ফোন নির্মাতা কোম্পানিগুলো ২০০ ডলারের মধ্যে ফাইভজি ফোন নিয়ে আসছে। চিপের দাম কমায় তাদের পক্ষে স্বল্প দামে ফাইভজি ফোন আনা সম্ভব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাজার বিশ্লেষকরা। খবর ব্যাংকক পোস্ট।
সাশ্রয়ী ফোনগুলোয় ফাইভজি সহজলভ্য হওয়ায় নিম্ন আয়ের দেশগুলোর ভোক্তাদের পক্ষে ফাইভজি সুবিধা নেয়া সম্ভব হচ্ছে। ফাইভজি সেবা সহজলভ্য হওয়ার পেছনে ফাইভজি ফোনের জন্য বিশেষায়িত সেমিকন্ডাক্টরের দাম কমার ভূমিকা রয়েছে। এ প্রবণতা আগামী দুই বছর অব্যাহত থাকবে বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের গবেষণা পরিচালক জেফ ফিল্ডহ্যাক বলেন, ৫৫০ ডলার কিংবা তার চেয়ে বেশি দামের প্রিমিয়াম স্মার্টফোন বাজার ছাড়িয়ে ২৫০ থেকে ৫৫০ ডলারের মাঝারি দামের ফোনে ফাইভজি প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে। এমনকি তার চেয়েও কম দামের ফোনে ফাইভজি প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে।
এশিয়ায় ফাইভজি চিপ নির্মাণে তাইওয়ান ও চীনভিত্তিক চিপ নির্মাতা কোম্পানিগুলোর প্রতিযোগিতায় বাজেট ফাইভজি ডিভাইস নির্মাণ ব্যয় কমেছে বলে মনে করেন কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের গবেষণা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিল শাহ।
ফাইভজি সিস্টেম-অন-আ-চিপ বা সকের গড় দাম ৪০ থেকে ৪৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরের শেষের দিকে কিংবা আগামী বছরের শুরুতে সকের দাম ২০ ডলারে নেমে আসতে পারে বলে মনে করেন ফিল্ডহ্যাক। এতে চলতি বছরের জুন নাগাদ ১৯৯ ডলার মূল্যের ফোনে ফাইভজি প্রযুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে। আগামী বছরের শুরুতেই ১৫০ ডলারে মিলবে ফাইভজি স্মার্টফোন। বর্তমানে ৩৪৯ ডলারের কাছাকাছি কিংবা তার চেয়ে বেশি দামে সর্বাধিক ফাইভজি স্মার্টফোন পাওয়া যায়।
ক্যানালিসের পূর্বাভাসে বলা হয়, আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে ২০০ ডলারের কম দামে ৮০ শতাংশ ফাইভজি স্মার্টফোন পাওয়া যাবে। বর্তমানে এ মূল্য তালিকায় যেখানে মাত্র ৫ শতাংশ ফোনে ফাইভজি রয়েছে।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে রিটেইলারদের কাছে চালান হওয়া স্মার্টফোনের ৪২ শতাংশই ছিল ফাইভজি স্মার্টফোন। চলতি বছরে এ হার ৫৪ শতাংশে দাঁড়াবে এবং আগামী বছরে তা দাঁড়াবে ৬৬ শতাংশ।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চালান হওয়া স্মার্টফোনের ৫৮ শতাংশ ছিল ফাইভজি সক্ষমতার। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এ হার ৮৩ শতাংশে দাঁড়াবে। ২০২৩ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ফাইভজি স্মার্টফোনের হার দাঁড়াবে ৮৯ শতাংশ।