ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বা বিটিআরসি ফোরজি নিয়ে ড্রাইভ টেস্ট চালিয়েছে। এরই মধ্যে যতগুলো বিভাগে এই টেস্ট হয়েছে, তার মধ্যে গড়ে একটু ভালো অবস্থানে ঢাকা বিভাগ। ভয়েস কল, ডেটা ও নেটওয়ার্কের কাভারেজ এলাকা- এই তিন মূল বিভাগে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সেবার মান যাচাই করে থাকে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।
গ্রাহককে ফোরজি সেবা বললেই সেখানে সর্বনিম্ন গতি থাকতে হবে ৭ এমবিপিএস। ড্রাইভ টেস্টে ঢাকা বিভাগে গ্রামীণফোনের ফোরজি গতির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, ৬ দশমিক ৯৯ এমবিপিএস। রবির গতি পাওয়া গেছে ৬ দশমিক ৪১, বাংলালিংকের ৮ দশমিক ০১ এমবিপিএস। কিন্তু রাষ্ট্রীয় কোম্পানি টেলিটকের গতি পাওয়া গেছে বেশ কম, মাত্র ২ দশমিক ৮০ এমবিপিএস।
এদিকে, ফোরজি নিয়ে হতাশ বরিশাল ও খুলনার গ্রাহকেরা। এই দুই বিভাগে ৪ অপারেটরের কেউ ফোরজি সেবার বেঞ্চমার্ক স্পর্শ করতে পারেনি।
বরিশাল বিভাগে গ্রামীণফোনের ফোরজি গতির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, ৫ দশমিক ০৫ এমবিপিএস, রবির ৬ দশমিক ৮৭ এমবিপিএস, বাংলালিংকের ৫ দশমিক ৬৪ এবং টেলিটকের ২ দশমিক ২৭ এমবিপিএস। এ বিভাগে ফোরজি টেস্টে সবাই ফেল।
বরিশাল জেলা শহরে থাকেন একাদশের শিক্ষার্থী ইমন। গ্রামীণফোনের ফোরজি গতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, রুমের ভিতরে গেলে গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট তো দূরে থাক, মোবাইল নেটওয়ার্কও খুঁজে পাওয়া যায় না। সবারই একই অবস্থা।
অন্যদিকে, ফোরজি ড্রাইভ টেস্টের পরিসংখ্যানে খুলনা বিভাগে গ্রামীণফোনের ৫ দশমিক ০৬ এমবিপিএস , রবির ৩ দশমিক ৩২, বাংলালিংক ৪ দশমিক ৫৯ এবং টেলিটকের ১ দশমিক ৭১ এমবিপিএস ফোরজি সেবার গতি পাওয়া গেছে। বরিশাল বিভাগের মতো এ বিভাগেও ফোরজির বেঞ্চমার্ক কেউ স্পর্শ করতে পারেনি।
রাজধানীর একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন তুষার চন্দ্র রায়, এই শিক্ষার্থীর বাড়ি খুলনা বিভাগে। করোনার সময় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও ক্লাস চালিয়ে যেতে হয়েছে অনলাইনে। এক্ষেত্রে ক্লাস করতে গিয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল মোবাইল ইন্টারনেট। কারণ তার শহরে মোবাইল নেটওয়ার্ক খুবই দুর্বল।