সম্প্রতি প্রযুক্তি পণ্যের বাজারে অভিষেক হয়েছে ওয়ানপ্লাস ১০ প্রো’র, হার্ডওয়্যারের হিসেবেও বেশ আকর্ষণীয় এটি। কিন্তু ডিভাইসটি এতোটাই নাজুক যে ইউটিউবারের হাতের চাপেই ভেঙে ভাঁজ হয়ে যাচ্ছে ওয়ানপ্লাসের নতুন স্মার্টফোনটি।
স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ১ প্রসেসর এবং পাঁচ হাজার মিলিঅ্যাস্পিয়ার ব্যাটারি আছে ডিভাইসটিতে। কিন্তু ইউটিউবার জ্যাক নেলসনের পরীক্ষা বলছে, টেকসই নয় ফোনটি। ডিভাইসের মাঝ বরাবর চাপ দেওয়ায় প্রায় দ্বিখণ্ড হয়ে যাচ্ছিল ওয়ানপ্লাস ১০ প্রো।
ওয়ানপ্লাস ১০ প্রো নিয়ে রিভিউ ভিডিও বানিয়ে ‘জেরি রিগ এভরিথিং’ চ্যানেলে পোস্ট করেছেন নেলসন। ভিডিওর ছয় মিনিট ৫৭ সেকেন্ডে ‘বেন্ড টেস্ট’ শুরু করেন তিনি। প্রথমবার চাপ দেওয়ার পরপরই বাঁকা হওয়া শুরু করে ফোনের কেসিং, ফাটল ধরে ফোন কেসিংয়ের পেছনের গ্লাসে।
আর দ্বিতীয়বার চাপ প্রয়োগ করার ক্যামেরার নিচ থেকে ভেঙে ভাঁজ হওয়া শুরু করে ডিভাইসটি। ব্যাটারির ঠিক উপরেই ভেঙে যায় ফোনের কেসিং। ডিভাইসের কেসিংয়ের চারপাশে থাকা ধাতব ফ্রেমটিও ছিল নেলসনের প্রত্যাশার চেয়ে পাতলা।
নেলসন শুরু থেকেই ফোনটি কতোটা টেকসই সেটা যাচাই করার চেষ্টা করছিলেন। তবে, ডিভাইসটি যে বেশ নাজুক এবং সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, নেলসনের ভিডিও থেকে সেটাই উঠে এসেছে বলে মন্তব্য করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।
ডিভাইসের দুর্বলতা প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ওয়ানপ্লাস। বৈশ্বিক বাজারের জন্য ডিভাইসটিতে আরো মজবুত করে নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, সে বিষয়েও মুখ খোলেনি প্রতিষ্ঠানটি।
চাপে পড়ে মাঝখান দিয়ে বেঁকে যাওয়ার ঘটনা কেবল ওয়ানপ্লাসের ডিভাইসের সঙ্গে ঘটছে এমনটা নয়। ডিভাইস বেঁকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন আইফোন ৬ এবং ৬ প্লাসের ক্রেতারাও। পরবর্তীতে মামলার অংশ হিসেবে প্রকাশিত অভ্যন্তরীণ নথিপত্র থেকে উঠে আসে, অ্যাপল জানতো যে আইফোন ৫এস-এর তুলনায় বেশ দুর্বল ছিল আইফোন ৬।
এ ছাড়াও, ২০১৮ সালে নেলসন আবিষ্কার করেন চাপে বেঁকে যাচ্ছে ওই বছরের আইপ্যাড প্রো মডেল। ২০২১ সালে একই ভাগ্যের মুখোমুখি হয়েছিল আসুস-এর ‘রোগ ফোন ৫’।