স্মার্টফোন চার্জিংয়ে সর্বোচ্চ গতির নতুন রেকর্ড গড়ছে অপো। ৪৫০০ মিলিঅ্যাম্প আওয়ার ব্যাটারি শূন্য থেকে একশ’ শতাংশে নিতে সক্ষম অপোর নতুন ২৪০ ওয়াট ‘সুপারকভক’ প্রযুক্তি।
চলতি ‘মোবাইল ওয়ার্লড কংগ্রেস’-এ ২৪০ ওয়াট ‘সুপারকভক’ প্রযুক্তির প্রথম প্রোটোটাইপ দেখিয়েছে অপো। এই প্রযুক্তি স্মার্টফোনের ৪৫০০ মিলিঅ্যাম্প আওয়ার ব্যাটারি অর্ধেক চার্জ করতে পারে সাড়ে তিন মিনিটে; অর্থাৎ, প্রতি চার থেকে পাঁচ সেকেন্ডে ব্যাটারি এক শতাংশ করে চার্জ হতে থাকে।
এই প্রযুক্তি সম্ভাবনাময় এবং আকর্ষণীয় মনে হলেও, ব্যাটারির সার্বিক স্থায়িত্বের উপর এর বিরূপ প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট আর্স টেকনিকা। তাই, এই প্রযুক্তির প্রতিশ্রুতি আর সংশ্লিষ্ট অনিশ্চয়তার মধ্যবর্তী পথ খুঁজে নিয়েছে অপো।
এখনই বাজারে আসছে না ২৪০ ওয়াটের চার্জিং প্রযুক্তি; তার বদলে এ বছরেই নিজস্ব স্মার্টফোনে ১৫০ ওয়াটে ‘সুপারভক’ ফ্ল্যাশ চার্জিং প্রযুক্তি আনার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। একই উদ্যোক্তার প্রতিষ্ঠান ওয়ানপ্লাসের একটি ডিভাইসেও এ বছরেই নতুন চার্জিং প্রযুক্তির অভিষেক হবে বলে জানিয়েছে আর্স টেকনিকা।
ওয়াটের হিসেবে কম হলেও সক্ষমতার বিচারে ‘১৫০ ওয়াট সুপারভক ফ্ল্যাশ চার্জ’ প্রযুক্তিকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এই প্রযুক্তিতে স্মার্টফোনে ব্যবহৃত ৪৫০০ মিলিঅ্যাম্প আওয়ার ব্যাটারি ৫০ শতাংশ চার্জ হবে পাঁচ মিনিটে; আর ১০০ শতাংশ চার্জে সময় লাগবে ১৫ মিনিট।
অপো বলছে, ব্যাটারির কোনো ক্ষতি না করে এতো দ্রুত চার্জ করা সম্ভব হবে “ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিন (বিএইচই)’ প্রযুক্তির বদৌলতে। প্রতিষ্ঠানটির বলছে, “কাস্টোমাইজড ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট চিপ” বানিয়েছে তারা যা তাপ এবং ব্যাটারির সার্বিক স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে আনুসাঙ্গিক খুঁটিনাটি ব্যবস্থাপনার কাজ করবে। এ ছাড়াও ব্যাটারি নির্মাণেও নতুন ফর্মুলা ব্যবহারের কথা বলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির দাবি, এক হাজার ৬০০ চার্জ সাইকেল শেষে, নতুন অবস্থায় ব্যাটারির যে সক্ষমতা ছিল তার ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারবে বিএইচই, যা বর্তমান শিল্পমানের দ্বিগুণ। প্রতিদিন একবার করে চার্জ করলেও এক হাজার ৬০০ চার্জ সাইকেল সম্পন্ন করতে চার বছরের বেশি সময় লাগবে।
আর্স টেকনিকা বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্মার্টফোন শিল্প থেকে উঠে আসা সেরা প্রযুক্তিগুলোর একটি হলো এই ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তিগুলো। অপো, শাওমি এবং ওয়ানপ্লাস গেল কয়েক বছর ধরেই এই প্রযুক্তির উপর আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছে। বাজারে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীতার মুখে এই প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হয়েছে গুগল ও স্যামসাং।