হার্ডওয়্যার কোম্পানি নাথিং ‘নাথিং ফোন’ নামের একধরনের স্মার্টফোন শিগগিরই বাজারে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক ওয়ানপ্লাসের সাবেক সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ওয়ানপ্লাস গ্লোবালের সাবেক পরিচালক কার্ল পেই। তিনি আশা করছেন, এ ফোনটি অ্যাপলের আইফোনের বিকল্প হয়ে উঠতে পারবে।
ভিন্ন ভিন্ন প্রযুক্তি একত্রিত করাই নাথিংয়ের শক্তি বলে উল্লেখ করেছেন পেই। আর অ্যাপলের শক্তি হচ্ছে , তারা নিজেরাই চিপসেট তৈরি করে এবং নিজেদের তৈরি সব ওএসইএস পরিচালনা করে।
অন্যদিকে নাথিং একটি ‘ভিন্ন এবং উন্মুক্ত ইকোসিস্টেম’ বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যেখানে ‘পণ্যের একটি বন্ধ পরিসীমার মধ্যে থাকার বাধ্যবাধকতার পরিবর্তে নিজের পছন্দসই ব্রান্ড ব্যবহার করা যাবে। স্যামসাং এবং মাইক্রোসফট এখন পর্যন্ত নাথিংয়ের মতো রিসোর্স জোগাড় করতে পারেনি; কারণ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেই এমন হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার অংশীদারদের সঙ্গে ডিল করার সমস্যায় রয়েছে।
ফোনটির প্রথম উন্মোচন অনুষ্ঠানে কার্ল পেই বলেন, ‘আমরা অ্যাপলের সবচেয়ে কাছাকাছি বিকল্প তৈরি করেছি। আপনি যদি পণ্যগুলোকে সংযুক্ত করতে এবং একসঙ্গে নির্বিঘ্নে কাজ করতে চান তাহলে একমাত্র পছন্দ হতে পারে অ্যাপল। তবে আপনি যদি উইন্ডোজ পিসি অথবা অ্যানড্রয়েড ফোনের জন্য এই ইকোসিস্টেম থেকে বের হতে চান তাহলে তা ভেঙ্গে পড়বে। অ্যাপলের কোনো বিকল্প নেই।’
পেই বলেছেন, ‘নাথিং ওএস’ অ্যানড্রয়েড স্কিন ‘সবধরনের ব্লোটওয়্যার সরিয়ে দিবে’ এবং অ্যাপগুলো ‘অত্যন্ত দ্রুতগতিতে লোড হওয়ার’ মসৃন ও অভিন্ন অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে। এছাড়া ফোনটি তিন বছরের ওএস আপডেট এবং চার বছরের সিকিউরিটি আপডেট পাবে। এপ্রিল থেকে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মালিকরা নাথিং লাউঞ্চার ডাউনলোড করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ওয়ানপ্লাস ছেড়ে দিয়ে ২০২০ সালে নাথিং শুরু করেন পেই। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত একটি পণ্যই বাজারে ছেড়েছে কোম্পানিটি। নাথিংয়ের তৈরি এয়ার (ওয়ান) এয়ারবাডস ক্রেতারা বেশ ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে।