দেশের বাজারে ভিভোর ৩২ মেগাপিক্সেল পপ আপ সেলফি ক্যামেরার ভি১৫ এবং ভি১৫ প্রো স্মার্টফোন সাড়া ফেলেছে। ভি-সিরিজের সর্বশেষ সংস্করণের এ দুই ফোন তাদের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি গ্রাহকপ্রিয়তা পেয়েছে বলে জানিয়েছে বহুজাতিক চীনা কোম্পানিটি।
বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ৩২ মেগাপিক্সেলের পপ আপ সেলফি ক্যামেরার প্রথম ফোন ভি১৫ প্রো ও ভি ১৫। দুটি ফোনেই রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তিনটি রিয়ার ক্যামেরা। অন্ধকারে কিংবা চলমান অবস্থায় এগুলোর কর্মক্ষমতা মুগ্ধ করছে গ্রাহকদের। ৬ জিবি র্যাম সমৃদ্ধ দুটি ফোনে হাই-পারফরমেন্স গেমস খেলাসহ সার্বিক অপারেশন করা যায় সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে।
ভিভো বাংলাদেশ জানায়, গত ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ভি১৫ প্রো এবং মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে ভি১৫ বাজারে ছাড়ে কোম্পানিটি। এপ্রিলের শেষ নাগাদ যে পরিমাণ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই পূরণ হয়ে গেছে।
এ প্রসঙ্গে ভিভো বাংলাদেশ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মি. ডিউক বলেন, এ দুটি ফোন নিয়ে আমরা খুবই আশাবাদী ছিলাম। তবে গ্রাহকদের সাড়া আমাদের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এটি প্রমাণ করে ভোক্তাদের চাহিদা ও পছন্দের প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ফোন বাজারজাত করতে পারছে ভিভো। এ অর্জন মানুষের প্রত্যাশা পূরণে আমাদেরকে আরও বেশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করেছে।
ভি১৫ প্রো ৩৯ হাজার ৯৯০ টাকায় এবং ভি১৫ ফোনটি ২৯ হাজার ৯৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। উভয় ফোনেই ২৫৬ জিবি পর্যন্ত মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করা যায়।
সর্বশেষ অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ ফানটাচ ওএস ৯ চালিত ভি১৫ প্রো-তে আছে ডুয়াল-ইঞ্জিন ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তিসহ ৩ হাজার ৭০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, ১২৮ জিবি স্টোরেজ (রম) এবং কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬৭৫ এআইই অক্টা-কোর সিপিইউ প্রসেসর।
৬ দশমিক ৩৯ ইঞ্চি ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লের ফোনটির রেজ্যুলেশন ২৩৪০ x১০৮০ পিক্সেল। এটি এখন পর্যন্ত বাজারে থাকা একমাত্র নচফ্রি ফ্ল্যাগশিপ ফোন। এর তিনটি রিয়ার ক্যামেরা যথাক্রমে ৪৮, ৮ এবং ৫ মেগাপিক্সেলের। ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে ফোনটি আনলক করা যায়।
এদিকে ভি১৫ ফোনটিতে রয়েছে দ্রুত রিচার্জযোগ্য ৪ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, ৬৪ জিবি স্টোরেজ (রম) এবং ২ দশমিক ১ গিগাহার্টজ অক্টাকোর সিপিইউ প্রসেসর। ৬ দশমিক ৫৩ ইঞ্চির আল্ট্রা ফুলভিউ ডিসপ্লেবিশিষ্ট হ্যান্ডসেটটি পাওয়া যাচ্ছে নীল (টপেজ ব্লু) এবং লাল (গ্ল্যামার রেড) রঙে।
এর স্ক্রিন রেজ্যুলেশন ১০৮০x২৩৪০ পিক্সেল। এর তিনটি রিয়ার ক্যামেরা যথাক্রমে ২৪, ৮ এবং ৫ মেগাপিক্সেলের। ফোনটির পেছনে থাকা ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে আনলক করা যায়।