর্ণ থ্রিডি গ্লাস প্যানেলে তৈরি ‘প্রিমো এসএইট’ যেমন দৃষ্টিনন্দন, তেমনই অত্যাধুনিক ফিচারে ভরপুর। মিরর ব্ল্যাক এবং ওশেন ব্লু রঙের ডিভাইসটির ফিংগারপ্রিন্ট সেন্সরটি সাইড মাউন্টেড। ডিভাইসটি মাত্র ৮.৬ মিলিমিটার স্লিম। ফলে এর ডিজাইন ও বিল্ট কোয়ালিটি গ্রাহককে প্রিমিয়াম ফিল দেয়।
ওয়ালটন মোবাইলের চিফ সেলস অফিসার এম.এ. হানিফ জানান, দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা, মোবাইল ব্র্যান্ড ও রিটেইল আউটলেটে ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২০,৯৯০ টাকায়। পাশাপাশি ঘরে বসেই ওয়ালটন গ্রুপের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ওয়ালকার্ট (walcart.com) থেকে ৮ শতাংশ মূল্যছাড়ে ফোনটি কেনা যাচ্ছে ১৯,৩১৩ টাকায়। ওয়ালটকার্ট থেকে কেনায় পণ্য হাতে পেয়ে মূল্য পরিশোধের সুযোগসহ সঙ্গে থাকছে ফ্রি হোম ডেলিভারি। দেশের সব ওয়ালটন প্লাজায় রয়েছে কিস্তিতে কেনার সুবিধা।
ওয়ালটন মোবাইলের ক্রিয়েটিভ অ্যান্ড কমিউনিকেশন্সের ইনচার্জ হাবিবুর রহমান তুহিন জানান, ‘প্রিমো এসএইট’ ফোনটিতে রয়েছে ২১:৯ অ্যাসপেক্ট রেশিওর ৬.৭৮ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস এলটিপিএস ডিসপ্লে। ৪০০ নিটস ব্রাইটনেস সমৃদ্ধ পর্দার রেজ্যুলেশন ২৪৬০ বাই ১০৮০ পিক্সেল। ৯০ হার্জ ডিসপ্লে ব্রাইটনেস রেট থাকায় গেমিং হবে আরো স্মুথ।
অ্যানড্রয়েড ১১ অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত ওয়ালটনের এই ফোনে ব্যবহৃত হয়েছে ২.০ গিগাহার্জ গতির শক্তিশালী হেলিও জি৮৮ অক্টাকোর প্রসেসর। গ্রাফিক্স হিসেবে আছে এআরএম মালি-জি৫২ এমসিটু। এরসঙ্গে ৬ গিগাবাইট এলপিডিডিআর৪এক্স র্যাম থাকায় দুর্দান্ত গতির সঙ্গে মিলবে অসাধারণ গেমিং অভিজ্ঞতা। ফোনটিতে ১২৮ গিগাবাইট ইন্টারন্যাল স্টোরেজের সাথে ২৫৬ গিগাবাইট মাইক্রো এসডি কার্ড সাপোর্ট সুবিধা রয়েছে। ফলে অনেক বেশি ডকুমেন্ট, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।
স্মার্টফোনটির অন্যতম বিশেষ ফিচার এর ক্যামেরা। ফোনটির পেছনে রয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশসহ ১.৭ অ্যাপারচার সমৃদ্ধ এআই কোয়াড (চার) ক্যামেরা সেটআপ। যার প্রধান সেন্সরটি ৪৮ মেগাপিক্সেলের। পাশাপাশি রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স, ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো লেন্স এবং ২ মেগাপিক্সেলের ডেফথ সেন্সর। ১/২ ইঞ্চির ৬পি লেন্স থাকায় ছবি হবে ঝকঝকে ও নিখুঁত। পেছনের ক্যামেরায় ফুলএইচডি রেজ্যুলেশনের ভিডিও ধারণ করা যাবে। আকর্ষণীয় সেলফির জন্য ফোনটির সামনে রয়েছে ২.০ অ্যাপারচারের পিডিএএফ প্রযুক্তির ৮ মেগাপিক্সেল মিডল পাঞ্চহোল ক্যামেরা।
ক্যামেরার বিশেষ ফিচারের মধ্যে রয়েছে পিডিএএফসহ অটোফোকাস, এআই মোড, নরমাল মোড, প্রোফেশনাল মোড, ৬পি লেন্স, পোরট্রেইট, ডিজিটাল জুম, বিএসআই, এইচডিআর, ফেস ডিটেকশন, সেলফ টাইমার, টাচ ফোকাস, টাচ ক্যাপচার, ফিংগারপ্রিন্ট ক্যাপচার, ভলিউম ক্যাপচার, মিরর রিফ্লেকশন, স্লো মোশন, টাইম-ল্যাপস, প্যানোরামা, ফিল্টার, নাইট, বিউটি মোড, কিউআর কোড, ম্যাক্রো লেন্স ইত্যাদি।
দুর্দান্ত পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য ফোনটিতে রয়েছে ১৮ ওয়াট ফাস্ট চার্জিংসহ ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার লি-পলিমার ব্যাটারি। আছে টাইপ সি রিভার্স চার্জিং সুবিধা। ফলে এই ফোন থেকে অন্যান্য ডিভাইসেও চার্জ দেয়া যাবে।
এর অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ফেস আনলক, ফুল এইচডি ভিডিও প্লেব্যাক ও ক্যামকর্ডার, স্ক্রিন রেকর্ডার, ইন্টেলিজেন্ট এসিস্ট্যান্ট, স্মার্ট কন্ট্রোল, স্প্লিট স্ক্রিন, ডার্ক মোড, সাসপেন্ড বাটন, প্রেয়ার টাইমস, ভিওএলটিই বা ভোল্টি সাপোর্টসহ থ্রি ইন ওয়ান ডুয়াল ফোরজি সিম সাপোর্ট, ওটিএ, ওটিজি ইত্যাদি।
ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নিজস্ব কারখানায় তৈরি এই স্মার্টফোনে ৩০ দিনের বিশেষ রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা রয়েছে। এছাড়া, ১০১ দিনের প্রায়োরিটি সেবাসহ স্মার্টফোনে এক বছরের এবং ব্যাটারি ও চার্জারে ছয় মাসের বিক্রয়োত্তর সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক।